বই থেকে ই-বুক বানানোর কাজ তুলনামুলক সহজ। খুব কম সময় এবং কম খরচে সেটা করা যায়। এমনকি সাধারনভাবে অন্যান্য পাইরেটদের যা যোগ্যতা প্রয়োজন হয় তারচেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিও একাজ করতে পারেন। সাধারনত পিডিএফ ফরম্যাটে এগুলি পাওয়া যায়। হ্যারি পটারের বইগুলি এর বড় উদাহরন। সবগুলি বইয়ের স্ক্যান করা পিডিএফ ভার্শন ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। ড্যান ব্রাউন থেকে বারাক ওবামার বই পর্যন্ত এভাবে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা হয়ত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ কিংবা জাফর ইকবালের লেখা বইয়ের কপি ইন্টারনেটে দেখে থাকবেন। তারপরও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা এখনো মিউজিক বা ভিডিও পাইরেসির পর্যায়ে যায়নি।
প্রকাশকেরা ক্রমেই তাদের বইয়ের ইলেকট্রনিক ভার্শন তৈরীর দিকে যাচ্ছেন। আমেরিকায় এবছর প্রথম ৯ মাসে ই-বুক বিক্রি হয়েছে ১১ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের ৩ গুন।
বর্তমানে পাইরেসি বন্ধে কিছু ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন কিন্ডলের জন্য ই-বুক কিনলে সেটা অন্য যায়গায় কপি করা যায় না। এর পক্ষে-বিপক্ষে জোড়ালো মত রয়েছে। বিপক্ষের মত হচ্ছে কিন্ডলের জন্য বই কিনে সেটা অন্য যন্ত্রে পড়া যাবে না এটা হওয়া উচিত না। কোন কোন লেখক আবার পাইরেসি নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। তাদের বক্তব্য, মানুষ বই পড়বে এটাই প্রথম কথা। এভাবে পাইরেসির মাধ্যমেও যদি মানুষ পড়তে আগ্রহি হয় সেটাই বা কম কি।
No comments:
Post a Comment