July 31, 2009

নাইকনের ডি৩০০ এর বদলে ডি৩০০এস Nikon updates D300 to D300s

নাইকন তাদের মিড-লেভেল প্রফেশনাল এসএলআর ডি-৩০০ কে আপডেট করে ডি৩০০এস নামে ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে এতে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন চোখে পড়তে হচ্ছে মুভি মোড যোগ করা এর আগে ডি৯০ এবং ডি৫০০০ মডেলে হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং যোগ করা হয়েছিল সেটা করা হচ্ছে এতেও আরেকটি বড় পরিবর্তন হচ্ছে কম্প্যাক্ট ফ্লাশ কার্ডের পাশাপাশি এসডি কার্ড সাপোর্ট এখানে আই-ফাই কার্ড ব্যবহার করা যাবে, এরফলে সরাসরি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে অন্যদিকে টাইপ-২ কার্ড (মাইক্রোড্রাইভ) আর ব্যবহার করা যাবে না

নাইকনের আগের মডেলগুলিতে ভিডিও রেকর্ডিংএর সময় অটোফোকাস ব্যবহার করা যায় না, এতে কন্ট্রাষ্ট ডিটেকশন অটোফোকাস কাজ করবে ভিডিও করার সময়ও ভিডিও যোগ করার কারনে এতে লাইভ ভিউ যোগ করা হয়েছে এছাড়া রেকর্ডিংএর সময় এক্সটারনাল মাইক্রোফোন ব্যবহারের জন্য একটি ষ্ট্যান্ডার্ড ৩.৫ মিমি জ্যাক যুক্ত করা হয়েছে বার্ষ্ট মোডে শ্যুটিংএর সময় ফ্রেম রেট আগের ৬ এর তুলনায় বাড়িয়ে ৭ করা হয়েছে এই হিসেব অবশ্য নিজস্ব ব্যাটারী ব্যবহারের জন্য দুটি ক্যামেরাই পৃথক ব্যাটারী গ্রিপ ব্যবহারের সময় ৮ ফ্রেম/সে রেকর্ড করতে সক্ষম

এর আরো দুটি পরিবর্তন হচ্ছে একটিভ ডি-লাইটিং এর সময় অটো এবং এক্সট্রা হাই সেটিং এগুলিতে এখন ব্রাকেটিং ব্যবহার যাবে

এছাড়া সেন্সর সহ অন্যান্য সবকিছু আগের ডি৩০০ এর মতই রাখা হয়েছে আগষ্টের শেষদিকে এই ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যাবে লেন্স বাদে ক্যামেরার দাম ১,৮০০ ডলার (আগের মডেলের দামের সমান)

July 30, 2009

নাইকনের কমদামী এসএলআর Nikon D3000

দুবছরের কিছু আগে বাজারে আসা নাইকনের ডি-৪০ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া এন্ট্রি লেভেল এসএলআরের একটি। মাত্র ৬ মেগাপিক্সেল এর ডি-৪০কে আপগ্রেড করে ১০ মেগাপিক্সেল এর ডি-৪০এক্স, তারপর ডি-৫০ বাজারে ছাড়লেও এর চাহিদা সবসময় থেকে গেছে। এখন ডি-৪০কে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন ক্যামেরা আনার ঘোষনা দিয়েছে। ডি-৩০০০ নামের এই মডেলে আগের ডি-৪০, ডি-৪০ এক্স, ডি-৬০ সবগুলি মডেলে যে সুবিধাগুলি দেয়া হয়েছিল তার সবগুলি একত্রিত করা হয়েছে।

নতুন এই ক্যামেরায় ডিসপ্লে ৩। কন্ট্রোল লেআউট আগের ডি-৪০ এর মত। এতে ১০ মেগাপিক্সেল ডি-এক্স ফরম্যাট সিসিডি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ রেজুলুশনে একটি ছবির আকার হবে ৩,৮৭২ ২,৫৯২ পিক্সেল। এছাড়া এতে ১১ পয়েন্ট অটোফোকাস সিষ্টেম যোগ করা হয়েছে। এতে একটিভ ডি-লাইটং সিষ্টেম থাকবে। এর ফলে আলোছায়ার অধিক পার্থ্যক্যের মধ্যেও ডিটেল ছবি উঠানো যাবে। এতে এসডি/এমএমসি, হাই ক্যাপাসিটির এসডিএইচসি কার্ড ছাড়াও আই-ফাই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

ডি-৩০০ মডেল থেকে পিকচার কন্ট্রোল আনা হয়েছে এতে। এর ফলে ক্যামেরাতেই শার্পনেস, কন্ট্রান্ট, ব্রাইটনেস, স্যাচুরেশন, হিউ ইত্যাদি ঠিক করে নেয়া যাবে। ধরে নেয়া হয়েছে যারা এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহারে নতুন তারা এই ক্যামেরা ব্যবহার করবে। সেকারনে ডি-৪০ এর গাইড মোড নামে একটি অপশন রেখে দেয়া হয়েছে যা নবীনদের ভাল ছবি উঠাতে সাহায্য করবে।

ডি-৪০ এর সাথে একটি বড় পার্থক্য ডাষ্ট কন্ট্রোল। সেন্সরে ধুলা পড়লে ক্যামেরা নিজে থেকে তা পরিস্কার করতে পারবে।

আগষ্টের শেষে এটি বাজারে ছাড়া শুরু হবে। কিট লেন্স হিসেবে নিকর ১৮-৫৫ মিমি ভিআর ষ্ট্যাবিলাইজড লেন্স সহ এর দাম হবে ৬০০ ডলারের মধ্যে।

স্যামসাং এর এপস ষ্টোর Samsung Apps Store

মোবাইল ফোনের জন্য সফটওয়্যার তৈরী করে বিক্রি করতে চান ? স্যামসাং সে সুযোগ করে দিতে আজ (৩০ জুলাই) থেকে চালু করছে তাদের সেলার সাইট। সিমবিয়ান, উইন্ডোজ মোবাইল, জাভা যা-ই হোক না কেন, আপনার তৈরী সফটওয়্যার সেখানে রাখতে পারবেন, বিক্রি করতে পারবেন, বিক্রির হিসাব পাবেন, ব্যবহারকারীর রেটিং জানতে পাবেন।

মোবাইলের জন্য এধরনের এপ্লিকেশন বিক্রির বিষয়ে নতুনত্ব নেই। এপল বহুদুর এগিয়ে গেছে এই ব্যবসায়। বরং বলা যায় স্যামসাং অনেক দেরীতে শুরু করছে। এবছর শুরুর দিকে তারা বেটা ভার্শন চালু করে ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায়। বিশ্বের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এটা চালু করার কথা আগামী দুমাসের মধ্যেই।

ওয়েবসাইটে নাম লেখানোর জন্য ১ ডলারের এন্ট্রি ফি দিতে হবে। সদস্য হওয়ার পর বিক্রির চুক্তি অনলাইনে সরাসরি পাওয়া যাবে এবং বিক্রির অবস্থা তাৎক্ষনিকভাবে ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

তাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা : http://seller.samsungapps.com/

নোকিয়া ই-৫২ বিজনেস মোবাইল বাজারে Nokia E-52 available

কারো পছন্দ বিশাল আকারের টাচস্ক্রিণফোন যত বড় সৌন্দর্য্য তত বেশিআবার কারো পছন্দ একেবারে ছোট আকারের ফোনযেন জিনসের পকেটেও রাখা যায় সেইসাথে ফোনে যাকিছু থাকা সম্ভব সবই থাকবেনোকিয়ার বিজনেস ফোন ই-৫২ দ্বিতীয় ধরনেরমোবাইল ফোনে যাকিছু থাকা সম্ভব তার সবকিছই রয়েছে, সেইসাথে এর গঠন খুব সহজে ব্যবহারযোগ্যএর পুরুত্ব ১ সেমি এর কমওজন মাত্র ৯৮ গ্রামই সিরিজের ফোনে সাধারনত মাল্টিমিডিয়ার ওপর জোর দেয়া হয় না, মেটালিক কালারের এই ফোনে সেটাও করা হয়েছেএক চার্জে এতে গান শোনা যাবে ১৪ ঘন্টা, কথা বলা যাবে ৮ ঘন্টা (থ্রিজি ৬ ঘন্টা) এবং ষ্ট্যান্ডবাই ২৮ দিন
এর স্ক্রিণ ২.২৪ ইঞ্চি, ২৪০ - ৩২০ পিক্সেলঘুরানোর জন্য এক্সিলারোমিটার সেন্সর রয়েছেনিজস্ব মেমোরী ৬০ মেগাবাইট, সাথে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট (১ গিগাবাইট সেটের সাথে দেয়া হয়)
এতে রয়েছে জিপিআরএস ক্লাস ৩২, এজ ক্লাস ৩২, থ্রিজি (এইচএসডিপিএ ১০.২ এমবিপিএস, এইইচএসইউপিএ ২ এমবিপিএস), ওয়াই-ফাই (ইউপিএনপি), ব্লুটুথ ২.০, ইউএসবি ২.০ ইত্যাদি সব ধরনের সংযোগের ব্যবস্থা৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিং, দ্বিতীয় ভিডিওকল ক্যামেরাও রয়েছেআরডিএস সহ এফএম রেডিও রয়েছে
সব ধরনের অডিও-ভিডিও সাপোর্ট সহ রয়েছে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, পিডিএফ ভিউয়ারএ-জিপিএস, নোকিয়া ম্যাপ ৩.০
এর প্রসেসর ৬০০ মেগাহার্টজ (আরম)নোকিয়া বাংলাদেশ জানিয়েছে আগষ্ট মাসে সেটটি ঢাকার বাজারে পাওয়া যাবে

