এর আগে একদফা একাজ করা হলেও বাস্তবে কোন ফল হয়েছে কি-না তা হয়ত কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। কারো কারো রেজিষ্ট্রেশন করা সিম নতুনভাবে রেজিশ্ট্রেশন না করায় বাতিল হয়েছে, অন্যদিকে ফুটপাথ থেকে সিম কিনে ব্যবহার করা প্রক্রিয়া পুরোদমে চালূ রয়েছে। এই সমস্যা আবারও দেখা দেবে না এমন কথা নেই।
মুলত ফোনে চাদাবাজীর মত বিষয়কে উল্লেখ করে এই উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য জাতিয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামুলক। দেশে মোবিইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে জাতিয় পরিচয়পত্র রয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষের (??? দৈনিক সমকাল), আর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি। সরল হিসেব বলে অধিকাংশ মানুষ অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। ফলত সেগুলি বাতিল হওয়ার কথা।
নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কথা না। অথচ শহরের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এই পদক্ষেপে সেগুলি বাতিল হওয়ার কথা।
জাতিয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি!) দেয়া যাদের দায়িত্ব সেই নির্বাচন কমিশন বলেছে সবার হাতে এই পরিচয়পত্র না যাওয়া পর্যন্ত এটা বাধ্যতামুলক করা যাবে না। যার পরিচয়পত্র নেই তার সেটা পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই অনেক যায়গায় বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। ফলে বহু মানুষ (সংখ্যায় তারাই বেশি) নানারকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হচ্ছেন।
আর মোবাইল অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী আগের দফায় অর্ধকোটি সিম বাতিল হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে নতুনভাবে রেজিষ্ট্রেশন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে নিয়ম মানতে হলে তাদের গ্রাহকসংখ্যা বিপুল পরিমানে হ্রাস পাবে।
কোন ব্যক্তি যখন জানেন না তিনি পরিচয়পত্র কিভাবে, কোথায় পাবেন সেখানে এধরনের পদক্ষেপ কি ফল বয়ে আনতে পারে অনুমান করা যায়।
উল্লেখ্য মেক্সিকোতে সরকার একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ায় কোন কোন মোবাইল অপারেটর সরাসরি জানিয়েছে তারা কোন সংযোগ বন্ধ করবে না। যদিও তাদের ব্যবস্থায় পরিচয়পত্র জাতিয় কোনকিছুর বিষয় নেই। নিজের নাম-ঠিকানা এসএমএস করেই নিবন্ধন করা যায়। অপারেটরদের বক্তব্য, ফোন ব্যবহার করা ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
অপরাধী অপরাধ করছে এই কারনে সাধারন মানুষকে ফোন ব্যবহারে বাধা দেয়া যায় কিনা সেটা আইনগতভাবে যাচাই করা উচিত।
No comments:
Post a Comment