মন্দার মুখে বিশ্বের হাইটেক প্রতিষ্ঠানগুলি যখন খরচ কমাচ্ছে তখন ভারতে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে আমেরিকান কোম্পানীগুলি ভারতে বিনিয়োগ করছে। খরচ কমাতে বিশেষ করে রিসার্চ সেন্টারগুলি তারা স্থানান্তর করছে ভারতে। মাইক্রোসফটের সিয়াটল হেডকোয়ার্টার থেকে ব্যাঙ্গালোর, এদিকেই বড় পরিবর্তনের কথা জানা যাচ্ছে।
ভারতে মাইক্রোসফটের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে ৬০ এর অধিক গবেষক কাজ করছেন, যার বড় অংশ ভারতীয় এবং ডিএইচডি ডিগ্রীধারী। এরপরও ভারতের উন্নতির পথে কিছু বাধা লক্ষ্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারী অর্থযোগানের অভাবে নিজে থেকে দক্ষতা অর্জন হচ্ছে কম, আবার উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির স্বল্পতাও বড় কারন। ভারতে বছরের প্রতিবছর ৩ লক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েট তৈরী হয়, এদের মধ্যে পিএইডি লাভ করে মাত্র ১০০ জনের মত। সেতুলনায় চীনে বা আমেরিকায় এই সংখ্যা দেড় থেকে দুহাজার।
মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার ষ্ট্রাটেজি বিভাগের প্রধান বলছেন অর্থের কারনে সেখানে কম বয়সে কেউ গবেষনায় আগ্রহি হয় না। এবিষয়ে চিনের স্পষ্ট নীতির কারনে তারা অনেক বেশি গবেষক তৈরী করছে। তুলনা করে বলা যায় চীনে ইতিমধ্যে ১১০০ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে যেখানে ভারতে রয়েছে ৮০০ এর কম। চীনে পিএইচডি শেষ করার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় তা-ই না, এদের পরবর্তীকালে ট্যাক্স সুবিধাও দেয়া হয়। এছাড়া বিশেষ জোন তৈরী, অবকাঠামোগত সুবিধা তৈরী, সহজে ঋন ইত্যাদি বিষয়ে চীন অনেক এগিয়ে ভারত থেকে। আমেরিকার সাথে তুলনায় আবিস্কারের পেটেন্ট বিষয়ে ভারত অনেক পিছিয়ে। আমেরিকায় বছরে পেটেন্ট করা হয় দেড় লক্ষের বেশি, ভারতে ৭ হাজার। যদিও ভারতের জনসংখ্যা আমেরিকার প্রায় চার গুন।
রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য চীনের তুলনায় ভারতে এখনো খরচ কম। তবে বলা হচ্ছে ভারতে প্রতিবছর তা ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খুব দ্রুতই চীনের কাছাকাছি পৌছুবে।
No comments:
Post a Comment