ক্যাননের পাওয়ারশট এসএক্স২২০ এইচএস তাদের সবশেষ ট্রাভেলজুম ক্যামেরা। আগের এসএক্স২১০ মডেলের বদলে এটা বাজারে আনা হয়েছে। ১২.১ মেগাপিক্সেল ব্যাক ইল্যুমিনেটেড সিমোস সেন্সরের এই ক্যামেরায় রয়েছে ১৪এক্স অপটিক্যাল জুম (২৮-৩৯২মিমি), সাথে অপটিক্যাল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন এবং ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং।
এই ক্যামেরার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছে সহজ ব্যবহার। ক্যামেরার চেহারা একেবারে সরল ধরনের। পয়েন্ট এন্ড শ্যুট বলতে যা বুঝায় ঠিক তাই। শ্যুটিং মোড হুইল পিছনের দিকে, ডানদিকে ওপরে, ১৩টি মোড সিলেক্ট করা যাবে এখান থেকে। সাধারনত এসএলআর ক্যামেরায় এই অবস্থানে মোড হুইল রাখা হয়। এখানেও পরিবর্তন না করে আরো সহজে ছবি উঠানোর জন্য রয়েছে ইজি মোড নামে বিশেষ ব্যবস্থা।
ক্যামেরার সবচেয়ে বিষয় নিষ্চয়ই ১৪ এক্স অপটিক্যাল জুম। ভিডিও করার সময় এই জুম ব্যবহার করা যায়। ভিডিওর সাথে ষ্টেরিও সাউন্ড রেকর্ড হবে। ইমেজ প্রসেসিং এর জন্য রয়েছে ডিজিক ৪ প্রসেসর। তাদের এসএলআর ক্যামেরায় এই প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।
৭২০পি হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এছাড়া ভিজিএ কিংবা আরো কম রেজ্যুলুশনের ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন ইচ্ছে করলে।
ছবি এবং ভিডিও রাখার জন্য এসডি, এসডিএইচসি, এসডিএক্সসি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। অয়্যারলেস আই-ফাই ট্রান্সফার কিংবা সরাসরি ইউটিউবে আপলোড করা যাবে।
এর ডিসপ্লে ৩ ইঞ্চি, রেজ্যুলুশন ২৩০,০০০ ডট। এতে ৪:৩ এবং ১৬:৯ ওয়াইডস্ক্রিন দুধরনের মোডেই পুরো দৃশ্য দেখা যাবে। অন্যান্য ছোট আকারের ক্যামেরার বৈশিষ্ট অনুযায়ী এতেও ভিউফাইন্ডার নেই।
ক্যামেরার পুরুত্ব মাত্র ১.৩ ইঞ্চি। সহজেই পকেটে রাখার উপযোগি। অথচ সাথে রয়েছে প্রায় ৪০০ মিমি লেন্স।
বহু দুরের ছবি উঠানোর উপযোগি এই ক্যামেরা সবধরনের কাজে সঙ্গি হতে পারে। এর দাম ৩০০ ডলার।
No comments:
Post a Comment