কিছুটা অবাক হতে পারেন মেগাপিক্সেলের হিসেব দেখে। আগের ১২.১ মেগাপিক্সেল কমিয়ে ১০.৩ মেগাপিক্সেল করা হয়েছে। তবে সেন্সরের আকার কিছুটা বড় করা হয়েছে। কারনটা সহজেই অনুমান করা যায়, ছবি মান ঠিক রাখা। সেন্সর বড় করার পাশাপাশি ব্যাকসাইড ইল্যুমিনেশন সিমোস সেন্সর ব্যবহারের ফলে ছবি পাওয়া যাবে আগের চেয়ে ভাল।
অন্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে ৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের রেজ্যুলুশন বাড়িয়ে দ্বিগুন (৪৬০,০০০ ডট) করা, কন্টিনিউয়াস শ্যুটিং এর স্পিড বাড়িয়ে ১০ ফ্রেম/সে করা। সেইসাথে ১০৮০পি ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও (৩০ ফ্রেম/সে) রেকর্ডিং সুবিধে যোগ করা। এছাড়া ডিসপ্লেকে ১৬০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে ব্যবহার করা যাবে নতুন মডেলে। ৫ লেভেলে ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করা যাবে।
ক্যামেরার গড়ন ছোট আকারের এসএলআরের মত। বাইরের দিক থেকে পি-৯০ এর সাথে তেমন পার্থক্য পাওয়া যাবে না। শুধু ষ্টেরিও মাইক্রোফোনের যায়গা পরিবর্তন করে ভিউফাইন্ডারের ওপর আনা হয়েছে এবং মুভি রেকর্ড বাটন পেছনে আনা হয়েছে। বডি এবং গ্রিপের মাঝখানে গভিরতা বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে হাতে ধরে রাখার জন্য চমৎকার।
পারফরমেন্স টেষ্টে ক্যামেরাটি প্রতিদ্বন্দি ক্যানন এসএক্স ২০, অলিম্পাস ৫৯০ এদের থেকে এগিয়ে। চালু হতে সময় নেয় ১.৭৫ সেকেন্ড, ২.৬ সেকেন্ডে প্রথম ছবি উঠানো যায়। ফুল রেজুলুশনের কন্টিনিউয়াস শ্যুটিং ও অন্যদের থেকে সুবিধেজনক।
নাইকনের ভাষায় ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন হচ্ছে ভাইব্রেশন রিডাকশন (ভিআর) এই ক্যামেরায় ৫ পদ্ধতিতে ভিআরের সুযোগ রয়েছে। সাধারন সেন্সর সিফট ষ্ট্যাবিলাইজেশন, সেন্সর সিফট এবং ইলেকট্রনিক ভিআর বা হাইব্রিড, মোশন ডিটেকশন, হাই আইএসও এবং বেষ্ট শট সিলেকটর।
ফ্লাশ বেশ শক্তিশালি। ওয়াইড মোডে ৩২ ফুট দুর পর্যন্ত কার্যকর, টেলি মোডে ৮ ফুটের কিছু বেশি।
এতে রঙের বিচ্যুত (ক্রোমাটিক এবারেশন) প্রায় নেই। ডিসটর্শন কন্ট্রোল নামের অপশনে প্রায় নিখুত ছবি পাওয়া যায়।
ভিডিওর মানও যথেষ্ট ভাল। ডিসপ্লে অথবা ভিউফাইন্ডার যে কোনটি ব্যবহার করে ভিডিও করা যাবে।
সুপারজুম ক্যামেরার ক্ষেত্রে নাইকনের ক্যামেরাগুলি আগে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। চনপ্রিয়তায় ক্যানন, অলিম্পাস, প্যানাসনিক, ফুজিফিল্ম সবসময়ই এগিয়ে থেকেছে। নতুন এই মডেল সেই দুরত্ব অনেকটাই কমাতে পারবে ধরে নেয়া যায়।
No comments:
Post a Comment