April 16, 2010

ফুজিফিল্মের সুপারজুম ক্যামেরা এইচএস-১০ Fujifilm FinePix HS10 Review

দামী একটি এসএলআর, সাথে তারচেয়েও দামী দুতিনটি লেন্স, সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ডলার। এর কমদামী সমাধান খুজতে হলে এগিয়ে থাকবে ফুজিফিল্মের সুপারজুম ক্যামেরা। বিশেষ করে যদি ম্যানুয়েল জুম এবং ফোকাস ব্যবহার করতে হয়। একমাত্র এদের ক্যামেরাতেই রয়েছে এসএলআর-এর মত জুম এবং ফোকাস রিং। আর জুম, ৭২০ মিমি পর্যন্ত।
বিশ্বে মাত্র দুটি ক্যামেরা রয়েছে ৩০-এক্স জুমের। অলিম্পাসের এসপি-৮০০ইউজেড। আরেকটি এই ক্যামেরা। ২৪-৭২০ মিমি জুম ছাড়াও রয়েছে মেকানিক্যাল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন। অন্যান্যদের মধ্যে ১০ মেগাপিক্সেল ব্যাক ইল্যুমিনেটেড সেন্সর, ৩ ইঞ্চি টিল্ট ডিসপ্লে, অটোমেটিক আই-সেন্সর সহ ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার, ১০৮০পি ফুল হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, ষ্টেরিও সাউন্ড রেকর্ডিং, সুপার হাই স্পিড মুভি ক্যাপচার (১০০০ ফ্রেম/সে), সব ধরনের ম্যানুয়েল কন্ট্রোল, র ফাইল সাপোর্ট, সবকিছুই।
ক্যামেরাটি দেখতে, আকার-আকৃতি সবদিকেই মধ্যমমানের ডিজিটাল এসএলআর-এর মত। এর মুল আকর্শন নিশ্চয়ই ৩০-এক্স জুম লেন্স। ২৪ মিমি আলট্রা ওয়াইড থেকে টেলিফটো ৭২০ মিমি। স্যপার ম্যাক্রো মোডে ১ সেমি দুরের ছবি উঠানো যাবে। সেইসাথে ওয়াইড এঙ্গেলে এপারচার এফ/২.৮। যত কাছেই হোক আর যত দুরেই হোক, এক ক্যামেরাতেই ছবি উঠানো সম্ভব।
এখন পর্যন্ত খুব কম কম্প্যাক্ট ক্যামেরা আছে যা উচুমানের ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও দিতে পারে। এতে ১৯২০-১০৮০ রেজ্যুলুশন, ৩০ ফ্রেম/সে ভিডিও পাওয়া যাবে। সেইসাথে অটো এক্সপোজার এবং ফোকাস কন্ট্রোল এবং ষ্টেরিও সাউন্ড।
এর ছবির মান কম্প্যাক্ট ক্যামেরার বিবেচনায় অত্যন্ত ভাল। আইএসও ৬৪০০ ব্যবহার করেও লক্ষ্য করার মত নয়েজ ছাড়া ছবি পাওয়া যায়। প্রো লো-লাইট সিন মোডে এনিয়ে ভাবতে হয় না।
ক্রোমাটিক এবারেশনের পরিমান একেবারে কম। শার্পনেসে কিছুটা ঘাটতি আছে মনে হতে পারে তবে ক্যামেরার ভেতরেই শার্পনে বাড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
ষ্ট্যাবিলাইজেশনের ফলে কম আলোতেও স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। প্যানোরমা মোডে খুব সহজে প্যানোরামিক ছবি পেতে পারেন।
হাই স্পিড মুভি মোডে এতদিন ক্যাসিওর একাধিপত্য ছিল। এখন তাতে ভাগ বসিয়েছে এই ক্যামেরাও। প্রতি সেকেন্ড ১০০০, ৪৮০, ২৪০, ১২০ এবং ৬০ ফ্রেম রেকর্ড করতে সক্ষম এই ক্যামেরা।
এতে সাধারন কম্প্যাক্ট ক্যামেরার সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সিন মোড রয়েছে, সেইসাথে এডভান্সড সিন মোড নামে বিশেষ ব্যবস্থা কম আলো বা অন্য বিশেষ অবস্থায় ভাল ছবি পেতে সাহাড্য করবে।  সেইসাথে এন্ট্রি লেভেল এসএলআর-এর মত আইএসও স্পিড, মিটারিং, এএফ মোড, এএফ টাইপ, হোয়াইট ব্যালান্স ইত্যাদির জন্য পৃথক বাটন রয়েছে।
এতে এসডি/এসডিএইচসি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। ইউএসবি ছাড়াও এইচডিএমআই পোর্ট রয়েছে এইচডি ভিডিওর জন্য। চারটি এএ ব্যাটারী থেকে পাওয়ার দিতে হয়। এক চার্জে ৫০০ ছবি উঠানো যাবে।
এর দাম ৬০০ ডলার।
কেনার আগে এধরনের অন্য যে ক্যামেরাগুলি বিবেচনায় আনতে পারেন সেগুলি হচ্ছে, ক্যানন পাওয়ারশট এসএক্স-২০, নাইকন কুলপিক্স পি-১০০, অলিম্পাস এসপি-৮০০ ইউজেড, প্যানাসনিক লুমিক্স ডিএমসি এফজেড৩৮/৩৫, পেনটাক্স এক্স-৭০, সনি সাইবারশট এইচএক্স১।

No comments:

Post a Comment