July 29, 2009

স্যামসাং এর ১ গিগাহার্টজ আরম প্রসেসর Samsung announce 1GHz ARM CORTEX-A8 Hummingbird CPU

স্যামসাং বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির আরম প্রসেসর তৈরী ঘোষনা দিয়েছে। হামিংবার্ড নামের এই প্রসেসরের গতি ১ গিগাহার্টজ। এই গতি বর্তমানের সর্বশেষ মডেলের আইফোন থ্রিজিএস এর দ্বিগুন, একই সাথে এর পাওয়ার খরচ অত্যন্ত কম। মাত্র ১ ভোল্ট বিদ্যুতে এর পুর্ন শক্তি কাজ করতে পারে। এরফলে মোবাইল ফোনের মত ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী।

এর আগের ৬০০ মেগাহার্টজ প্রসেসর ব্যবহার করে স্যামসাং তাদের অমনিয়া মোবাইল ফোনে ৭২০পি হাই-ডেফিনিশন ভিডিও সুবিধা দিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এবার হামিংবার্ড প্রসেসর ব্যবহার করা মোবাইল ফোনগুলিতে ১০৮০পি ভিডিও ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

আরম প্রসেসর তৈরী পেছনে যে কোম্পানীগুলি কাজ করছে তারা আগাম ঘোষনা দিয়েছে, আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে মোবাইল এপ্লিকেশন প্রসেসর বাজারের অর্ধেক এই প্রসেসর ব্যবহার করবে। বাস্তবে সম্ভবত সেটাই হচ্ছে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ডজনখানেক প্রসেসর লাইসেন্স নিয়েছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে বাজারে ১ গিগাহার্টজ স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের পকেটপিসি এখনই কিনতে পাওয়া যায় (তোসিবা টিজি-০১)। ধারনা করাই যায় হামিংবার্ড প্রসেসর ব্যবহার করা ডিভাইস যখন বাজারে আসবে তখন তাকে প্রতিদ্বন্দিতার মুখে পড়তে হবে।

মাইক্রোসফট-ইয়াহু চুক্তি হতে যাচ্ছে Microsoft, Yahoo near Web search deal

অবশেষে মাইক্রোসফট ইয়াহুকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে তারা দুজন একত্রিত হলে ভালভাবে কাজ করতে পারবে। ওয়েবে গুগলের একচ্ছত্র যে আধিপত্যে সেখানে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হলে তাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি আজই হয়ে যেতে পারে। চুক্তি যেহেতু হয়নি সেহেতু নিজের নাম প্রকাশ না করার সর্তে একজন এতথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে একবার মাইক্রোসফট ইয়াহুকে কিনে নিতে চেষ্টা করে এবং এজন্য ৪৭.৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ইয়াহুর বিনিয়োগকারীরা সম্মত না হওয়ায় সেটা বাস্তবে রুপ নেয়নি। বর্তমানে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে তাতে মাইক্রোসফট কোন অগ্রিম অর্থ দেবে না। বরং একসাথে কাজ করে যে লাভ হবে সেটাই তারা ভাগাভাগি করবে। ইয়াহু মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিং ব্যবহার করবে। সম্ভবত তারা পাওয়ারড বাই বিং মেসেজটিও ব্যবহার করবে।

মাইক্রোসফট মুলত ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। বর্তমানে এটা বিশ্বে র‌্যাংকিংএ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং মোট বাজারের ৮ শতাংশ অধিকার করে রেখেছে। অন্যদিকে ১নং স্থানে থাকা গুগলের অধিকারের রয়েছে বাজারের ৬৫ শতাংশ।

একদিকে গুগল যখন মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিষ্টেম, সফটওয়্যারের বাজারের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে অন্যদিকে মাইক্রোসফটও হাত বাড়াচ্ছে গুগলের ওয়েব বাজারের দিকে। গুগল বিনামুল্যের অপারেটিং সিষ্টেম ক্রোম তৈরীর মধ্যে দিয়ে মাইক্রোসফটের হাত থেকে কিছু লাভ সরিয়ে আনতে আগ্রহী। অন্যদিকে মাইক্রোসফট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়েবে বিজ্ঞাপনের বিশাল ব্যবসা থেকে নিজেরা লাভবান হতে।

July 28, 2009

প্যানাসনিকের আলট্রা কমপ্যাক্ট ক্যামেরা Panasonic Lumix ZX1

প্যানাসনিক শক্তিশালী জুম লেন্সসহ অত্যন্ত পাতলা আকারের ক্যামেরা তৈরী করেছে এতে বিশ্বে প্রথমবারের মত আলট্রা থিন ০.০৩ মিমি এষ্ফেরিক্যাল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে এরপরও এর জুম প্রয়োজন মেটানোর মত যথেষ্ট ১২.১ মেগাপিক্সেল এই ক্যামেরায় ২৫ মিমি আলট্রা ওয়াইড থেকে ৮ এক্স, কম মেগাপিক্সেলে তা ১৫.৬ এক্স পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম হিসেবে কাজ করবে হাই স্পিড ষ্টার্ট-আপ, হাইস্পিড অটোফোকাস, পাওয়ার অপটিক্যাল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন, হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং সবকিছুই একে পৃথকভাবে বিবেচনায় সহায়তা করবে তাতে সন্দেহ নেই

এতে ১২.১ মেগাপিক্সেল সিসিডি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে লেইকা ডিসি ভেরিও এলমার লেন্স ৭টি গ্রুপে ৯টি এলিমেন্ট দিয়ে তৈরী বর্তমানে এটা বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা লেন্স জুম রেঞ্জ ২৫-২০০ মিমি (৩৫ মিলিমিটার ক্যামেরার তুলনায়) এছাড়া এক্সট্রা অপটিক্যাল জুম ফাংশন বলে একটি ফিচারে ৩ মেগাপিক্সেলে ১৫.৬ এক্স জুম কাজ করবে ষ্টার্টআপ থেকে ফোকাসে সময় নেয় মাত্র ১.১ সেকেন্ড

এতে নতুন নয়েজ রিডাকশন ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে হাই স্পিড বার্ষ্ট শ্যুটিং মোডে সেকেন্ডে ১০টি ছবি উঠাতে সক্ষম এরপরও পাওয়ার খরচ অত্যন্ত কম এক চার্জে ৩৩০টি ছবি উঠানো যাবে

ফেস রিকগনিসনে ৬টি ফেস সেভ করে রাখা যায় এএফ ট্রাকিং এর ফলে কোন বস্তুকে সিলেক্ট করলে ক্যামেরা নিজেই তাকে অনুসরন করে ছবি উঠাতে পারে

৪০ মেগাবাইটের নিজস্ব মেমোরী ছাড়াও ছবি এবং ভিডিও এসডি মেমোরী কার্ডে সেভ হবে

৫টি ভিন্ন ভিন্ন রঙে ক্যামেরাটি পাওয়া যাবে এর মাপ ৩.৯ ২.১ ১.০ ইঞ্চি, ওজন ১৬০ গ্রাম এর দাম ২৮০ ডলার সেপ্টেম্বর থেকে দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে

