November 5, 2009

পে-পল ই-বে কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে PayPal could soon overshadow parent eBay

অনলাইন কেনাবেচার সাইট হিসেবে ই-বে সকলের পরিচিত। অনলাইন ব্যবসায় রীতিমত বিশাল কোম্পানী। তাদের অর্থ লেনদেনের প্রক্রিয়া পে-পল। চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পে-পল যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ই-বের অন্য সমস্তকিছুকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মন্দা হোক আর যাই হোক, এর প্রভাব পড়ে ই-বে-র ওপর, অন্যদিকে পে-পল এর ব্যবসা বাড়তেই থাকে।

গত দুবছরে ই-বে তাদের ওয়েবসাইট নতুনভাবে সাজিয়েছে। মানুষের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে নিজেথেকেই পে-পলের গ্রাহক বাড়ছে বিপুলভাবে। মানুষ অনলাইনে অর্থ লেনদেন করছে। এটা কাজ করে অনেকটা মানিব্যাগের মত। যে কোন সময় একাউন্ট তৈরী করা যায়, তারসাথে ব্যাংকের একাউন্ট লিংক করে অনলাইনে সব ধরনের লেনদেন করা যায়।

পে-পল শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০২ সালে ই-বে এটি কিনে নেয় ১৫০০ কোটি ডলারে। তখন থেকেই এর গ্রাহক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু কিছু কাজের জন্য সামান্য ফি নেয়া হয়। তা থেকে গত ৩ মাসে তাদের আয় ৬৮ কোটি ডলার। বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এই সংখ্যা কতটা জানার জন্য একটা উদাহরন যথেষ্ট। গত আগষ্টে অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারনে কয়েকঘন্টা এতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।

ই-বে পে-পল ব্যবস্থার আরো উন্নতির চেষ্টা করছে। এরসাথে কাজ করার মত আরো সফটওয়্যার তৈরীর চেষ্টা করে যাচ্ছে। উদাহরন হিসেবে, আইফোন ব্যবহার করে যে কোনকিছু কেনা যাবে এবং সেখান থেকেই পে-পলের মাধ্যমে বিল দেয়া যাবে।

বর্তমানে ২৪টি মুদ্রায় পে-পলে লেনদেন করা যায়। মানুষ এটা ব্যবহার করে কারন এর ব্যবহার খুবই সহজ। কোম্পানীর হিসেবে, ২০১১ সালে পে-পল থেকে তাদের আয় হবে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার।

পে-পলের মত অন্যকিছু করার চেষ্টাও চলছে। মাইকেল আইভি তৈরী করেছে টুইট-পে। টুইটারের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বিক্রেতা আমাজন এটা ব্যবহার করে। তারপরও পে-পলের ব্যবহারকারীরা সেদিকে যাননি।

No comments:

Post a Comment