যারা এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার করেন তাদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারন হয়ে দাড়ায় লেন্সের দাম। সাধারন লেন্স থেকে শুরু করে ওয়াইউ এঙ্গেল, টেলিফটো, ম্যাক্রো সবধরনের ছবি উঠানোর জন্যই পৃথক লেন্স প্রয়োজন হয়। প্রথমত দামের বিষয়, তারপর ছবি উঠানোর জন্য সবগুলি নিয়ে বিশাল একটা ব্যাগ বয়ে বেড়ানো। ট্যামরনের আকারে ছোট, ওজনে হাল্কা এই লেন্সটি একাই সবধরনের প্রয়োজন মেটাবো।
লেন্সটি বাজারে ছাড়া হয়েছে গতবছর। নাইকনের সাথে এর ফোকাল লেন্থ ২৮মিমি থেকে ৪০৫মিমি, ক্যাননের ক্ষেত্রে ২৯মিমি থেকে ৪৩২মিমি। সরাসরি বলা হয় ১৫এক্স জুম লেন্স। এর সাথেই ভাইব্রেশন কমপেনশেসন (ভাইব্রেশন রিডাকশন কিংবা ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন যাই বলুন না কেন)। এটাকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম ১৫ এক্স সুপারজুম লেন্স, কাজেই দুরের ছবি উঠানোই এখানে মুখ্য। আর সেকারনেই ভাইব্রেশন কমপেনশেসন বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। অনেক দুরের ছবিও স্পষ্টভাবে উঠানো যাবে এটা ব্যবহার করে। পাশাপাশি ম্যাক্রো মোডে খুব কাছের ছবি উঠানো যাবে একটামাত্র লেন্স দিয়েই। তা সে পোকামাকড়ের ছবিই হোক আর একটা ঘাসফুলের ছবিই হোক।
অল্পকথায়, এই লেন্সের সুবিধার মধ্যে রয়েছে বহু দুরের ছবি উঠানোর সুযোগ, কার্যকর শেক রিডাকশন ব্যবস্থা, ২০ ইঞ্চির কম দুরত্বে পুরো জুম ব্যবহারের সুযোগ, আলোর বিকিরন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অপটিক্যাল সিষ্টেম অপটিমাইজেশন, ঘোষ্টিং এবং ফ্লেয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা, হাই রেজ্যুলুশন এবং কন্ট্রাষ্ট পাওয়ার ব্যবস্থা, আকারে ছোট এবং ওজন কম হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য।
এর সর্বাধিক এপারচার এফ/৩.৫ – ৬.৩, সর্বনিম্ন এপারচার ২২। লেন্স তৈরী হয়েছে ১৩টি গ্রুপের ১৮টি অংশ দিয়ে, লেন্সের মাপ ৩.৮ ইঞ্চি, ওজন ৫৫০ গ্রাম।
এর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার।
No comments:
Post a Comment