প্রথমবার গানিতিক হিসেবের কাজে মানুষ হার মেনেছিল ক্যালকুলেটরের কাছে। এরপর কারখানায়, দুর্গম যায়গায় মানুষ পিছিয়ে পরেছে যন্ত্রের কাছে। এমনকি দাবা খেলায়ও। এবার প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় মানুষ হেরে গেছে ওয়াটসন নামের এক কম্পিউটারের কাছে।
আইবিএম এর তৈরী বিশাল এই কম্পিউটার ৩ দিনের এক টিভি শো প্রতিযোগিতায় সেরা স্থান লাভ করে। কম্পিউটার আয় করে ৭৭,১৪৭ ডলার। বিপরীতে অন্য দুজন প্রতিযোগি কেন জেনিংস এবং ব্রাড রুটার আয় করেন যথাক্রমে ২৪,০০০ এবং ২১,৬০০ ডলার। উল্লেখ করা যেতে পারে জেপার্ডি নামের এই প্রতিযোগিতায় এমন প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর আগের তথ্য থেকে দেয়া যায় না, বুদ্ধি খাটাতে হয়। সত্যিকার অর্থেই কম্পিউটার মানুষের মত চিন্তা করে উত্তর দিয়েছে।
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা মানুষ এবং যন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য ঘুচানোর ক্ষেত্রে সুত্রপাত। নির্মাতা এজন্য বিশেষ সাফল্যের দাবী করতেই পারেন।
এর আগে আইবিএম এর কম্পিউটার ডিপ ব্লু দাবা খেলায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। কম্পিউটার, রোবোটিক্স কিংবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের ভালবাসা, সুখ, দুঃখ ইত্যাদি বিষয় বোঝে না, কিংবা গান গায় না। তারা বড়জোর অনুকরন করতে পারে। এই ঘটনা নতুনভাবে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে যন্ত্রের আরো উন্নতির বিষয়ে।
ওয়াটসন তৈরী করতে আবিএম এর ২৫ জন বিজ্ঞানীর ৪ বছর সময় লেগেছে। আইবিএম এর পরবর্তী লক্ষ্য কম্পিউটার এবং সফটঅয়্যারকে আরো উন্নত করে চিকিৎসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা এধরনের যায়গায় পরামর্শক হিসেবে ব্যবহার করা।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গুগল চ্যালেঞ্জ এর অংশ হিসেবে কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি একটি রোবট পাঠাতে যাচ্ছে চাদে। ৪২ বছর আগে আর্মষ্ট্রং এবং অলড্রিনকে যেমন গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেও নিজে থেকেই প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেবে।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে যেমন বলা হয় রোবটের কিংবা যন্ত্রের রাজত্ব, হয়ত সেটা শুধুমাত্র কল্পকাহিনী হয়ে থাকবে না।
No comments:
Post a Comment