May 28, 2010

২০১০ সালের সেরা ১০ ডিজিটাল ক্যামেরা Top ten cameras of 2010

ক্যামেরা হলেই চলবে, একথা মনে করে আজকাল কেউ ক্যামেরা কেনেন না। আবার, যত দামই হোস সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা কিনব একথা বলার সুযোগও খুব বেশি মানুষের নেই। ক্যামেরার নির্দিস্ট বৈশিষ্ট থাকতে হয়, নির্দিষ্ট সুবিধে থাকতে হয়, সেই সুবিধের পাশাপাশি দামের সামঞ্জস্য থাকতে হয়। দাম এবং গুন দুই একসাথে করে তবেই ভাল ক্যামেরা। এখন পর্যন্ত বাজারে আসা ক্যামেরাগুলির মধ্যে বর্তমানে সেরা কোন ১০টি।
জেডডি-নেট তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি পরিচিত নাম। তাদের বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষন করে নির্বাচন করেছেন সেরা ১০ ক্যামেরা। আগেই বলে নেয়া ভাল, বিবেচনা করা হয়েছে পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরাগুলিকে। এরসাথে এসএলআর ক্যামেরা এক করে দেখবেন না। এবং এদেরকে সাজানো হয়েছে ক্রমান্ময়ে বেশিদাম থেকে কমদামের হিসেবে।
১.ক্যানন পাওয়াশট এস-৯০
ক্যাননের জি সিরিজের জনপ্রিয়তা কিংবা জনপ্রিয় এলফ সিরিজকে ছাড়িয়ে সাফল্য দেখিয়ে তাদের এস-৯০ ক্যামেরাটি। তাদের জি-১১ এর মত বড় সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে এতে, সেইসাথে পকেটে রাখার মত ছোট আকার। ২৮০১০৫ মিমি ফোকাল লেন্থ, এফ/২.০ - ৪.৯ এপারচার, ম্যানুয়েল কন্ট্রোল, র-ফরম্যাট সাপোর্ট এসব একে তালিকার শীর্ষে এনেছে।
২.প্যানাসনিক লুমিক্স ডিএমসি জেডএস৭
সুপারজুম ক্যামেরা যারা পছন্দ করেন অথচ বড় আকারের ক্যামেরা বয়ে বেড়াতে রাজি নন তাদের জন্য এই ক্যামেরা। ১২এক্স জুমের (২৫-৩০০ মিমি) এই ক্যামেরা অনায়াসে পকেটে রাখা যাবে। তাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় জেডএস৩ এর পরবর্তী মডেল হিসেবে আনা হয়েছে একে। ১০ মেগাপিক্সেল থেকে রেজ্যুলুশন বাড়িয়ে ১২ মেগাপিক্সেল করা হয়েছে। দ্রুত অটোফোকাস, ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন, ম্যানুয়েল কন্ট্রোল এবং বিল্টইন জিপিএস একে অনায়াসে পছন্দের তালিকায় আনতে পারে।
৩.প্যানাসনিক লুমিক্স ডিএমসি টিএস-২
জেডএস৭ এর মত এই ক্যামেরাও বাজারে এসেছে গতবছর। এর বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এটা ওয়াটারপ্রুফ, শকপ্রুফ, ডাষ্টপ্রুফ। ৫ ফুট উচু থেকে আছড়ে পড়লেও ক্ষতি হবে না। ১৪ মেগাপিক্সেল এই ক্যামেরা ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ২৮-১২৮ মিমি ফোকাল লেন্থের এই ক্যামেরায় এভিসিএইচডি লাইট হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যায়।
প্রথম তিনটি ক্যামেরার দাম ৪০০ ডলারের মধ্যে। এবার ৩০০ ডলার দামের মধ্যে ক্যামেরাগুলি সম্পর্কে জানুন
৪. স্যামসাং ডুয়ালভিউ টিএল-২২৫
এই ক্যামেরা একটি বিষয়ে ান্য সবার থেকে আলাদা। এর সামনের দিকে রয়েছে একটি এলসিডি ডিসপ্লে। শিশুর ছবি উঠানোর সময় সেখানে এনিমেশন দেখিয়ে তাকে ক্যামেরার দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন। পিছনে বিশাল আকার টাচস্ক্রিন ৩.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে।
৫. সনি সাইবারশট ডিএসসি টিএক্স-১
টিএক্স-১ তাদের টিএক্স-৭ এর কমদামী সংস্করন। ব্যাকসাইড ইল্যুমিনিটেড এক্সমোর আর সিমোস সেন্সর, স্যুইপ প্যানোরমা মোড ইত্যাদি বৈশিষ্টের পাশাপাশি সবসময় পকেটে রাখার জন্য আদর্শ এই ক্যামেরা।
৬. প্যানাসনিক লুমিক্স ডিএমসি জেডআর-৩
আগের জেডআর১ এর পরবর্তী মডেল এই ক্যামেরা রয়েছে ৮ এক্স জুম, ২৫-২০০ ফোকাল লেন্থ ব্যবহারের সুযোগ, হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং এবং এইচডিএমআই পোর্ট।
এর পরের ক্যামেরাদুটির দাম ২৫০ থেকে ২৮০ ডলার
৭. সনি সাইবারশট ডিএসসি ডব্লিউএক্স১
টিএক্স-১ এর মত এতেও রয়েছে ব্যাকসাইড ইল্যুমিনিটেড আর সিমোস সেন্সর, স্যুইপ প্যানোরমা মোড, হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং। ২৪-১২০ মিমি ফোকাল লেন্থের এই ক্যামেরার কম দাম একে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে।
৮. ক্যানন পাওয়ারশট এসডি৯৪০ আইএস
ছোট আকারের এই ক্যামেরার মধ্যে প্রয়োজনীয় বিষয়ের অভাব নেই। ৪ এক্স জুম (২৮-১১২ মিমি) এই ক্যামেরার পুরুত্ব ০.৮ ইঞ্চি, ওজন মাত্র ৮ আউন্স। এরপরও হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং এবং মিনি-এইচডিএমআই পোর্ট পর্যন্ত রয়েছে।
এবারে সবচেয়ে কমদামী ক্যামেরা দেখুন। এদের দাম ১৩০ ডলারের মধ্যে
৯. নাইকন কুলপিক্স এল-২২
১২ মেগাপিক্সেল ৩.৬ এক্স জুমের (৩৭-১৩৪ মিমি) এই ক্যামেরার প্রধান বৈশিষ্ট অবশ্যই একেবারে কমদাম। ৩ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন, আইএসও ১৬০০ ব্যবহারের সুযোগ কমদামের মধ্যে একে ভাল ক্যামেরা হিসেবে বিবেচনায় এনেছে।
১০. ক্যানন পাওয়ারশট এ৪৯০
যেহেতু আপনি একেবারেই কমদামে ক্যামেরা কিনতে আগ্রহি সেইসাথে ভাল মানে ছবি চান, তাহলে এটাই হয়ত আপনার পছন্দ। ১০০ ডলার দামের এই ক্যামেরায় ১৩টি সিন মোড, ৫ পয়েন্ট অটোফোকাস, ২.৫ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে। দাম যেখানে মুখ্য সেখানে অন্য কিছু বিষয় বাদ যেতেই পারে।

No comments:

Post a Comment