সরকারীভাবে জানানো হয়েছে আমেরিকায় শতকরা ১০ জন পর্যন্ত ব্যবহারকারীর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেই। ফলে তাদের ভাষায় সাধারন কাজ করতে পারেন না। এই কাজের মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ভিডিও দেখা, টেলিকনফারেন্সিং ইত্যাদি। দুই তৃতিয়াংশ স্কুলে যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় ধীরগতির।
২০০৯ সালে ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড ম্যাপ নামের যে পরিকল্পনা করা হয় তারই ফল হিসেবে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারের আশা করে এই ম্যাপ নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। সেইসাথে যেখানে সব যায়গায় ব্রডব্যান্ড পৌছে দিতে সহায়তা করবে।
ব্যবহারকারী তাদের দেয়া ম্যাপে একটি ঠিকানা টাইপ করে সেখানে প্রাপ্য ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারীদের পরিচয়, কানেকসনের ধরন এবং লাইন স্পিড সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। সেইসাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা-মতামত ইত্যাদিও জানাতে পারেন।
সেইসাথে এই ম্যাপ থেকে সব ধরনের তুলনামুলক তথ্য জানা যায়। বিভিন্ন অংগরাজ্যের সাথে তুলনা করা ছাড়াও আয়, দারিদ্য ইত্যাদি বিষয়ের তথ্য জানা যায়।
ম্যাপ থেকে পাওয়া উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হচ্ছে;
· ৫ থেকে ১০ ভাগ আমেরিকানের কিছু ওয়েব সাইট, ইমেজ, ভিডিও ব্যবহার কিংবা টেলিকনফারেন্সিং এর উপযোগি ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
· দুই-তৃতিয়াংশ স্কুলের ইন্টারনেটের সংযোগ ২৫ মেগাবিট/সে এর নিচে, যেখানে ষ্টান্ডার্ড ৫০ থেকে ১০০ মেগাবিট।
· শতকরা ৪ ভাগ লাইব্রেরিতে ২৫ মেগাবিট/সে এর বেশি গতির ইন্টারনেট রয়েছে।
· শতকরা ৩৬ জন আমেরিকানের ৪জি ব্যবহারের উপযোগি অয়্যারলেস সংযোগ রয়েছে।
গতবছর এফসিসি তাদের ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড প্লান প্রকাশ করে জানায় তারা ২০২০ সালের মধ্যে ১০ কোটি ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীর কাছে ১০০ মেগাবিট/সে গতির সংযোগ দেবার ব্যবস্থা করবে। বর্তমানের গতির থেকে সেটা ২০ গুন বেশি।
No comments:
Post a Comment