বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন ঘুড়ি উড়িয়ে আকাশের বিদ্যুতকে ঘরে এনে প্রমান করেছিলেন আকাশের বিদ্যুত আর ঘরের বিদ্যুত একই জিনিষ। আর বর্তমানের বিজ্ঞানীরা চারিপাশের আবহাওয়া থেকে বিদ্যুত তৈরীর সম্ভাবনার কথা ভাবছেন। একে হাওয়া থেকে বিদ্যুত বলা যেত, কিন্তু সেটা বায়ুকলের সাথে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এর নাম দেয়া হয়েছে হাইগ্রোইলেকট্রিসিটি কিংবা হিউমিডিটি ইলেকট্রিসিটি।
একসময় মানুষ বিশ্বাস করত বৃষ্টির সময় যে পানি নেমে আসে তাতে কোন চার্জ থাকে না, এমনকি চার্জযুক্ত ধুলাবালির কণার মধ্যে দিয়ে আসার পরও। ব্রাজিলের ইউনিভার্সিটির অব ক্যামপিনাস এর কেমিষ্ট প্রফেসর ফারনানদো গালেমবেক (Fernando Galembeck) পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন বিষয়টা তেমন না মোটেই। আর্দ্র বায়ুর মধ্যে সিলিকার ছোট কণাকে ঘুরিয়ে নেগেটিভ কিংবা এলুমিনিয়াম ফসফেটকে পজিটিভ চার্জ দেয়া যায়। কাজেই সেখান থেকে বিদ্যুত তৈরী করা সম্ভব।
বর্তমানে তিনি কালেকটর তৈরী করছেন। এগুলি সোলার সেল থেকে ভিন্ন ধরনের হবে। এরা বাতাস থেকে বিদ্যুত সংগ্রহ করবে। সৌরবিদ্যুত যেমন বেশি সুর্যের আলোয় ভাল ফল দেয়, এগুলি আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাল ফল দেবে। তারদল এমন পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছে যারফলে আবহাওয়ার বিদ্যুতকে বশ করে কাজে লাগানো যাবে এবং বর্তমানের বজ্রপাতের বিষয়টি থাকবে না।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির ২৪০তম জাতিয় সন্মেলনে তিনি এবিষয়ে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন।
No comments:
Post a Comment