আইফোন বিক্রি হতে যাচ্ছে চীনে iPhone in China

চীনের প্রধান তিনটি টেলিকম কোম্পানীর একটি চায়না ইউনিকম জানিয়েছে তারা আইফোনের নির্মাতা এপলের সাথে আইফোন বিক্রির চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌছে গেছে। এই চুক্তি বাস্তাবায়িত হলে আইফোন পৌছে যাবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর দেশে। বর্তমানে চীনে প্রায় ৭০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। গত জানুয়ারীতে চীনে থ্রিজি লাইসেন্স দেয়ার পর থেকেই এই সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ইউনিকম চীনে আইফোন বিক্রি করবে ৪৪০ ডলারে (৩,০০০ ইউয়ান), এমনটাই জানা গেছে। বর্তমানে কালোবাজারে চীনে এই দাম ৫,০০০ ইউয়ান। এই চুক্তির ফলে এপল বছরে ২০ লক্ষ আইফোন চীনে সরবরাহ করবে।

বর্তমানে চায়না ইউনিকমের গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি। আইফোন বিক্রি শুরু করলে তা আরো অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। বর্তমানে সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠান চায়না মোবাইলের গ্রাহক প্রায় ৫০ কোটি। জানা গেছে এপলের সাথে চুক্তির সময় এতে বাধ্যতামুলকভাবে কিছু সফটওয়্যার ইনষ্টল করা থাকবে যা চায়না টেলিকম সম্মত না হলেও চায়না ইউনিকম মেনে নিয়েছে।

এপলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

প্যানাসনিকের নতুন সুপারজুম ক্যামেরা Panasonic Lumix DMC FZ-35

প্যানাসনিক তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুপারজুম ক্যামেরা FZ-28 কে আপডেট করে FZ-35 নামে ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে। এতে ১০ মেগাপিক্সেল এর বদলে ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। মেগা ওআইএস ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেসনকে পরিবর্তন করে নতুন পাওয়ার ওআইএস ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ষ্ট্যাবিলাইজেশন ক্ষমতা দ্বিগুন হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে লেইকা ব্রান্ডের ১৮এক্স জুম আগের মতই রাখা হয়েছে।

নতুন মডেলে ফেস ডিটেকসনও আপডেট করা হয়েছে। এখন তিনটি ফেসকে চিহ্নিত করে নাম ব্যবহার করা যাবে। মাই কালার মোড নামে নতুন একটি সেটিংএ ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমত কালার, ব্রাইটনেস এবং স্যাচুরেশন সেভ করে রাখতে পারবেন। ভিডিওর ক্ষেত্রে কুইকটাইমের সাথে এভিসি কোডেক ব্যবহার করা যাবে।

অন্যান্যদের মধ্যে ইলেকট্রনিক ভিউ ফাইন্ডার, ২.৭ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, ইউএসবি/এইচডি কানেকটিভিটি, এসডি/এসডিএইচসি কার্ড সাপোর্ট এগুলি আগের মতই রয়ে গেছে।

এর দাম আগের মডেলের মতই ৪০০ ডলার রাখা হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যামেরাটি দোকানে পাওয়া যাবে।

July 27, 2009

প্যানাসনিকের নতুন প্রফেশনাল ক্যামেরা Panasonic AG-HMC45U

প্যানাসনিক তাদের AVCCAM সিরিজের প্রফেশনাল ক্যামেরায় নতুন আরেকটি মডেল যোগ করার ঘোষনা দিয়েছে এই ক্যামেরায় AVCHD ফরম্যাটে HD ভিডিও রেকর্ড করা হয় ক্যামেরার সাথে ক্যানোপাসের এডিয়াস নিও ২ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দেয়া হবে ছোট আকারের এই প্রফেশনাল ক্যামেরার ১০ মেগাপিক্সেল ষ্টিল ছবি উঠানো যাবে

ক্যামেরাটি প্যানাসনিকের আগের মডেল AG-HMC40 এর একই কনফিগারেশনের সেন্সর, বাটন, ক্যামেরার আকার সবকিছুই অপরিবর্তিত মনে হবে এর সাথে দেয়া সফটওয়্যারটিই একমাত্র পার্থক্য

আগষ্ট থেকে জাপানে ক্যামেরাটি কিনতে পাওয়া যাবে এর দাম ২,৭০০ ডলার

July 26, 2009

আমেরিকায় অয়্যারলেস ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে

আমেরিকায় অয়্যাললেস ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ২০০৭ এর তুলনায় এই বৃদ্ধির পরিমান ৭৩ শতাংশ। এক জড়িপে দেখা গেছে বর্তমানে শতকরা ৫৬ জন আমেরিকান অয়্যারলেস ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সেটা ল্যাপটপের মাধ্যমেই হোক অথবা মোবাইল ফোন, গেম কনসোল, এমপিথ্রি প্লেয়ারের মাধ্যমেই হোক। এদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমান বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে ২৩ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সবকিছু মিলিয়ে ৩২ ভাগ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইমেইল, মেসেজিং, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজে।

ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাদা আমেরিকানের চেয়ে আফ্রিকান আমেরিকান সংখ্যায় বেশি। আফ্রিকান আমেরিকানদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ২৯ শতাংশ, অন্যদিকে সাদা আমেরিকানের ব্যবহারের হার ১৭ শতাংশ। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকলে সাদা আমেরিকানের চেয়ে আফ্রিকান আমেরিকানের ইন্টারনেট ব্যবহারের সম্ভাবনা ৭০ ভাগ বেশি।

ইন্টারনেট ব্যবহারের কাজের মধ্যে রয়েছে ইমেইল চেক করা, টেক্সট মেসেজ পাঠানো বা গ্রহন করা, ছবি ব্যবহার, গেম খেলা, ওয়েব পেজ দেখা, ভিডিও দেখা, ম্যাপ দেখা, গান শোনা ইত্যাদি।

ফুজিফিল্মের থ্রিডি ক্যামেরা Worlds first 3D Imaging System

ডিজিটাল ছবির জগতে নতুন এক ধারার সুচনা করল ফুজিফিল্ম। তাদের Finepix Real 3D W1ক্যামেরা থ্রি-ডাইমেনশনাল ছবি উঠাবে। এতে দুটি সিসিডি সেন্সর একই সময়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে একই ছবি উঠাবে এবং এগুলিকে একত্রিত করে ত্রিমাত্রিক ছবিতে পরিনত করবে। শুধু ষ্টিল ছবিই নয়, ভিডিওর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে কাজ করবে।

নতুন এই থ্রিডি ছবি উঠানোর পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে রিয়ের থ্রিডি লেন্স সিষ্টেম। সত্যিকারের থ্রিডি ছবির জন্য প্রয়োজন দুদিক থেকে দুটি লেন্স ব্যবহার করা। ফুজিফিল্ম এজন্য দুটি ফুজিনন লেন্স ব্যবহার করেছে। এছাড়া ছবি প্রসেস করার জন্য বিশেষভাবে রিয়েল ফটো (আরপি) প্রসেসর থ্রিডি নামে নতুন প্রযুক্তি তৈরী করতে হয়েছে। এর কাজ একই সময়ে দুটি সেন্সর এবং লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস, ব্রাইটনেস, কালার ইত্যাদি ঠিক করা। এসর করার পরও এতে ৩এক্স জুম রাখা হয়েছে। প্রসেসিংএর কাজগুলি ক্যামেরা নিজেই করে বলে ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। যে কেউ খুব সহজে ছবি উঠিয়ে খালি চোখে থ্রিডি ছবি দেখা যাবে।

ক্যামেরায় টুডি/থ্রিডি সিলেক্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে। একই সময়ে দুই কোন থেকে দুটি ছবি উঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। যে ডিসপ্লে রয়েছে তাতে সরাসরি থ্রিডি দেখা যায়। এছাড়া থ্রিডি দেখার জন্য থ্রিডি পিকচার ভিউয়ার নামে বিশেষ স্ক্রিনও পাওয়া যাবে। আর যদি থ্রিডি পিন্ট করতে চান সেব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফুজিফিল্মের বিশেষ ধরনের প্রিন্টার ব্যবহার করে খুব সহজেই থ্রিডি ছবি কাগজে পাওয়া যাবে। যদিও এজন্য তাদের বিশেষভাবে তৈরী কাগজ ব্যবহার করতে হবে।

১০ মেগাপিক্সেল এই ক্যামেরায় এসডি/এসডিএইচসি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ইউএসবি অথবা ইনফ্রারেড পোর্ট ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দেয়া যাবে।

