August 15, 2010

সেরা সুপারজুম ক্যামেরা Panasonic Lumix DMC-FZ100 review

প্যানাসনিকের সুপারজুম ক্যামেরা সবসময়ই সবদিক বিবেচনায় অন্যদের থেকে এগিয়ে। তাদের এফজেড-১৮ থেকে শুরু করে এফজেড-২৮, এফজেড-৩৮(৩৫) সকলেই এই সুনাম বজায় রেখেছে। কাজেই সর্বশেষ মডেল এফজেড-১০০ ভাল অবস্থানে থাকবে এটা স্বাভাবিক। অনেকেরই এই ক্যামেরা সম্পর্কে মন্তব্য, এটা বর্তমানের সেরা সুপারজুম ক্যামেরা। প্রাথমিকভাবে এতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা হচ্ছে সেন্সর ১৪ মেগাপিক্সেল করা হয়েছে এবং জুম ২৪এক্স করা হয়েছে।
এফজেড ১০০ ব্যবহার করে এখন ২৫-৬০০ মিমি জুম পাওয়া যাবে। বাজারে ফুজিফিল্ম এবং অলিম্পাসের ৩০এক্স জুম ক্যামেরা পাওয়া যায়, সেদিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে নিশ্চয়ই। তারপরও, অধিকাংশ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
প্যানাসনিকের ক্যামেরার একটি বড় বৈশিষ্ট কার্যকর অপটিকাল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন। বিশাল আকারের জুম ব্যবহারের সময়ও হাতে ধরে ছবি উঠানো যায়। এপারচার এফ/২.৮ থেকে এফ/৫.২ কেও এই পর্যায়ের ক্যামেরার জন্য খুবই ভাল বলতে হয়।
সেন্সরের আকার ঠিক রেখে মেগাপিক্সেল বাড়ালে কতটুকু সুবিধে বাড়ে সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। নাইকন তাদের পি-৯০ থেকে পি-১০০ করার সময় মেগাপিক্সেল কমিয়েছে। তাদের মতে এতে আরো ভাল মানের ছবি পাওয়া যাবে। অন্যদিকে প্যানাসনিকের নতুন মডেলে রেজ্যুলুশন বাড়িয়ে ১৪ মেগাপিক্সেল করা হয়েছে। অন্তত আগের থেকে বড় মাপের ছবি উঠানো যাবে এতে সন্দেহ নেই।
আগের মডেলগুলি থেকে আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে টিলটিং ডিসপ্লে। ক্যামকোর্ডারের মত এর ডিসপ্লেকে ঘুরিয়ে ব্যবহার করা যাবে।
এতে রেকর্ড করা যাবে ফুল হাই ডেফিনিশন ১৯২০-১০৮০পি ভিডিও। ১৭ অথবা ১৩ মেগাবিট/সে ভিডিও রেকর্ড হবে এভিডিএইচডি (এমপেগ-৪/এইচ.২৬৪) ফরম্যাটে। এছাড়া ৭২০পি কিংবা আরো কম রেজ্যুলুশনের ভিডিও করা যাবে। ক্রিয়েটিভ মুভি শ্যুটিং মোডে সাটার স্পিড, এপারচার অথবা দুইই ম্যানুয়েল কন্ট্রোল করা যাবে।
ক্যামেরার ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ইন্টেলিজেন্ট অটো মোডে ক্যামেরা নিজে থেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী মোড সিলেক্ট করে নিতে পারে। যেমন সামনে ব্যক্তি থাকলে পোট্রেট মোড সিলেক্ট করে ফেস ডিটেকসনের কাজ নিজে থেকেই করে। এছাড়া বিভিন্ন সিন মোড এবং সাটার স্পিড প্রায়োরিটি, এপারচার প্রায়োরিটি, ম্যানুয়েল ইত্যাদি ব্যবস্থা তো আছেই।
ম্যানুয়েল মোডে কন্ট্রোলের জন্য কমান্ড ডায়াল আনা হয়েছে আগের জয়ষ্টিকের পরিবর্তে। উল্লেখ্য এদিকে এগিয়ে রয়েছে ফুজিফিল্ম যারা এসএলআরের মত জুম রিং, ফোকাস রিং যোগ করেছে তাদের ক্যামেরায়।
তারপরও সব মিলিয়ে সব ধরনের কাজের জন্য এটা আদর্শ ক্যামেরা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এর দাম ৫০০ ডলার।

No comments:

Post a Comment