October 9, 2009

ইন্টারনেটে ব্যবসার জন্য পে-পল ব্যবহার Using Paypal for online business

ইন্টারনেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে পে-পল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি। বিশেষ করে যারা অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের জন্য খুবই উপযোগি। দেশ ভিত্তিতে এর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যারা পে-পল ব্যবহার করতে চান তাদের জানার জন্য পেপলের বিস্তারিত এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।

পে-পলের সুবিধা : যে কেউ যে কোন সময় একাউন্ট খুলতে পারেন। সাধারন লেনদেনের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। অনলাইনে কিছু কেনার জন্য নিজের তথ্য জানানো প্রয়োজন হয় না। এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড / ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। কোন সাইট থেকে একাউন্ট না করেই জিনিষ কেনা যায়। শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করে পে-পলের সব সুবিধা ব্যবহার করা যায়।

এই সুবিধার ফল কি জানার জন্য এটুকু তথ্যই যথেষ্ট, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি মানুষ পে-পল ব্যবহার করছে। ই-বে এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি।

পে-পল একাউন্টের ধরন : পে-পলে তিন ধরনের একাউট খোলা যায়। পার্শোনাল একাউন্ট, প্রিমিয়ার একাউন্ট এবং বিজনেস একাউন্ট।

পার্শোনাল একাউন্টে কোন ফি দিতে হয় না। যারা অনলাইনে জিনিষপত্র কেনাকাটা করেন তারা, বিশেষ করে ই-বে ব্যবহারকারীরা এটা ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে পে-পল এর সাহায্যে অন্য পে-পল একাউন্ট ব্যবহারকারীর সাথে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ লেন-দেন করা যায়। তবে ই-বের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করলে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের অর্থ গ্রহন করা যাবে না।

প্রিমিয়ার একাউন্টে পার্শোনাল একাউন্টের সুবিধার সাথে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড থেকে অর্থ গ্রহন করা যাবে। অনলাইনে কিছু বিক্রি করলে ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ নেয়া সহজ হয় এতে। টাকা উঠানোর সময় সামান্য ফি দিতে হয়।

বিজনেস একাউন্ট প্রিমিয়ার একাউন্টের সব সুবিধার সাথে মাল্টিইউজার সুবিধা দেয়। এক্ষেত্রেও টাকা উঠানোর সময় সামান্য ফি দিতে হয়।

পে-পল একাউন্ট তৈরী : একাউন্ট তৈরী খুব সহজ। সরাসরি তাদের ওয়েব-সাইটে গিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা দিয়ে ইউজার হতে পারেন। তবে কাজটি করার আগে পুরো লেখা পড়ে নিন।

পে-পল ওয়েবসাইটে গেলে ছবির মত একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন। একাউন্ট তৈরীর জন্য নিচের দিকে Sign Up Today লিংকে ক্লিক করতে হবে।

পরবর্তী স্ক্রিনে কোন দেশ থেকে এবং কোন ধরনের একাউন্ট তৈরী করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

পরবর্তী স্ক্রীনে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন, ই-মেইল, পে-পল একাউন্টের নাম, পাশওয়ার্ড ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।

এই স্ক্রিনের তথ্য পুরন করে পরবর্তী স্ক্রিনে গেলে আপনার ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের তথ্য (যদি থাকে) দিতে হবে।

সব শেষ স্ক্রিনে আপনার নিশ্চয়তা পেলেই আপনার একাউন্ট তৈরী হবে।

পে-পল একাউন্ট তৈরীর পর সেটি ভেরিফাই করা প্রয়োজন। যদি না করেন আপনার একাউন্টে ইচ্ছেমত টাকা জমা করতে পারবেন, উঠাতে পারবেন না। তাদের সাইটে My Account ট্যাবের ওভারভিউ অংশে Unverified লিংকে ক্লিক করে ভেরিফাই করা যাবে। সেখানে আপনার ক্রেডি/ডেবিট কার্ডের তথ্য দিতে হবে। যদি আপনার এগুলি না থাকে তাহলে অবশ্যই যে ব্যাংক এগুলি দেয় সেই ব্যাংক থেকে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পে-পল থেকে টাকা উঠানো : আগের যাকিছু উল্লেখ করা হয়েছে তার মুল্য লক্ষ্য একটাই, আপনি অনলাইনে কোন কিছুর বিনিময়ে টাকা পেতে চান। আপনার পে-পল একাউন্টে যে টাকা জমা হবে সেটা পাবার জন্য পে-পল থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে। এজন্য পে-পলে ৪ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়গুলি দেশভিত্তিক।

. পে-পল একাউন্টের টাকা সরাসরি ব্যাংক থেকে উঠানো। আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইটালি, অষ্ট্রেলিয়া, চিন, জাপান, মেক্সিকো, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশের জন্য।

. যদি আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে টাকা উঠানো যাবে। না থাকলে টাকা নিজের ব্যাংকে পাঠানোর জন্য আবেদন করতে হবে। ভারত, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, জ্যামাইকা ইত্যাদি দেশের জন্য।

. আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে টাকা উঠানো যাবে না।

. আপনি পে-পলে টাকা জমা করতে পারবেন কিন্তু উঠাতে পারবেন না। সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, হাংগেরি, পোল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকা ইত্যাদি দেশের জন্য।

বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে খারাপ খবর হচ্ছে কোন তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। মুলত বাংলাদেশি হিসেবে আপনি পে-পল একাইন্ট ব্যবহার করতে পারেন না। কেন সে প্রশ্ন সরকারকে করতে পারেন (যদি কোনভাবে সম্ভব হয়), উত্তর পাবার সম্ভাবনা নেই।

কাজেই, বিকল্প কি হতে পারে জেনে নিন।

. পে-পল একাউন্ট বিক্রি করে দেয়া কিংবা বদল করা

. ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা

. আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা

১. ধরে নিচ্ছি আপনার পে-পল ফান্ডে বেশকিছু টাকা জমা হয়েছে যা আপনার উঠানো প্রয়োজন। পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে পারে এমন পরিচিত কারো কাছে সেটা পাঠিয়ে দিতে পারেন। যেহেতু সে টাকা উঠাতে পারে সেহেতু তার হাত ঘুরে আপনি টাকা পাবেন। তবে, কাজিটি পে-পলের নীতিবিরোধী। তারা জানলে আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।

২. আপনি যদি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন তাহলে পে-পল একাউন্ট থেকে সেখানে টাকা ট্রান্সফার করুন। তবে আপনার ডেবিট কার্ড সেটা করতে দেয় কিনা আগেই জেনে নিন।

৩. আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট করার সুযোগ শুধুমাত্র আমেরিকার নাগরিকের জন্য। তারপরও সেটা করা যায়। কোন ব্যাংকে করা যায় খোজ নিন এবং সেখানে একাউন্ট করুন। কোন কোন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমেও (যেমন HSBC) আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট করা যায়। জেনে নিন।

টাকা উঠানোর পদ্ধতি : আপনি যদি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন, অথবা কোনভাবে আমেরিকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন তাহলে টাকা উঠানোর কাজটি খুব সহজ।

পে-পল সাইটে লগ করে Withdraw অংশে যান এবং আপনার প্রয়োজনিয় তথ্যগুলি দিন। আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে।

আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা/কাজ করতে চান তাহলে কোন একভাবে টাকা দেয়া-নেয়ার কাজ করতে হবে। আপনার জন্য কোন পদ্ধতি সুবিধেজনক ঠিক করার দায়িত্ব আপনার।

No comments:

Post a Comment