ক্যামেরাটি সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। দাম এখনো জানানো হয়নি।

July 25, 2009

অধিক বন্ধুর কারনে ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছেন বিল গেটস Bill Gates quits Facebook

মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক থেকে তার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। কারন, বন্ধুর আধিক্য। এত বেশিসংখ্যক মানুষ তারসাথে বন্ধুত্ব করতে যায় যা তার সাধ্যের বাইরে। দিল্লীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তি বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিনি তা বন্ধ করে দেন। ভারত সরকারের কাছ থেকে শান্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধি পুরস্কার নেয়ার জন্য তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী মেলিন্দা গেটসের সমাজ সেবামুলক কাজের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়।

গেটস ফাউন্ডেশন ভারতে স্বাস্থ্যখাতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি দান করেছে। মুলত এইডস এবং পোলিও রোগের চিকিৎসার জন্য এই অর্থ দেয়া হয়েছে।

ফেসবুক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি টেক্সট মেসেজ পাঠানোয় ততটা দক্ষ নন। এছাড়া যতটা মনে করা হয় তিনি ততটা ২৪ ঘন্টা প্রযুক্তি নিয়ে থাকার মানুষও নন।

বিল গেটসের বক্তব্য তিনি প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি টেবিলে কম্পিউটার দেখতে চান। এই প্রযুক্তি মানুষের জন্য খুবই উপকারী। সেইসাথে একথাও বলেছেন, ঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এটা প্রচুর সময় নষ্ট করে।

অপটিক্যাল জুম সহ ক্যামেরা ফোন Altec 3X Optical Zoom Camera Phone

নোকিয়া অপটিক্যাল জুম সহ ক্যামেরাফোন ছেড়েছিল একবার। আবারও ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে। অন্যান্য কোম্পানীও সেপথে যাবার কথা বলেছে। তাদের কোনটিই সত্যিকারের ক্যামেরার বিকল্প হবে এমনটা ধরে নিচ্ছেনা কেউই। এমন সময় চীনের এক কনফারেন্সে ঘোষনা এলো তাইওয়ানের কোম্পানী এলটেক কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে, তারা মোবাইল ফোনে সত্যিকারের ক্যামেরা আনতে যাচ্ছে। একে বলা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম প্রফেশনাল ক্যামেরা ফোন। মুলত মোবাইল ফোন হলেও এতে ৩এক্স অপটিক্যাল জুম সহ ১২.২ মেগাপিক্সেল ষ্টিল এবং ভিডিও করার সুবিধে থাকবে।

তুলনামুলক কম পরিচিত হলেও এলটেক বিশ্বের একমাত্র কোম্পানী যার নিজেরই ইমেজ প্রসেসর ডিজাইনের সামর্থ্য রয়েছে। তাদের ক্যামেরায় তাদের নিজেদের তৈরী ইমেজ প্রসেসর ব্যবহার করা হবে। টি-৮৬৮০ নামের এই ফোন থেকে ছবি পাওয়া যাবে স্পষ্ট। এমনকি খুব অল্প আলোতেও ভাল ছবি উঠাতে পারবে।

এর ৩-এক্স জুম উন্নতমানের ক্যামেরার সাথে তুলনাযোগ্য। এতে সাধারন ক্যামেরার মতই সিসিডি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।

৩-এক্স অপটিকাল জুম ছাড়াও এতে ৫-এক্স ডিজিটাল জুম রয়েছে। এপারচার ৩.০ ৫.৬, ৫ সেমি দুরে ফোকাস করা যাবে, ৬টি শ্যুটিং মোড এবং ২০টি সিন মোড রয়েছে। এছাড়া স্মাইল ডিটেকসন, ফেস ডিটেকসনের সুবিধে রয়েছে। আইএসও ৮০ থেকে ৩২০০।

ফোন হিসেবে জিএসএম৯০০/১৮০০/১৯০০, এজ ১২, ৩ ইঞ্চি টিএফটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ৭০ মেগাবাইট নিজস্ব মেমোরী (মাইক্রো এসডি স্লট), ৩৫০ ঘন্টা ষ্ট্যান্ডবাই, ৪ ঘন্টা টক টাইম, ওজন ১৩৫ গ্রাম। এর আকার বেশ ছোট, ১১৩.৫ ৫২.০ ১৬.২২ মিমি।

শক্তিশালী ক্যামেরা ছাড়াও এতে অডিও প্লেয়ার, ভিডিও প্লেয়ার, এফ-এম রেডিও, ভয়েস রেকর্ডার, টিভি-আউট ইত্যাদি থাকবে।

এর প্রাপ্যতা এবং দাম এখনো জানানো হয়নি।

July 24, 2009

ফুজিফিল্মের সুপারজুম ক্যামেরা Fujifilm Finepix s200 EXR

ফুজিফিল্ম তাদের পুরস্কার পাওয়া সুপারজুম ক্যামেরাকে আপডেট করে ইএক্সআর টেকনোলজিতে এনে বাজারে ছেড়েছে অনেকগুলি কারনে এই ক্যামেরাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এটা একমাত্র ক্যামেরা যেখানে এসএলআরের মত জুম রিং ব্যবহার করা হয়েছে এএক্সআর সুপার সিসিডি সেন্সর ব্যবহারের ফলে এতে সিসিডি-র (ইএক্সআর) পাওয়া যাবে, এছাড়া তিনটি ব্যাকলাইট মোডে জেপেগ ক্যাপচার করা যাবে ১৪.৩ এক্স জুমের (৩০.৫ মিমি ৪৩৬ মিমি) এই ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল ছবি উঠাতে পারবে

এই ক্যামেরার প্রো-ফোকাস মোডে ছবি উঠানোর সময় কয়েকটি ছবি উঠিয়ে সেগুলিকে একত্রিত করে একটি ছবি তৈরীর ব্যবস্থা রয়েছে ফলে ছবি হবে স্পষ্ট এছাড়া প্রো-লোলাইট মোডে অল্প আলোতে ছবি উঠানোর সময় হাই আইএসওকে তোলা কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে মুল ছবি পাওয়া যাবে, ফলে কম আলোর জন্য যে নয়েজ থাকে তা দুর করা সম্ভব হবে

এতে ৫টি ফিল্ম সিমুলেশন মোড রয়েছে ব্যাটারীর কার্যক্ষমতা আগের এস১০০এফএস থেকে ৫০% বাড়ানো হয়েছে

ফুজিনন লেন্স এবং ক্যামেরার গঠন একে উচু মানের এসএলআরের সমকক্ষ করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই এর এপারচার ২.৮ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে

এই ক্যামেরার ফ্লাশকে বলা হচ্ছে সুপার ইন্টেলিজেন্ট ফ্লাশ এটা সাবজেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সব যায়গায় সমানভাবে আলো ফেলতে সক্ষম স্থির ছবি উঠানোর জন্য ডুয়াল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সিন মোডের সাথে সব ধরনের ম্যানুয়েল কন্ট্রোলের ব্যবস্থা তো আছেই

ভিডিও করার সময় অপটিক্যাল জুম ব্যবহার করা যাবে অপটিক্যাল জুমের সাথে ২এক্স ডিজিটাল জুম রয়েছে এর দাম ৬০০ ডলার।

উইন্ডোজের বিক্রিতে মন্দা Microsoft Sales Drop

মাইক্রোসফট এই প্রথমবারের মত উইন্ডোজের বিক্রিতে মন্দার ছাপ দেখেছে। এবং এর পরিমানও উল্লেখযোগ্য রকমের। তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় উইন্ডোজের বিক্রি ১৭ শতাংশ কমে গেছে। রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার সাথেসাথে মাইক্রোসফটের শেয়ারের মুল্য ৮ পয়েন্ট কমে গেছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই সফটওয়্যার নির্মাতা এবছরে ভালর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই দেখছে।

অর্থবছরের শেষ তিনমাসে তাদের বিক্রির পরিমান দাড়িয়েছে ১৩.১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে গড় ১৪.৪৮ বিলিয়ন। এর আগে কখনোই উইন্ডোজের বিক্রি কমতির দিকে যায়নি। মাইক্রোসফট জানাচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর নতুন অপারেটিং সিষ্টেম উইন্ডোজ ৭ রিলিজ দেয়ার পরও নিজে থেকেই ব্যবসা ভালোর দিকে যাবে এমন কথা নেই। তারা খরচ কমানোকে একটি পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করছে। এবছরই জানুয়ারীতে ৫,০০০ কর্মী ছাটাই করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের কোম্পানীর খরচ ২৬.৬ থেকে ২৬.৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

