বর্তমানের রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার হয় মোবাইল ফোন, ক্যামেরা থেকে শুরু করে গাড়িতে পর্যন্ত। এগুলি তৈরী হয় অক্সাইড মেটাল (কোবাল্ট, নিকেল অথবা ম্যাঙ্গানিজ) দিয়ে। ফলে দামের সাথে যোগ হয় এগুলি। নির্মাতারা কমদামের লিশিয়াম আয়ন মেটাল অক্সাইড খুজতে গিয়ে দেখেছেন সামান্য মোম এবং সাবান ব্যবহার করে কম দামে উন্নতমানের ব্যাটারী তৈরী সম্ভব।
রিচার্জেবল ব্যাটারী কাজ করে কারন লিথিয়াম নিজের ইলেকট্রন ধরে রাখে। পজিটিভ চার্জ করলে লিথিয়াম আয়নের সাথে তা বিতরন করে। চার্জিং অর্থ নেগেটিভ ইলেকট্রডে ইলেকট্রন ঢুকানো। লিথিয়াম আয়ন যখন দেখে সেখানে অতিরিক্ত ইলেকট্রন রয়েছে তখন সেখানে প্রবাহ শুরু হয়।
কিন্তু এই ক্রিয়া বেশিক্ষন চলে না। এরসাথে কোন ডিভাইস ব্যবহার করলে যে কন্ডুইট তৈরী হয় তাতে ইলেকট্রন কমে যায়। আবারো কর্মক্ষম করার জন্য রিচার্জ করতে হয়।
এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলির মধ্যে কোবাল্ট এবং নিকেল যথেষ্ট দামী। প্যাসিফিক নর্থওয়েষ্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীর বিজ্ঞানী ডাইওন চোই সাধারন পদ্ধতি বের করেছেন যেখানে লিথিয়াম মেটাল ফসফেটকে ভাল ইলেকট্রডে পরিনত করা যায়।
চোই দেখিয়েছেন এই পদ্ধতির ৩০ ভাগ শক্তি নষ্ট হয় মেটাল অক্সাইডের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বাধার কারনে (রেজিষ্ট্যান্স)। এই বাধা কমালে আরো বেশি ইলেকট্রিসিটি ধরে রাখা সম্ভব। মোম (প্যারাফিন ওয়াক্স) এবং সাবান (ওলিক এসিড) তাদের আনবিক গঠনের কারনে এক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে। মোম এবং সাবান একত্রে গরম করে (৪০০ ডিগ্রী সে) কৃষ্টাল তৈরী করে তারা পরীক্ষা করেছেন। তার বক্তব্য, এই পদ্ধতি অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে সহজ। তারা প্রতি গ্রামে সর্বোচ্চ ১৬৮ মিলিএম্পিয়ারআওয়ার চার্জ পেয়েছেন। এই পদ্ধতি বাস্তবে ব্যবহারের সময় অবশ্য এরথেকে অনেক কম বিদ্যুত পাওয়া যাবে।
এই পদ্ধতিতে চার্জ হতে সময় বেশি নেয়, তবে চোই এর দল বলছেন তারা কার্বন কোটিং পরিবর্তন করে চার্জিং রেট বাড়াতে সক্ষম হবেন।
No comments:
Post a Comment