কোন মোবাইল ফোনের অর্ধেক দাম যখন হয় তার সাথে থাকা অপারেটিং সিষ্টেমের এবং ব্যবহারকারী মুলত বাকী অর্ধেকের ওপরই গুরুত্ব দেন, তখন কোন কোন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করতেই পারেন তাদের টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি-না।
উইন্ডোজ মোবাইল ৬.৫ অপারেটিং সিষ্টেম হিসেবে বাজারে আসার কথা জানা যায় ১ বছর আগে। এর কয়েক মাস পর সেটা নিশ্চিত করে মাইক্রোসফট। ৬.৫ এর যেসব ইমেজ পাওয়া যায় তাতে ব্যবহারকারীর মনে আশা জাগে, এটাই সেই অপারেটিং সিষ্টেম যার জন্য অপেক্ষা। প্রধান সেট নির্মাতারা উইন্ডোজ মোবাইল সহ সেট বিক্রির ঘোষনা দেয়। বাজারে আশার পর কি পাওয়া গেছে-
হোমস্ক্রিন দিয়ে শুরু করা যাক। এটা আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তবে কিছুক্ষন ব্যবহার করার পরই দেখা যায় তার অনেককিছুই সত্যিকারের কাজে আসে না। এতে রয়েছে একটি লিষ্ট যেখানে ওপর-নিচে যাওয়া যায়। আপনার মনে হতেই পারে পাশাপাশি কিছু রাখার ব্যবস্থা করা যেত। যেমন কোন আইটেমের বিভিন্ন অপশন সিলেক্ট করার সুযোগ রাখা যেত। তবে এভাবে কোন ইমেজ সিলেক্ট করলেই ফটো এলবামে ফুল স্ক্রিন ওপেন হওয়া, কিংবা মিউজিক সিলেক্ট করলে মিডিয়া প্লেয়ারে ওপেন হওয়া সুবিধাজনক।
মেইন মেনু : এটা পুরোপুরি আগের ভার্শনের মতই। ষ্টার্ট বাটনে চাপ দিয়ে ওপেন করতে হয়। মাইক্রোসফটের কথা অনুযায়ী আইকনগুলি এমনভাবে সাজানো যা আঙুল দিয়ে সহজে ব্যবহার করা যায়। বাস্তবে তার সত্যতা রয়েছে। তবে অনেকগুলি সফটওয়্যার ইনষ্টল করার পর কি অবস্থা দাড়াবে তা আইফোন ব্যবহারকারীরা ধারনা করতে পারেন। আইকনগুলি সহজে ব্যবহারযোগ্য হলেও উইন্ডো ক্লোজ করার ব্যবস্থা রয়েছে ওপরে, ডানদিকের কোন। যা ব্যবহার করা কষ্টকর। সেক্ষেত্রে নতুন ভার্শনে উল্লেখযোগ্য সংযোজন হচ্ছে অল্টারনেট ট্যাব ব্যবহার। স্ক্রীনের ওপর আঙুল পাশের দিকে টেনে নিলেই পরবর্তী ট্যাবগুলি ওপেন হবে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার মোবাইল : এই অপারেটিং সিষ্টেমের সবচেয়ে বড় আকর্ষন নিশ্চয়ই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। একেবারে কম্পিউটারের মতই ব্যবহার করা যায়। ৫টি অপশনে ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করা যায়। হাইস্ক্রিন ডিসপ্লেতে কম্পিউটারের সাথে তেমন পার্থক্য ধরা যাবে না। তবে সেট ঘুরালে স্ত্রীন ঘুরে যায় না। সেটা থাকলে ব্যবহার আরো সুবিধেজনক হতে পারত।
মার্কেট প্লেস : এর মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে কেনাকাটা করা যাবে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য এটা গুরুত্বপুর্ন ফিচার না নিশ্চয়ই।
এর বাইরে যাকিছু তা আগের ৬.১ ভার্শনের মত। সবশেষে যা উল্লেখ করতে হয়, দ্রুতগতির (৬০০+ মেগাহার্টজ) প্রসেসর না হলে ব্যবহার করে খুব সুবিধে হবে না।
No comments:
Post a Comment