July 23, 2009

মজিলা থান্ডারবার্ড ৩ বেটা ৩ পাওয়া যাচ্ছে Thunderbird 3 beta 3 available

মজিলার ইমেইল সফটওয়্যার থান্ডারবার্ড রিলিজ ৩ এর বেটা ৩ ডাউনলোডের জন্য দেয়া হয়েছে। মজিলার কথা অনুযায়ী এতে ৫০০ এর অধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো পরিবর্তন আনা হবে। এই পরিবর্তনের অনেকগুলি গ্লোবাল ডাটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনের সাথে কাজ করবে। কাজেই আরো বেটা ভার্শন ভবিষ্যতে দেখা যাবে বলে ধারনা করা যায়।

আগের ভার্শন থেকে এর ইন্টারফেসে বেশ পরিবর্তণ আনা হয়েছে। সবচেয়ে বড় যা চোখে পড়বে তা হচ্ছে ইমেইল ট্যাব। ডাবল ক্লিক করে বা এন্টার চাপ দিয়ে কোন মেসেজ ওপেন করা যাবে। আরেকটি নতুন ফিচার হচ্ছে সামারি ভিউ। এরফলে একাধিক ইমেইলের বক্তব্য একসাথে দেখা সম্ভব। থান্ডারবার্ডের ভেতর থেকে জিমেইল ব্যবহারের ব্যবস্থা আছে অনেক আগে থেকে। তাকে আরো উন্নত করা হয়েছে।

সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স ইত্যাদি অপারেটিং সিষ্টেমে ব্যবহার করা যাবে। উইন্ডোজ ভার্শন ডাউনলোড করা যাবে নিচের ওয়েবসাইট থেকে;

http://download.cnet.com/Mozilla-Thunderbird/3000-2367_4-10909291.html

উইন্ডোজ ৭ মুল ভার্শন দেয়া শুরু হয়েছে Windows 7 released to computer makers

মাইক্রোসফট জানিয়েছে তারা তাদের সর্বশেষ অপারেটিং সিষ্টেম উইন্ডোজ ৭ এর ফাইনাল ভার্শন কম্পিউটার নির্মাতাদের দিতে শুরু করেছে। রিলিজ-টু-ম্যানুফ্যাকচারার (RTM) অর্থ নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের সাথে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার/ড্রাইভার ইত্যাদি তৈরীর কাজ করা যেন উইন্ডোজ নিজে থেকেই সেগুলি ব্যবহার করতে পারে। আগামী ২২ অক্টোবর তারিখে উইন্ডোজ সাধারনের বিক্রির জন্য আসার আগেই কাজগুলি সম্পন্ন করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই পর্যায়ে আসতে তাদের বহু পরীক্ষা করতে হয়েছে। ১ কোটির বেশি মানুষ নিজে থেকে উইন্ডোজ ৭ পরীক্ষার কাজে সহায়তা করেছে। হার্ডওয়্যার নির্মাতারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এর সাথে ব্যবহারউপযোগী কোড তৈরী করে নেবেন।

২২ অক্টোবর তারিখে ১২টি ভাষায় ছাড়া হবে। এরপর ৩১ অক্টোবর তারিখে আরো ২১টি ভাষায় ছাড়া হবে। ইউরোপে যে ভার্শন বিক্রি হবে তাতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থাকবে না।

এর আগের উইন্ডোজ ভিসতা নিয়ে মাইক্রোসফট প্রবল সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছিল। তারা জানিয়েছে এবারে তারা সেটা মুছে দিতে চায়। যারা ভিসতা হোম প্রিমিয়াম, বিজনেস কিংবা আলটিমেট কিনেছে তারা বিনামুল্যে উইন্ডোজ ৭ আপগ্রেড করার সুযোগ পাবে।

ফুজিফিল্মের সুপারজুম কমপ্যাক্ট ক্যামেরা Fujifilm F70EXR Compact Camera

ছোট আকারের সুপারজুম ক্যামেরার চাহিদা যত বাড়ছে বাজারে ক্যামেরার সংগ্রহ তত বাড়ছে। এবারে ফুজিফিল্ম এতে যোগ করল তাদের ছোট আকারের ১০-এক্স জুমের ক্যামেরা। এর পুরুত্ব মাত্র ২২ মিলিমিটার, ১ ইঞ্চির কম। ফুজিনন ব্রান্ডের লেন্সের ওয়াইড এঙ্গেল ২৭ মিমি। ধাতব বডি, ১/২ ইঞ্চি সুপার সিসিডি ইএক্সআর ১০ মেগাপিক্সেল সেন্সর। সিসিডি-সিফট টাইপ মেকানিক্যাল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন। আইএসও ১০০ থেকে ১২,৮০০। ২.৩ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে।

অন্যান্য সাধারন বিষয়ের সাথে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মত হচ্ছে প্রো-ফোকাস এবং প্রো-লো লাইট মোড। প্রথমটির ফলে কয়েকটি ছবি উঠিয়ে সেগুলিকে একত্রিত করে একটি সুস্পষ্ট ছবি তৈরী করে। পরেরটি হাই আইএসও ছবিকে একত্রিত করে কম আলোর জন্য যে নয়েজ তৈরী হয় তাকে দুর করে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হচ্ছে ফিল্ম সিমুলেশন মোড। এতে বিভিন্ন ধরনের ফিল্মটাইপ সিলেক্ট করে (Velvia, Provia, Astia, Black & White or Sepia) ছবি উঠানো যায়। ফেস ডিটেকসন ব্যবহার করে ছবির দ্বিতীয় আরেকটি কপি সেভ করা যায় অটোমেটিক রেড আই কারেকশন করে।

ক্যামেরায় ৪৭ মেগাবাইট নিজস্ব মেমোরী রয়েছে। এছাড়া এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এতে নিজস্ব লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। ইউএসবি ২.০ এবং টিভি কানেকটিভিটি রয়েছে।

এর দাম ২৮০ ডলার। আগষ্ট মাস থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ করা যেতে পারে ইএক্সআর টেকনোলোজী এবছর সেরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পুরস্কার পেয়েছে।

July 22, 2009

র‌্যামের দাম বাড়ছে

আপনার যদি নিকট ভবিষ্যতে র‌্যাম কেনা প্রয়োজন হয় তাহলে দাম বাড়ার আগেই কিনে নিন। উইন্ডোজ ৭ বাজারে আসার আগ মুহুর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে র‌্যামের দাম বাড়তির দিকে। অন্তত এই একটি দিকে পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত।

July 21, 2009

ভারতে হাইটেক বিনিয়োগ বাড়ছে India becomes R&D hot spot

মন্দার মুখে বিশ্বের হাইটেক প্রতিষ্ঠানগুলি যখন খরচ কমাচ্ছে তখন ভারতে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে আমেরিকান কোম্পানীগুলি ভারতে বিনিয়োগ করছে। খরচ কমাতে বিশেষ করে রিসার্চ সেন্টারগুলি তারা স্থানান্তর করছে ভারতে। মাইক্রোসফটের সিয়াটল হেডকোয়ার্টার থেকে ব্যাঙ্গালোর, এদিকেই বড় পরিবর্তনের কথা জানা যাচ্ছে।

ভারতে মাইক্রোসফটের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে ৬০ এর অধিক গবেষক কাজ করছেন, যার বড় অংশ ভারতীয় এবং ডিএইচডি ডিগ্রীধারী। এরপরও ভারতের উন্নতির পথে কিছু বাধা লক্ষ্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারী অর্থযোগানের অভাবে নিজে থেকে দক্ষতা অর্জন হচ্ছে কম, আবার উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির স্বল্পতাও বড় কারন। ভারতে বছরের প্রতিবছর ৩ লক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েট তৈরী হয়, এদের মধ্যে পিএইডি লাভ করে মাত্র ১০০ জনের মত। সেতুলনায় চীনে বা আমেরিকায় এই সংখ্যা দেড় থেকে দুহাজার।

মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার ষ্ট্রাটেজি বিভাগের প্রধান বলছেন অর্থের কারনে সেখানে কম বয়সে কেউ গবেষনায় আগ্রহি হয় না। এবিষয়ে চিনের স্পষ্ট নীতির কারনে তারা অনেক বেশি গবেষক তৈরী করছে। তুলনা করে বলা যায় চীনে ইতিমধ্যে ১১০০ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে যেখানে ভারতে রয়েছে ৮০০ এর কম। চীনে পিএইচডি শেষ করার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় তা-ই না, এদের পরবর্তীকালে ট্যাক্স সুবিধাও দেয়া হয়। এছাড়া বিশেষ জোন তৈরী, অবকাঠামোগত সুবিধা তৈরী, সহজে ঋন ইত্যাদি বিষয়ে চীন অনেক এগিয়ে ভারত থেকে। আমেরিকার সাথে তুলনায় আবিস্কারের পেটেন্ট বিষয়ে ভারত অনেক পিছিয়ে। আমেরিকায় বছরে পেটেন্ট করা হয় দেড় লক্ষের বেশি, ভারতে ৭ হাজার। যদিও ভারতের জনসংখ্যা আমেরিকার প্রায় চার গুন।

রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য চীনের তুলনায় ভারতে এখনো খরচ কম। তবে বলা হচ্ছে ভারতে প্রতিবছর তা ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খুব দ্রুতই চীনের কাছাকাছি পৌছুবে।

মাইক্রোসফট ছাড়াও সিসকো, ইন্টেল, আইবিএম, নোকিয়া, এরিকশন এসব কোম্পানীও ভারতে বিপুল পরিমানে বিনিয়োগ করেছে এবং স্থানীয় জনগনকে কাজে লাগাচ্ছে।

July 20, 2009

LG Cookie প্রতি ৫ সেকেন্ডে একটি বিক্রি

নোকিয়া, এপল এদের জোয়ারের মধ্যে শুনে অবাক হতেই পারেন, এলজি’র কুকি গত ৯ মাসে বিক্রি হয়েছে ৫০ লক্ষ। প্রতি ৫ সেকেন্ডে ১টি। সংখ্যাটি কড় বড় বোঝার জন্য আরো কিছু উদাহরন দেখুন। এগুলি পরপর সাজালে দৈর্ঘ্য হবে ৫৩৫ কিলোমিটার, একটির ওপর আরেকটি রাখলে উচ্চতা হবে ৫৯.৫ কিলোমিটার, এভারেষ্টের চেয়ে ৬ গুন বেশি, এগুলির ওজন ৪৪৫ মেট্রিক টন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রানী নীল তিমির আড়াইটির সমান।

মুল এলজি কুকি হচ্ছে LG KP500। পরে এরসাথে যোগ হয় KP501 এবং KP502। এদের মধ্যে শেষ দুটি অরেঞ্জ এবং ভোডাফোনের জন্য নির্দিষ্ট করে তৈরী। টিভি সহ আরেকটি ফোন রয়েছে যা শুধুমাত্র দক্ষিন কোরিয়ায় বিক্রি হয়।

KP500 এর স্পেসিফিকেশন হচ্ছে ৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিণ, জিপিআরএস, এজ, ব্লুটুথ, ইউএসবি, ৩.১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইত্যাদি রয়েছে। থ্রিজি, ওয়াই-ফাই নেই।

এর দাম মোটামুটি ১৫০ ডলারের মত।

জেভিসির নতুন ভিডিও ক্যামেরা JVC Everio GZ-X900

জেভিসি নতুন একটি হাই-ডেফিনিশন ফ্লাশ মেমোরী ভিত্তিক ভিডিও ক্যামেরা বাজারে ছেড়েছে। ডিজাইন এবং কাজ দুদিক থেকেই এটি বৈশিষ্টের দাবীদার। এর গঠন সাধারন ক্যামেরা থেকে আলাদা, কিছুটা চৌকো আকৃতির এবং ছোট। ফলে হাতের সাথে আটকে রাখার যে ষ্ট্রিপ ব্যবহার করা হয় তার প্রয়োজন নেই। এবং ভিডিও ক্যামেরা হলেও অনায়াসে ৯ মেগাপিক্সেল ষ্টিল ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এতে ১০.২ মেগাপিক্সেল সিমোস সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। কনিকা-মিনোল্টার ৫ এক্স অপটিক্যাল জুম লেন্স জুমের বিচারে কম মনে হতে পারে। ষ্টিল ছবি উঠানোর জন্য ফ্লাশ রয়েছে লেন্সের ঠিক ওপরে। ষ্টিল ছবি উঠানোর গুরুত্ব দিয়ে এতে আইএসও, সেল্ফ টাইমার, ব্রাকেটিং, দুটি কন্টিনিউয়াস শুটিং মোড এবং তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্পিড মোড রাখা হয়েছে। হাই স্পিড শ্যুটিং এই ক্যামেরার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট।

ক্যামেরাটির অটোমেটিক সেটিং চমৎকার। এছাড়াও ফোকাস, সাটার স্পিড, হোয়াইট ব্যালান্স, এক্সপোজার ইত্যাদি ম্যানুয়েল সেটি করার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে বিল্ট-ইট ষ্টেরিও মাইক্রোফোন থাকলেও এক্সটারনাল মাইক্রোফোন লাগানোর ব্যবস্থা নেই। অপটিক্যাল জুমের সাথে ৩২এক্স এবং ২০০এক্স দুটি সেটিংএ ডিজিটাল জুম ব্যবহার করা যাবে।

ক্যামেরাটির দাম ১০০০ ডলার।

অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে ওয়াইম্যাক্স WiMax in Bangladesh, at last . . . .

বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে দ্রুতগতির তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবস্থা ওয়াইম্যাক্স চালু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অগরি ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড বাংলাদেশ লিঃ। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিকভাবে এই সেবা চালু হবে গুলশান, বনানী এবং বারিধারা এলাকায়। এর গতি কখনই ১২৮ কিলোবাইটের নিচে হবে না বলে জানানো হয়েছে। কয়েকদিন পরীক্ষামুলকভাবে চালানোর পর ঢাকা শহরের সমস্ত এলাকাকে এর আওতায় আনা হবে।

লাইসেন্স দেয়ার সময় শর্ত হিসেবে ৬ মাসের মধ্যে এই সেবা চালু করার কথা ছিল। বিভিন্ন সময় নানারকম কারন দেখিয়ে ১ বছরের বেশি সময় পার করা হয়েছে। আরেক লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানী বাংলালায়ন এমাসেই যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ করবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে আগামী মাসের প্রথমদিকে তারাও সেবা প্রদান শুরু করতে পারে। আরেক প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল এখনও পার্টনার পায়নি। কোম্পানীগুলি বলছে এবছরের শেষ নাগাদ মানসম্মত সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য বাংলালায়ন ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার গ্রাহক রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছে।

July 19, 2009

হাজার বছর টেকসই ডিভিডি DVD-compatible discs will last for centuries

একসময় বলা হত সিডি-র সেলফ লাইফ একশ বছর। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হত ভিডিও টেপ থেকে সিডি করভার্শনের বিজ্ঞাপনে। অর্থাৎ একবার যদি ভিডিও ক্যাসেট থেকে সিডিতে নিতে পারেন তাহলে আর নষ্ট হবার ভয় নেই। বর্তমানে ভুক্তভোগি ভাল করেই জানেন সিডির নিশ্চয়তা কতটুকু। একসময় মানুষ ফ্লপি ডিস্কের ওপর নির্ভর করত, বর্তমানে সিডির ওপর নির্ভর করে না।

এরই মধ্যে আশার বাণী শুনিয়েছে মিলেনিয়েটা। তারা বলছে তারা এমন এক ধরনের ষ্টোরেজ পদ্ধতি বের করেছে যা কয়েকশ বছর টিকে থাকবে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, তারা উল্লেখ করেছে ১ হাজার বছর। আবার একই সাথে আগের যে কোন ডিভিডিরমে ব্যবহার করা যাবে। এর ধারনক্ষমতাও ডিভিডি-৫ এর সমান, ৪.৭ গিগাবাইট।

এই ডিস্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। যতটুকু জানা গেছে তাতে বলা হচ্ছে এতে বর্তমানের অর্গানিক ডাই বেজড লেয়ারের বদলে ইনঅর্গানিক লেয়ার ব্যবহার করা হবে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এটা অবসিডিয়ান (obsidian)এর মত কিছু। এর জন্য আরো শক্তিশালী লেজার প্রয়োজন হবে। যার অর্থ এর রাইটারও হবে পৃথক।

