August 16, 2009

বিশেষ ধরনের ক্যামেরা Phantom Miro eX

যদি বলা হয় একটি ক্যামেরার রেজুল্যশন ৬৪০-৪৮০ পিক্সেল তাহলে নিশ্চয়ই সেকথা শোনা প্রয়োজন মনে করবেন না। যদি বলা হয় সেই ক্যামেরার দাম ১০ হাজার ডলার তাহলে ? নিশ্চয়ই চমকাবেন। ফ্যান্টম মাইরো (Phantom Miro) সেই ক্যামেরা। সাধারন এসএলআরের মত দেখতে, হাতে ধরে ষ্টিল ছবি উঠানো এবং ভিডিও করা যাবে। ভিশন রিসার্চ কোম্পানী এই ক্যামেরার ঘোষনা দিয়েছে।

প্রথমেই জেনে নেয়া যাক এর বিশেষত্ব কি। এই ক্যামেরায় ফুল রেজুল্যুশনে ৫০০ ফ্রেম/সে ভিডিও করা যাবে, রেজুল্যুশন কম ব্যবহার করলে ১২০০ ফ্রেম/সে। যার অর্থ দ্রুতগতির কোন কিছুর ছবি উঠালে সেখানে কিছুই বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারন মানুষের এটা প্রয়োজন হয় না, তবে যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে এটা অমুল্য সম্পদ।

এই ক্যামেরায় ভিডিও করে এডিট করার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন হবে না। বড় আকারের ডিসপ্লে ব্যবহার করে ক্যামেরাতেই হাই-স্পিড ভিডিও এডিট করে নেয়া যাবে। ক্যামেরার আকারও ছোট করে হাতে ধরার উপযোগি করা হয়েছে।

দ্রুতগতির কিছু ছবি উঠানোর সময় সঠিক মুহুর্তে ক্যামেরা চালু করাই মুলকথা। যেমন ধরুন রাইফেল থেকে গুলি বের হওয়ার ছবি উঠাবেন। আপনাকে হয় আগে থেকে ক্যামেরা চালু রাখতে হবে, নয়ত সেটা মিস করার সমুহ সম্ভাবনা। ফ্যান্টমে ব্যবহার করা হয়েছে অটো-ট্রিগার। কোন বস্তু গতিপ্রাপ্ত হওয়ার সাথেসাথে ক্যামেরা চালু হয়।

এধরনের ক্যামেরার ব্যবহার রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এর বৈশিষ্ট হচ্ছে এই প্রথম একে বহনযোগ্য আকারে আনা হল। নিজস্ব ব্যাটারী, ইন্টারনাল মেমোরী (১, ২ অথবা ৪ গিগাবাইট) এবং সিএফ কার্ড সাপোর্ট ইত্যাদি একে সাধারনের ব্যবহার উপযোগি করেছে।

No comments:

Post a Comment