বিশ্লেষকদের মতে এর ফলে যে ক্ষতি হবে তা সেখানকার সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর আমেরিকা মোভিল এর মোট লাভের তুলনা সামান্যই। এরপরও এর মালিক কোটিপোতি কালোর্স স্লিম সংসদ সদস্যদের কাছে আগামী শনিবার কার্যকর হতে যাওয়া এই নিয়মের সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।
বলা হয় অপহরনের মুক্তিপন আদায়ের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে যে ৩ কোটি ব্যবহারকারীর ফোন বন্ধ হতে পারে তাদের অনেকেরই এটাই একমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা।
মেক্সিকোতে সাড়ে ৮ কোটি মানুষের অধিকাংশই প্রিপেইড সংযোগ ব্যবহার করে। মোবাইলের সীম খুব সহজে কেনা যায়।
মেক্সিকো, চিলি, ব্রাজিল এবং এই এলাকার অন্যান্য দেশের ৭১ ভাগ ব্যবহারকারী আমেরিকা মোভিল এর সেবা ব্যবহার করে। বাকি অংশের অধিকাংশ স্পেনের টেলিফোনিকার দখলে। টেলিফোনিকা জানাচ্ছে এই নিশেধাজ্ঞার পরও তারা তাদের সেবা চালু রাখবে। তাদের বক্তব্য, টেলিফোন ব্যবহার করা মানুষের মৌলিক অধিকার। সংবিধান তাদেরকে এই অধিকার দিয়েছে। এই অধিকার কেড়ে নেয়া যায় না।
এই আইনের সমালোচকরা বলছেন এই আইন কোন সুফল বয়ে আনবে না। অপরাধীরা খুব সহজেই অন্যের নামে রেজিষ্টার করে ফোন ব্যবহার করবে। মাঝখানে যারা সহজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ পেত তারা বঞ্চিত হবে।
বর্তমান মোবাইল ফোনের হিসেব অনুযায়ী এই ব্যবস্থায় যদি ৩ কোটি লাইন বাদ পরে তাহলে আমেরিকা মোভিল এর আয় বছরে ১ কোটি ডলার কমে যাবে। নিউ ইয়র্ক এক্সচেঞ্জে তাদের শেয়ারের দাম এরই মধ্যে ১.২৬ ভাগ কমে গেছে।
No comments:
Post a Comment