বিষয়টি ভিন্ন কোন সুত্র থেকে এখনো যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে কেউ কেউ বলছেন এতে বর্তমানের ডিভিডির মত দুপাশে পলিকার্বনেট লেয়ার ব্যবহার করা হবে, এবং এটাই ডিস্কের দুর্বলতম যায়গা। এছাড়া বাজারে আসার পর নতুন অবস্থায় প্রতিটি ডিস্কের দাম ২৫ থেকে ৩০ ডলার হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এর যাত্রা শুরু হয় বার্মিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির এক গবেষনার মাধ্যমে। বলা হচ্ছে এবছরই শেষের দিকে একে বাজারে পাওয়া যাবে। ইউতাহ ডেইলি হেরাল্ড এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

পাইরেট বে বৈধ হতে যাচ্ছে New Pirate Bay to be based on give-and-take models

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইন্টারনেট ফাইল শেয়ারিং ওয়েব সাইট পাইরেট বে বৈধ হতে যাচ্ছে। এই ওয়েব সাইটটি কিনে নিয়েছে সুইডেনের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান গ্রোবাল গেমিং ফ্যাক্টরী এক্স। এর প্রধান হ্যানস পান্ডিয়া বলেছেন এই সাইট দেয়া-নেয়ার ভিত্তিতে চলবে। আপনি যত বেশি দেবেন তত বেশি পাবেন। তবে যারা এই সাইটটি ব্যবহার করেন তাদের ভয়, নতুন মালিকের হাতে গেলে হয়ত মুভি, গেম, মিউজিক ইত্যাদির জন্য অর্থ নেয়া হবে। এখন পর্যন্ত বিনামুল্যে সেগুলি পাওয়া যায়। এবছরই এপ্রিল মাসে অবৈধভাবে এগুলি বিলি করার জন্য পাইরেসির অপরাধে চারজনকে অভিযুক্ত করে ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৩৮ লক্ষ ডলার জরিমানা করা হয়।

পান্ডিয়া জানিয়েছেন তারা একে একটি বিদেশী কোম্পানীর কাছ থেকে কিনেছেন। সেই মালিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ৬ কোটি ক্রোনার (প্রায় ৮০ লক্ষ ডলার) দিয়ে কেনা এই কোম্পানী কখনো আইটিউন ষ্টোর কিংবা ন্যাপষ্টার-এর মত পুরোপুরি পে-সাইট হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এই সাইট ব্যবহারের জন্য মাসিক অর্থ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এই অর্থ নিজের ফাইল আপলোডের মাধ্যমে কিংবা ষ্টোরেজ ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে পরিশোধ করা যেতে পারে।

তবে যত ভাল কথাই বলা হোক না কেন, বর্তমানে ব্যবহারকারীরা যে সুযোগ পাচ্ছেন সেটা খর্ব হতে যাচ্ছে বিষয়টা মোটামুটি নিশ্চিত।

July 18, 2009

ভার্বাটিমের পোর্টেবল হার্ডডিস্ক SureFire portable Harddisk from Verbatim

ষ্টোরেজ ডিভাইস তৈরীর জন্য সুপরিচিত ভার্বাটিম জানিয়েছে তারা পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে। সহজে বহনযোগ্য এই হার্ডডিস্কগুলি আকারে ছোট হবে, ইউএসবি এবং ফায়ারঅয়্যার দুধরনের পোর্টে কাজ করবে (পৃথক পাওয়ার প্রয়োজন হবে না) এবং উইন্ডোজ অথবা ম্যাক সবখানেই কাজে লাগানো যাবে। এগুলি পাওয়া যাবে ২৫০, ৩২০ এবং ৫০০ গিগাবাইট ধারনক্ষমতার। এগুলি ফায়ারঅয়্যার পোর্টে ৮০০ মেবা/সে এবং ইউএসবি পেডার্টে ৪৮০ মেবা/সে রেটে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে। এর নাম SureFire.

উইন্ডোজ ২০০০, এক্সপি, ভিসতা, উইন-৭ এবং ম্যাক অপারেটিং সিষ্টেম ১০ কম্পাটিবল শকপ্রুফ এই হার্ডডিস্কগুলি কালো রঙের এল্যুমিনিয়াম দিয়ে মোড়ানো। আকার ৩.১৩ ০.৬৬, ওজন ১৮৬ গ্রাম। এগুলির দাম যথাক্রমে ১১০, ১৪০ এবং ১৮০ ডলার। প্রতিটির জন্য ৩ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া হবে।

July 17, 2009

চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আমেরিকার জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে

চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার আমেরিকার মোট জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। সরকারী তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ব্যবসার পরিমান বিপুল পরিমানে বেড়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৩ কোটি ৮০ লক্ষ।

সবচেয়ে বেশি ব্যবহারের তালিকায় রয়েছে মেসেজ বোর্ড, সোস্যাল সাইট এবং অন্যান্য বিনোদনমুলক সাইট। ছয় মাস আগের তুলনায় ইন্টারনেটে ভিডিও দেখার পরিমান বেড়েছে ১০ শতাংশ। শতকরা ২৫ ভাগের বেশি ইন্টারনেটে কেনাকাটা করে। ওয়েব সাইটের দিক থেকেও চীন বিশ্বে এক নম্বরে। তাদের .cn ব্যবহার করা ওয়েব সাইটের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ।

মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ। প্রায় সকলেরই ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এবং এদের ২৫ শতাংশ থ্রিজি ব্যবহারে আগ্রহী। বলা হচ্ছে থ্রিজির ইচ্চ মুল্যের কারনে মানুষ এতে ততটা আগ্রহি হচ্ছে না।

এই বিশাল সংখ্যার পরও জনসংখ্যার অনুপাতে তা ২৫ শতাংশ।

কতটুকু মেমোরী প্রয়োজন How much RAM is enough

যত বেশি লাগাবেন তত বেশি ফল পাবেন। কম্পিউটারের মেমোরী সম্পর্কে এধারনাই প্রচলিত। অর্থাৎ আপনার যতটা সাধ্য আছে কিনবেন এবং কম্পিউটারের যতটা সাধ্য আছে লাগাবেন। আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়তেই থাকবে।

আসলে বিষয়টি কি। মেমোরী কিভাবে গতি বাড়ানোর কাজটি করে। ইচ্ছেমত মেমোরী বাড়াতে থাকলে গতি বাড়তেই থাকবে এর সত্যতাই বা কতটুকু। আসলে মেমোরী ঠিক কোন কাজটি করে।

মেমোরী কম্পিউটারের এমন একটি অংশ যেখানে তথ্য জমা থাকে। অন্য ডিস্ক থেকে এর পার্থক্য হচ্ছে প্রসেসর সরাসরি এখান থেকে তথ্য পড়তে পারে। অন্যভাবে বললে, আপনি হার্ডডিস্ক থেকে একটি ফাইল পড়ছেন (ওপেন করছেন) বলার অর্থ হল ফাইলকে মেমোরী নাম যায়গায় পাঠাচ্ছেন। মেমোরী বা র‌্যাম হচ্ছে একটি যায়গার নাম যা তথ্যকে রাখতে পারে।

আপনি যে অপারেটিং সিষ্টেমই ব্যবহার করুন না কেন, উইন্ডোজ ৯৮, এক্সপি, ভিসতা অথবা লিনাক্স বা অন্যকিছু, যখন অপারেটিং সিষ্টেম চালু হয় তার কিছুটা অংশ মেমোরীতে জমা হয়। অর্থাৎ সে কিছুটা যায়গা দখল করে। এটুকু না থাকলে আপনি সেই অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না। উদাহরন, ৫১২ মেগাবাইট মেমোরী না হলে ভিসতা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন অপারেটিং সিষ্টেমে কতটুকু মেমোরী প্রয়োজন তা উল্লেখ করা থাকে।

এর কাজের কথায় আসা যাক। আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, আপনি যে প্রোগ্রাম ওপেন করবেন, ওপেন করার অর্থ তার একটা অংশ মোমোরীতে পাঠানো। সে আরো কিছুটা যায়গা দখল করে। প্রোগ্রামটি কতটুকু যায়গা ব্যবহার করবে সেটা সেই প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে। যেমন ইমেইল ব্যবহারের জন্য সামান্য যায়গাই যথেষ্ট, ওয়ার্ডের জন্য তারচেয়ে বেশি, ফটোশপের জন্য তারচেয়ে বেশি। আবার ভার্শনের ওপরও এটা কমবেশি হয়। যে পরিমান মেমোরীতে ফটোশপ ৫ ব্যবহার করতে পারবেন সেই পরিমান মেমোরীতে ফটোশপ সিএস-৪ ব্যবহার করা যাবে না।

