April 14, 2010

কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় হাই ডেফিনিশন ভিডিও Shooting HD video with a compact camera

বর্তমানের পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরার একটি সাধারন বিষয় ভিডিও। ভিডিএ থেকে শুরু করে এইচডি। কোন কোনটিতে ৭২০পি, কোনটিতে ফুল হাই ডেফিনিশন ১০৮০পি। কিভাবে এই ক্যামেরাগুলি থেকে ভাল ভিডিও পেতে পারেন সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ।

ভিডিও কিংবা ছবি দুক্ষেই সাধারন বিষয়গুলি হচ্ছে সঠিক ফ্রেমিং, যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা এবং হাত স্থির রাখা। এই বিষয়কে মাথায় রেখে ভিডিও করুন বা ছবি উঠান।
সঠিক রেজ্যুলুশন ব্যবহার করুন
৭২০ কিংবা ১০৮০ কি ?
দুটিই ছবি বা ফ্রেমের আনুভুমিক (হরাইজন্টাল) লাইন বা পিক্সেল বুঝায়। দুটিই হাই ডেফিনিশন ভিডিও। রেজ্যুলুশন যথাকোমে ৭২০-১২৮০ এবং ১৯২০-১০৮০।
পি কি বুঝায় ?
পি প্রগ্রেসিভ স্ক্যানিং এর সংক্ষিপ্তরুপ। এর অর্থ ভিডিও লাইনগুলি পরপর দেখা যায়। বিপরীতে ইন্টারল্যাচ (আই) বুঝায় ছবিকে জোড় এবং বিজোড় লাইনের ভিত্তিতে দুটি ফ্রেমে করে এক ফ্রেমের পর আরেক ফ্রেম দেখানোর ব্যবস্থা। কম্পিউটারে মনিটরে প্রগ্রেসিভ এবং টিভিতে ইন্টারল্যাচ ব্যবহার করা হয়।
ফ্রেম রেট কি ?
প্রতি সেকেন্ড ভিডিওতে কতগুলি ফ্রেম রয়েছে তা বুঝায়। বাংলাদেশের টিভিতে (পল) ব্যবহৃত হয় ২৫ ফ্রেম/সে, আমেরিকায় (এনটিএসসি) ৩০ ফ্রেম/সে, মুভির ক্ষেত্রে ২৪ ফ্রেম/সে। এই ফ্রেমেরেটে ছবি যত সুন্দর দেখায় ১৫ বা কম ফ্রেমে ছবি তত সুন্দর দেখায় না। ফ্রেম রেট বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিডিও ফাইলের আকার বেড়ে যায়।
সঠিক ভিডিও কানেকশন
হাই ডেফিনিশন সবচেয়ে ভাল ভিডিও পাওয়া যায় এইচডিএমআই কানেকশন ব্যবহার করলে। যদি পোর্ট থাকে তাহলে এটাই ব্যবহার করুন। নতুন ক্যামেরা কেনা সময় পোর্ট আছে কি-না দেখে নিন। সব ক্যামেরায় এই পোর্ট নাও থাকতে পারে।
ইন্টারনেটে ব্যবহার
হাই ডেফিনিশন ভিডিওতে ফাইল সাইজ অত্যন্ত বড় হয়। এতটাই বড় যা ইন্টারনেটে ব্যবহার করা যায় না। যদি ইউটিউব বা অন্য কোথাও ব্যবহার করতে হয় তাহলে কম রেজ্যুলুশনে রেকর্ড করুন অথবা রেজ্যুলুশন/ফরম্যাট পরিবর্তন করে নিন। ভিজিএ (৬৪০-৪৮০) মোডে ডিভিটির কাছাকাছি মান পাওয়া যাবে, কিউভিজিএ (৩২০-২৪০) অধিকাংশ মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে। নতুন স্মার্টফোনগুলিতে ডব্লিউভিজিএ (৮০০-৪৮০) ব্যবহার করা যায়।
ভাল ভিডিওর জন্য ট্রাইপড ব্যবহার
ভিডিও করার সময় হাত কাপার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বিশেষ করে নতুন হাতে তো বটেই। ছোট আকারের ট্রাইপড ব্যবহার করে এই সমস্যা দুর করা যেতে পারে।
জুম ব্যবহার
অনেক কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় ভিডিওর সময় অপটিক্যাল জুম ব্যবহার করা যায় না। শুধুমাত্র ডিজিটাল জুমের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর ডিজিটাল জুম বেশি ব্যবহারে ছবির মান নষ্ট হয়। ক্যামেরায় কতটুকু জুম করলে ছবির মান ঠিক থাকে দেখে নিন এবং সেটুকুই ব্যবহার করুন।
শব্দ ব্যবহার
ভিডিওর সাথে শব্দ খুব গুরুত্বপুর্ন। অধিকাংশ কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় মনো মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। এতে পৃথক মাইক্রোফোন ব্যবহারের সুযোগও থাকে না। কারো কথা রেকর্ড করার সময় যতটা সম্ভব কাছাকাছি থেকে রেকর্ড করুন যেন শব্দ ঠিকমত পাওয়া যায়।
সফটঅয়্যার ব্যবহার করুন
একবারে নিখুত ভিডিও কখনই পাওয়া যায় না। রেকর্ড করার পর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়ার জন্য, ট্রানজিশন এবং ইফেক্ট কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহারের জন্য সফটঅয়্যার ব্যবহার করুন। পৃথক সফটঅয়্যার না পেলে উইন্ডোজ এক্সপি/ভিসতার সাথে মুভি মেকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কম্প্যাক্ট ক্যামেরা না ক্যামকোর্ডার
পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ডিজিটাল ক্যামেরায় যেমন ভিডিও করা যায় তেমনি ক্যামকোর্ডারে ষ্টিল ছবি উঠানো যায়। আপনার কোনটি বেশি গুরুত্বপুর্ন যাচাই করুন। যদি ভিডিও বেশি গুরুত্বপুর্ন হয় তাহলে ভিডিও ক্যামেরার দিকে যাওয়াই ভাল। কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় তার সব সুবিধে পাওয়া যাবে না।

No comments:

Post a Comment