ক্লিক করে আয়
বা পিটিসি ইন্টারনেটে আয়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এর সুবিধে হচ্ছে এজন্য
কোন বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন হয় না যেমনটা প্রয়োজন হয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার
সময়। এমনকি ডাটা এন্ট্রি কাজ করার সময়। আর অসুবিধে হচ্ছে এভাবে আয় খুব কম, কখনো
কখনো যতটুকু সময় ব্যয় করতে হয় তার সমপরিমান ইন্টারনেট খরচও পাওয়া যায় না, কোন কোন
কোম্পানী আদৌ টাকা দেয় না।
এতসব সমস্যার
মধ্যেও কিছু পিটিসি সাইট সুনামের সাথে কাজ করছে। এখানে এধরনের কয়েকটি সাইটের
পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে।
আগে পিটিসি সম্পর্কে
কিছু জেনে নেয়া ভাল। এটা টাকা দেয় বিজ্ঞপান দেখার জন্য। বিজ্ঞাপনদারার সাথে তাদের
চুক্তি হয় কোন বিজ্ঞাপন কতবার দেখানোর জন্য কত টাকা দিতে হবে। এরপর সেই বিজ্ঞাপনের
তাদের সাইটে রাখা হয়। সেখানে ক্লিক করলে প্রতি ক্লিকের জন্য টাকা পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন সাধারনত ৩ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের হয়। অল্প সময়ের
বিজ্ঞাপনে টাকা কম, বেশি সময়ের টাকা বেশি। যেমন ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে .০১ ডলার,
৩ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে .০০১ ডলার।
প্রতিটি পিটিসি
সাইটের নিজম্ব কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রায় সকলেরই প্রাথমিক সদস্য হওয়া যায় বিনামুল্যে।
এছাড়া মাসিক/বাতসরিক ফি দিয়ে সদস্যপদ আপগ্রেড করা যায়। টাকা দিয়ে সদস্য হলে
ক্লিকপ্রতি আয় বেশি হয় এবং বেশি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সুযোগ পাওয়া যায়।
ক্লিক কিভাবে
করতে হবে সেকথা তাদের সাইটে লেখা থাকে। সাধারনত নির্দিষ্ট ছবি, আইকন ক্লিক করতে হয়
অথবা কোন কোড টাইপ করতে হয়। এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
পিটিসি
সাইটগুলি থেকে অন্যভাবেও আয় করার সুযোগ থাকে। ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ, ই-মেইল
ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের এফিলিয়েশন কোড ব্যবহার অন্যদের সদস্য করলে তাদের আয়ের অংশ
পাওয়া যায়। সদস্য যত বেশি আয় তত বেশি।
এছাড়া মাইক্রো
জব, অফার ইত্যাদি নামে কিছু ছোট কাজ থাকে। সাধারনত কোন ফরম পুরন করা, নির্দিষ্ট
কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করা, কিছু ডাউনলোড করা, ইমেইল পড়া ইত্যাদির মাধ্যমেও আয়ের
সুযোগ থাকে। সাধারনত এধরনের কাজের জন্য আয় ক্লিকপ্রতি আয়ের থেকে কিছুটা বেশি।
প্রশ্ন থাকতে
পারে এভাবে কত আয় করা যায়। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে আয় অত্যন্ত কম। বিনামুল্যের
সদস্য হিসেবে শুধুমাত্র ক্লিক করে বড়জোর কয়েক সেন্ট আয় করা যায়। তবে যথেষ্ট সংখ্যক
সদস্য সংগ্রহ করলে দিনে কয়েক ডলার আয় হতে পারে।
প্রায়
প্রত্যেকেই টাকা দেয়ার জন্য পে-জা (আগে নাম ছিল এলার্ট-পে) ব্যবহার করে। বাংলাদেশ
থেকে এটা ব্যবহার করা যায় সহজেই। বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় যে কোন সময়।
কোন কোন সাইটে
একাউন্ট করার সময় পে-জা একাউন্টের তথ্য (ইমেইল) দিতে হয়। কাজেই শুরুতেই সেখানে
একাউন্ট করে নেয়া ভাল।
বিস্বস্ত
পিটিসি সাইটগুলির লিংক
No comments:
Post a Comment