এরপর কাজের বিষয়ে আসা যাক। আপনি সেই প্রোগ্রামে যে ডকুমেন্ট ওপের করবেন সেটা মেমোরীতে যায়গা দখল করবে। যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টেক্সট নিয়ে কাজ করেন আপনার অল্প যায়গাতেই চলবে, যদি ফটোশপে ভিউকার্ডের সমান ইমেজ নিয়ে কাজ করেন তাহলে তারচেয়ে বেশি মেমোরী প্রয়োজন হবে, যদি পোষ্টার সাইজের ছবি নিয়ে কাজ করেন তাহলে প্রয়োজন হবে আরো বেশি। ছবিতে লেয়ার যত বাড়বে মেমোরীতে তত বেশি যায়গা প্রয়োজন হবে।

কোন কোন সফটওয়্যারে প্রসেসিংএর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমান মেমোরী প্রয়োজন হয়। যেমন এনিমেশন কিংবা ভিডিও রেন্ডারিংএর সময়। আপনার কাজ যত জটিল হবে, মেমোরীর প্রয়োজন হবে তত বেশি। আসলে কতটা প্রয়োজন জানার জন্য সেই সফটওয়্যারের তথ্য দেখুন। তারা স্পষ্ট করে সবকিছু লিখে দেয়।

সাধারন ধারনা হচ্ছে, মেমোরী বাড়ালে স্পিড বাড়ে। বাস্তবে স্পিড বাড়ানোর সাথে মেমোরী কোন সম্পর্ক নেই। যা ঘটে তা হচ্ছে আপনার যদি প্রয়োজনের চেয়ে কত মেমোরী থাকে তাহলে অপারেটিং সিষ্টেম হার্ডডিস্ককে মেমোরী হিসেবে ব্যবহার করে, ফলে স্পিড কম মনে হয়। স্পিড সঠিক পাওয়ার জন্য হার্ডডিস্কে যথেষ্ট পরিমান যায়গা ফাকা রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপুর্ন।

আপনার ঘুমানোর জন্য শরীরের সাথে মানানসই বিছানা প্রয়োজন ফুটবল মাঠের সমান বিছানা আপনার কোন কাজে আসবে না। অতিরিক্ত মেমোরীর বিষয়টি ঠিক তেমনই। আপনার অপারেটিং সিষ্টেম, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার, কাজ সবকিছু হিসেব করে ঠিক করুন আপনার কম্পিউটারে কতটুকু মেমোরী প্রয়োজন।

July 16, 2009

নিরাপদ হার্ডডিস্ক Rugged HD/Multimedia Player

বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক ব্যবহারের সময় একটা ভয় থেকেই যায়, হাত থেকে পড়ে গেলে, পানি লাগলে এমনকি ঝাকুনি লেগে নষ্ট হতে পারে। মুল্যবান তথ্য হারিয়ে যেতে পারে চিরদিনের জন্য। এই সমস্যার সমাধান দিতে হার্ডডিস্ক/মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার বাজারে এনেছে লা-সি। এর নাম লা-সিনেমা রাগড এইচডি (LaCinema Rugged HD) নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা শুধু পোর্টেবল হার্ডডিস্ক হিসেবেই কাজ করবে না বরং অডিও-ভিডিও প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। হাই ডেফিনিশন টিভির সাথে সরাসরি সংযোগ দেয়া যাবে একে।

এতে হাই-ডেফিনিশন এবং কম্পোজিট আউটপুট ছাড়াও ইউএসবি ২.০ ট্রান্সফারের ব্যবস্থা রয়েছে। এর নিজস্ব প্রায় সব ধরনের কোডেক রয়েছে। এল্যুমিনিয়ামের এপর রাবার দিয়ে ঘেরা ছোট আকারের এই হার্ডডিস্ক সহজে ব্যবহারের জন্য রিমোটও রয়েছে।

৫০০ গিগাবাইট ধারনক্ষমতার এই হার্ডডিস্ক/প্লেয়ারের দাম ৩৫০ ডলার।

স্যামসাং এর নতুন মোবাইল Samsung T-749

স্যামসাং আরেকটি আকর্ষনীয় নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে আনছে। টি-মোবাইল সিরিজের এই সেটের নাম স্যামসাং টি-৭৪৯ হাইলাইট। মুলত ইন্টারনেটের দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরী এই টাচফোনে কম্পিউটার ছাড়াই সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার, ইমেইল ইত্যাদি কাজ খুব সহজে করা যাবে।

এর ডিসপ্লে ৩ ইঞ্চি। টাচস্ক্রিনে ফুল কিবোর্ড ব্যবহার করা যাবে। ডিসপ্লে ১৬ মিলিয়ন কালার। আকার এবং আয়তনেও সেটটি বেশ ছোট, ওজন ১০৫ গ্রাম। থ্রিজি ছাড়াও এতে কোয়াড ব্যান্ড জিএসএম, ডুয়াল ব্যান্ড এইচএসডিপিএ রয়েছে। এতে ইমেইল, এআইএম, উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার, ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।

সোস্যাল কানেকটিভিটির বাইরে এই সেটে রয়েছে ইউএসবি, এ২ডিপি সহ ব্লুটুথ, ৩ মেগাপিক্ষের ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিং এবং বিভিন্ন ফরম্যাটের কোডেক সাপোর্ট।

রং অনুযায়ী দুধরনের সেট বিক্রি করা হবে, ফায়ার এবং আইস। ফায়ারের রং লালের ওপর কমলা এবং আইসের রং নীলের ওপর কালো।

দুবছরের কন্ট্রাক্টসহ আমেরিকায় এই হ্যান্ডসেটের দাম ১৫০ ডলার। এমাস থেকেই সেটটি বাজারে পাওয়া যাবে।

ভারতে নোকিয়ার অনলাইন গানের দোকান Nokia’s India Music Store

নোকিয়া ভারতে তাদের অনলাইন গানের দোকান পরীক্ষামুলকভাবে চালু করেছে। যারা নোকিয়ার হ্যান্ডসেট বা অন্য কোন পন্য কিনবেন তারা তাদের ভাওচারের বিপরীতে এই সাইট থেকে ডাউনলোডের সুযোগ পাবেন। এবছরই সাধারন ক্রেতাদের জন্য সেবা চালু করা যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

টাকার বিনিময়ে ডাউনলোডের ক্ষেত্রে অনলাইনে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হয়। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় কোন সহযোগি প্রতিস্ঠান এরসাথে জড়িত থাকলে তবেই অনলাইনে লেনদেন করা যায়। এজন্য নোকিয়াকে অপেক্ষা করতে হবে তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার এইচসিএল ইনফোসিষ্টেমস এর অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা চালুর জন্য। বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল সেবা প্রতিস্ঠান সহ অনেকেই অনলাইনে মিউজিক বিক্রির ব্যবসা করছে।

নোকিয়া এরই মধ্যে ভারতের বড়বড় মিউজিক কোম্পানী, যেমন টি-সিরিজ, টাইমস মিউজিক, ইউনিভার্সাল মিউজিক ইন্ডিয়া এদের সাথে চুক্তি করেছে।

July 15, 2009

এপল ষ্টোরে ১৫০ কোটি ডাউনলোড 1.5B Download at Apple Apps Store

এপল জানিয়েছে তাদের ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সফটওয়্যার বিক্রির জন্য এই সাইট চালু করা হয় মাত্র ১ বছর আগে। এই তথ্য বলে দেয় মোবাইল ব্যবসায় এটা একক সবচেয়ে বড় সাফল্য। বিষয়টি এখানেই থেমে নেই, তথ্য থেকে জানা যায় ডাউনলোডের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দেড়শ কোটির শেষ ৫০ কোটি যোগ হয়েছে গত ৩ মাসে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৬০ লক্ষ ডাউনলোড হয় তাদের ওয়েবসাইট থেকে।

এপলের এপস ষ্টোরে সফটওয়্যার রয়েছে ৬৫ হাজারের বেশি। এগুলি ব্যবহারের জন্য মানুষের হাতে আইফোন এবং আইপড টাচ রয়েছে বিশ্বের ৭৭টি দেশে ৪ কোটির বেশি। এই সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে অল্পদিন হল অন্যান্য প্রধান মোবাইল প্রস্তুতকারকদের প্রায় সকলেই এধরনের অনলাইন এপ ষ্টোর চালু করেছে।