অলিম্পাসের আলট্রাজুম সিরিজ ইউজেড অপটিক্যাল জুমের হিসেবে সকলের থেকে এগিয়ে। আকারেও সেটা বেশ ছোট। তারপরও নতুন আরেকটি সিরিজ বাজারে এনেছে তারা। মুল লক্ষ্য একটাই, আকার আরো ছোট করে পকেটে রাখার উপযোগি করা। প্যানাসনিক এবং ক্যাননের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য এমন কিছুই হয়ত প্রয়োজন ছিল তাদের।
অলিম্পাস এমজেইউ ৯০০০ এর আরেক নাম অলিম্পাস ষ্টাইলাস ৯০০০। ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সরের এই ক্যামেরার অপটিক্যাল জুম ১০ এক্স, ৩৫ মিমি এর তুলনায় ২৮-২৮০ মিমি। স্বাভাবিকভাবেই এতে বর্তমানের প্রযুক্তি ফেস ডিটেকশন, প্যানোরমা মোড ইত্যাদি যোগ করা হয়েছে। বিউটি মোড নামে একটি মোড রয়েছে যা নতুন ফটোগ্রাফদের ভাল ছবি উঠাতে সাহায্য করবে। ইন্টেলিজেন্ট অটো ছাড়াও সিন সিলেক্টরের সাহায্যে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন সেটিং ব্যবহার করা যাবে। ১.৫ সেকেন্ডে ওয়াইড এঙ্গেল থেকে পুরো জুম ব্যবহার করা যায়। ক্যামেরার ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। এসএলআরের মত সরাসরি বাটন ব্যবহার আইএসও, সাটার স্পিড, এপারচার ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়। নরমাল এবং সুপার ম্যাক্রো বলে দুধরনের ম্যাক্রো মোড রয়েছে। এতে ২.৭ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে রয়েছে।
শুধুমাত্র জুমের প্রতিযোগিতায় হয়ত এই ক্যামেরা স্থান পাবে না, তবে ছোট আকার, ছবির মান, ব্যবহারের সহজতা ইত্যাদি বিচারে সবসময় ব্যবহারের উপযোগি। যদিও একে প্যানাসনিকের টিজেড-৭ (ট্রাভেল জুম) সিরিজ এবং ক্যাননের এসএক্স-২০০ এর সাথে শক্ত প্রতিদ্দন্দিতায় নামতে হবে।
অলিম্পাসের অন্যান্য ক্যামেরার মত এতে এক্সডি কার্ড ব্যবহার করতে হয়। এই ক্যামেরার দাম ২৫০ ডলার।
No comments:
Post a Comment