সেমি-প্রফেশনাল নামে পরিচিত ক্যাননের ৫০ডি এর পরবর্তী মডেল ৬০ডি ঘোষনা করেছে ক্যানন। যারা একই সাথে উচু মানের ছবি চান অথচ খুবদামী ক্যামেরা কিনতে সমর্থ্য নন তাদের জন্য মানানসই এই ক্যামেরা। ৭ডি এর পরিবর্তে ব্যবহারযোগ্য (যেমন নাইকন ডি৩০০এস এর বদলে ডি৯০)। আরো সরলভাবে বললে. যারা শখের থেকে আরেকটু এগিযে ফটোগ্রাফি থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের জন্য সুবিধেজনক এই ক্যামেরা।
১৮ মেগাপিক্সেল সেন্সর, ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, ভেরি-এঙ্গেল এলসিডি ইত্যাদি নিয়ে এই ক্যামেরার নতুন ডিজাইনে আকার কিছুটা ছোট করা হয়েছে। একটা কারন হতে পারে নাইকন ডি৯০/ডি৩০০এস সাথে প্রতিযোগিতা, যেখানে ক্যানন সবসময়ই পিছিয়ে থেকেছে। রেজ্যুলুশন ১৮ মেগাপিক্সেল করে একে ৭ডি এবং রেবেল টি২আই এর সমপর্যায়ে আনা হয়েছে। তবে বৃদ্ধির পাশাপাশি হ্রাসের বিষয়ও রয়েছে। কন্টিনিউয়াস শ্যুটিং মোডে আগের ৬.৩ এর যায়গায় এতে ৫.৩ ফ্রেম/সে ছবি উঠানো যাবে।
আগের মডেল থেকে বড় ধরনের পরিবর্তন এর ৩ ইঞ্চি ভেরি-এঙ্গেল ডিসপ্লে। এসএলআর কে যখন ভিডিও ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন ডিসপ্লের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। ভিডিও ধারনক্ষমতাসম্পন্ন ইওস ক্যামেরার হিসেবে এটি পঞ্চম, আর ফুল হাইডেফিনিশনের হিসেবে প্রথম। ৩টি রেজ্যুলুশনে ৩০, ২৫ কিংবা ২৪ ফ্রেম রেটে ভিডিও করা যাবে। ভিডিওর জন্য এইচ.২৬৪ এবং অডিওর জন্য পিসিএম ব্যবহৃত হবে। এতে তাদের ৫ডি মার্ক ২ এর অডিও লেভেল এডজাষ্টমেন্ট আনা হয়েছে, কাজেই ভিডিওর হিসেবে ৭ডি থেকে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে ১০০ থেকে ৬৪০০ আইএসও (হাই সেটিংএ ১২৮০০), ৬৩ জোন ডুয়াল লেয়ার মিটারিং সেন্সর, ৯ পয়েন্ট ফেজ ডিটেক্ট অটোফোকাস। এতে নতুন প্রজন্মের এসডিএক্সসি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এতে ৭ডি এর একই ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে।
যারা মেইন ডায়াল এবং রেয়ার কুইক কন্ট্রোল ডায়াল (সাব কন্ট্রোল ডায়াল) ব্যবহার করে অভ্যস্থ তারা কিছুটা সমস্যায় পরতে পারেন। এখানে কুইক কন্ট্রোল ডায়ালে প্রতি বাটনে একটি মাত্র ফাংশন কাজ করবে। অনেকটা রেবেল ক্যামেরার মত মনে হবে। তবে কুইক কন্ট্রোলের সাথে ৮-মুখি জয়ষ্টিক আনা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment