মানুষ ওষুধ ব্যবহার করে রোগ সারানো জন্য, কিন্তু সেই ওষুধ নিজেই যদি হয় ভেজাল, বিষাক্ত, তাহলে! উন্নত বিশ্বে শতকরা ১ ভাগ ওষুধ নকল। তৃতীয় বিশ্বে নকলের পরিমান ১০ থেকে ৩০ ভাগ। অনেক সময় এতে সামান্য মুল ওষুধের উপাদান থাকে। ফল হয় মারাত্মক। পরবর্তীতে ভাল ওষুধও শরীরে কাজ করে না।
সমস্যার মুল কারন, সহজে ভেজাল ওষুধ শনাক্ত করা যায় না। এই সমস্যার সমাধান দিতে নতুন পদ্ধতি বের করেছেন সুইডেন এবং বৃটেনের বিজ্ঞানীরা। তারা রেডিও সংকেত ব্যবহার করে ওষুধের রাসায়নিক গঠন জানার পদ্ধতি বের করেছেন।
নিউক্লিয়ার কোয়াড্রোপোল রেসোনান্স স্পেকট্রোস্কোপি (এনকিউআর) নামের এই পদ্ধতিতে মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ সংকেত ব্যবহার করা হবে। এ থেকেই ওষুধে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান নাইট্রোজেন, ব্রোমাইন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
বলা হয় বর্তমানে বছরে ৭ কোটি ডলারের ভেজাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এতে ইদুর মারার বিষ থেকে শুরু করে ভুল পরিমান মুল উপাদান ব্যবহার সবধরনের বিষয়ই রয়েছে।
এনকিউআর পদ্ধতিতে কার্ডবোর্ড, কাচ, প্লাষ্টিক, কাঠ ইত্যাদি পদার্থ ভেদ করে পরীক্ষা চালানো যাবে। ফলে প্যাকেট থেকে সেগুলি বের করা প্রয়োজন হবে না। সেখানে যন্ত্র সেট করলেই ১ মিনিটের কম সময়ে জানা যাবে সেখানে ভেজাল রয়েছে কিনা।
এই পদ্ধতি শুধু নির্ভরজনকই না, ব্যবহার সহজ এবং দাম কম। তৃতীয় বিশ্বের দেশে ব্যবহারের জন্য বিষয়গুলি গুরুত্বপুর্ন।
নির্মাতারা বলছেন, ভেজাল ওষুধ শনাক্ত করা ছাড়াও এটা ওষুধের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

No comments:
Post a Comment