ইন্টারনেট অথবা ই-বুক রিডার কিংবা মোবাইল ফোনে ই-বুক পাঠের অবস্থান এখনও কাগজের বইয়ের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার মত পর্যায়ে আসেনি। তবে হতে যাচ্ছে। বইয়ের সবচেয়ে বড় মেলা ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায় ই-বুকের ষ্টল দেয়া হচ্ছে। বহু প্রকাশক তাদের বইয়ের ই-বুক ভার্শন নিয়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে। বলা হচ্ছে এটা আগামীতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে বইয়ের ক্ষেত্রে। নেদারল্যান্ডের বিজি বি প্রকাশনার একজন এডিটর বলেছেন, সকলেই এতে আগ্রহি। তারপরও মনে হচ্ছে তারা অজানা কিছু দেখছেন।
বৃটেনের শীর্ষস্থানিয় প্রকাশনা সংস্থা ফেবার এন্ড ফেবারের জেসন কুপারের বক্তব্য, বই এখনও ভাল প্রযুক্তি। আপনার যা প্রয়োজন সবই করতে পারে। বই কখনো শেষ হবে না। এখনই এদেরকে ইলেকট্রনিক ধারায় আনা প্রয়োজন।
ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রেস ১৯৯০ সাল থেকে ই-বুক বের করছে। তারা জানাচ্ছেন তাদের বইয়ের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক, ৪০০০ বই কিন্ডলের ই-বুক হিসেবে পাওয়া যায়।
অনেকের মতে মানুষ এখনও এ সম্পর্কে তেমন জানে না। বই কোথায় পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে ও ধারনা নেই। কিন্ডলে, সনি, মোবাইল ফোন, আইপড ইত্যাদি সেদিক থেকে খুবই ভাল কাজ করছে।
বইমেলায় শুধু যে প্রকাশনা সংস্থাগুলি ই-বুকের দিকে চোর দিচ্ছে এমন না, ইউরোপিয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডিজিটাল লাইব্রেরি খোলা হচ্ছে। তাদের গত ৫০ বছরের সমস্ত তথ্য ৫০টি ভাষায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামুল্যে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের মোট ডকুমেন্টের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার, পৃষ্ঠা হিসেবে ১ কোটি ২০ লক্ষ। ছাপানো আকারে একটি তাকে রাখলে তার দৈর্ঘ্য হবে ৪ কিলোমিটার।
No comments:
Post a Comment