হলিউড বাজারে তাদের আধিপত্য ফিরে পেতে মরিয়া। আর বলিউড ক্রমেই বিশ্বের তাদের অবস্থান শক্ত করছে। হলিউড এবং বলিউডের মধ্যে দুরত্ব ক্রমেই কমে আসছে। সাধারনভাবে মনে করা হয় বলিউড নকল ছবি তৈরীর উপযুক্ত যায়গা যেখানে প্রায়ই মেধার দাম দেয়া হয়না, যতটা হলিউড দেয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায় ২০০৮ সালে ওয়ার্নার ভারতের একটি ছবি হ্যাপি পুটার- এর বিরুদ্ধে মামলা করেও সুবিধে করতে পারেনি। গত বছর ইউটিভি মোশন পিকচার এবং রিলায়েন্স বিগ পিকচার্স ষ্টিভেন স্পিলবার্গের ষ্টুডি ড্রিমওয়ার্কস এর ৫০ ভা কিনে নেয়ার পর তাদের বিরোধ কমতে শুরু করেছে। এইপথেই ভারতের ছবি মাই নেম ইজ খান এর পরিবেশক হিসেবে কাজ করেছে ফক্স। হলিউডের স্লামডগ মিলিওনেয়ার, অবতার এগুলিও ভারতে ভাল করেছে।
এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে পাইরেসির কারনে ২০০৮ সালে ভারতের প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে, ৫ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাজারে বিক্রি হওয়া ডিভিডির ৬০ ভাগই নকল।
ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড পাইরেসির আরেকটি বড় উৎস। রিলায়েন্স বিগ পিচার্সের থ্রি ইডিয়ট ছবির অন্তত ১ কোটি অবৈধ ডাউনলোড বন্ধ করেছে তারা। একসময় প্রতি ৫ মিনিটে একটি করে নতুন কপি ইন্টারনেটে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান সঞ্জিব লাম্বা। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির সাথেসাথে ভারতে পাইরেসির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে ডিভিডি প্লেয়ারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। গত দুবছরে ডিভিডি প্লেয়ারের সংখ্যা ৪০ লক্ষ থেকে সাড়ে ৪ কোটিতে পৌছেছে।
তার মতে ভারতে বছরে ৭০ কোটি অবৈধ ডিভিডি বিক্রি হয়।
হলিউডকে বিশ্ব বাজারে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে হবে, বলছেন মোশান পিকচার্স অব আমেরিকার চেয়ারম্যান। তার কথায়, ভারত ১০০ কোটি মানুষের দেশ, যেখানে মানুষ ছবি দেখতে পছন্দ করে সেখানে ব্যবসার সুযোগ বিশ্বের অন্য যেকোন যায়গার থেকে বেশি।
No comments:
Post a Comment