May 26, 2009

টারমিনেটর সালভেসন Terminator Salvation T4

২৫ বছর আগে টার্মিনেটর নামে একটি হলিউডের ছবি বাজারে আসার পরই সারা বিশ্বের দর্শকদের মন জয় করে। সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব যখন দর্শকদের সামনে আনা হয় তখন তারসাথে আরেকটি বিষয় চিরদিনের জন্য একিভুত হয়ে গেছে। তা হচ্ছে কম্টিউটার ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট। সেইযুগে, যখন পেন্টিয়াম কম্পিউটার আবিস্কার হয়নি তখন তারা দেখিয়েছিলেন কম্পিউটারে কি করা সম্ভব। এরপর বহু সময় গড়িয়েছে। কম্পিউটারেই সম্পুর্ন ছবি তৈরী এখন সাধারন ঘটনা। তারপরও টারমিনেটর ফোর, কিংবা টার্মিনেটর সালভেসন এমন কিছু দেখাতে যাচ্ছে যা অন্যরা এখনো দেখাননি। এমনটাই দাবী নির্মাতা পক্ষের।

কেমন করে দেখাবেন যদি দেখাতে হয় একটি রকেটের সাথে গাড়ির ধাক্কা ? সেই ধাক্কায় ঠুকরো টুকরো হয়ে গাড়ির অংশ খসে পড়বে একটি পালাতে থাকা ট্রাকের ওপর এবং তাকে ধাওয়া করা মটোটার্মিনেটর নামের যান্ত্রিক ভিলেনের পথে।

খুবই সহজ, থ্রিডি এনিমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে তৈরী করে নেয়া। তবে কথা হচ্ছে অভিজ্ঞ চোখ দেখেই বোঝে কোনটা ক্যামেরায় উঠানো আর কোনটা কম্পিউটার এনিমেশন। টার্মিনেটর সালভেসনে একটি গাড়িকে সত্যিসত্যি শুন্যে উঠিয়ে রকেটের সাথে ধাক্কা লাগানো হচ্ছে।

বিষয়টা এত গুরুত্বপুর্ন কেন- ব্যাখ্যা করছেন কিং কং, আয়রন ম্যান ইত্যাদির ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট করে খ্যাতি পাওয়া বেন স্নো, এধরনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারন করতে পারা অলৌকিক ব্যাপার। আমরা যা করছি তা হচ্ছে যতটা সম্ভব দৃশ্য ক্যামেরায় ধারন করা, অন্যদিকে পুরো দৃশ্যটি কম্পিউটারে তৈরী করা। তারপর দুটিকে এক করা।

আরেকটি দৃশ্যে গর্জ নদীর ওপর একটি ব্রিজের ওপর বড় ধরনের বিষ্ফোরন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে এই বিখ্যাত ব্রিজের ওপর বিষ্ফোরন ঘটানো অসম্ভব। সেকারনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দৃশ্যটি ধারন করা হয়েছে। তারপর কম্পিউটারে সেগুলিকে একত্র করে ব্যবহার করা হয়েছে।

সিনেমায় গলন্ত ধাতব পদার্থ গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের, কিন্তু সেটা বাস্বতসম্মত চেহারায় তৈরী করতে বহুদিন এবং শতশত শক্তিশালী প্রসেসর প্রয়োজন। বিষয়টি জানা থাকলে সেই বিশেষ মুহুর্তটি সত্যিকারের উপভোগ করা সম্ভব।

No comments:

Post a Comment