December 15, 2009

ব্লু-রে প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে হলিউড Hollywood hopes an ensemble cast boosts Blu-ray



ইন্টারনেটকে অনেক ব্যবসায়ী চেনেন কিলার হিসেবে। মানুষ ইন্টারনেটের কল্যানে অডিও সিডি কেনা বাদ দিয়েছে, ভিডিও ডিভিডির বিক্রি কমে গেছে, সংবাদপত্র বন্ধ হচ্ছে, এমনকি টিভি চ্যানেলগুলিও হুমকির সম্মুখিন বলে বলা হচ্ছে। এখন সবচেয়ে বেশি খরচে মুভি তৈরীর যায়গা হলিউড তাকিয়ে আছে ব্লু-রে প্রযুক্তির দিকে। তাদের আশা এর মাধ্যমে ভিডিও ব্যবসা আবার চাঙ্গা হবে।

ইন্টারনেটে একটা ডিভিডি কম্প্রেস করা অবস্থায় সহজেই ডাউনলোড করে নেয়া যায়। এমন পুরো ডিভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব যদি দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকে। তারপরও, ইন্টারনেট ২০ কিংবা ৪০ গিগাবাইটের মুভি ডাউনলোড করার পর্যায়ে যায়নি। কাজেই, সত্যিকারের ভাল মান পেতে হলে ডিস্কই কিনতে হবে। প্রচারের জন্য তারা একদিকে একই মুভির ডিভিডি কপি বাজারে ছাড়ছে সেইসাথে আইপড কিংবা মোবাইল ফোনে ব্যবহারযোগ্য কপি মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে। ইউনিভার্সাল ফ্লিপার ডিস্ক নামে একধরনের ডিস্ক বাজারে ছাড়ছে যার একদিকে ডিভিডি অন্যদিকে ব্লু-রে। একই ডিস্কের ব্লু-রে এবং ডিজিটাল কপি দিয়েও প্রচারের কাজ করা হচ্ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ এখনও ব্লু-রে ব্যবহার শুরু করেনি। যদি ১০০ ডলারের মধ্যে ব্লু-রে প্লেয়ার পাওয়া যায়, ১০ ডলারের মধ্যে মুভি পাওয়া যায়। আমেরিকার বাস্তবতা হচ্ছে প৯ কোটির বেশি মানুষ ডিভিডি প্লেয়ার ব্যবহার করে, এদের দুই-তৃতিয়াংশ একাধিক ডিভিডি প্লেয়ার ব্যবহার করে। আর ব্লু-রে প্লেয়ারের ব্যবহার ১ কোটির কিছু বেশি। পিসি কিংবা ল্যাপটপে ব্লুরে ড্রাইভের ব্যবহারও বাড়ছে।
ওয়ার্নার এর মতে শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ ব্লু-রে ডিস্কের ডিজিটাল কপি দেখার পর আর বাকিটা দেখে না। তারপরও এই কমবো গুলি ডিভিডি কেনা থেকে ব্লু-রে কেনার দিকে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। হলিউডের আশা এদিকেই। মানুষ যদি শুধু ব্লু-রে কিনতে আগ্রহি না হয় তাহলে সাথে আরো কিছু দিয়ে বিক্রি বাড়ানো।

No comments:

Post a Comment