October 4, 2009

ই-বুক রিডার এর বিক্রি বাড়ছে E-readers seen as holiday hit

এবছর বড়দিনের সময় উপহার হিসেবে আইপড, এমপিথ্রি প্লেয়ার এবং অন্যান্য জনপ্রিয় দ্রব্যসামগ্রীর সাথে এবার জনপ্রিয়তা পাবে ইলেকট্রণিক বুক রিডার। আই-সাপ্লাইয়ের গবেষণা থেকে এতথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী গতবছরের ১০ লক্ষ বিক্রির বিপরীতে এবছর ইলেকট্রনিক বুক রিডার বিক্রি ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। একদিকে এগুলোর দাম কমানো, সুযোগ বাড়ানো এবং অন্যদিকে নতুন নতুন ডিভাইস বই পড়ার কাজে ব্যবহারের ফলে এটা ঘটছে বলে বলা হয়েছে।
গতবছর উপহার তালিকায় শীর্ষে ছিল এমপিথ্রি প্লেয়ার। এবার ই-বুক রিডার তারসাথে ভাল প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে। বিশেষভাবে অন্যান্য ডিভাইস এই কাজে ব্যবহারের সুযোগ তৈরী করে দেয়ার পর। বলা হচ্ছে বই পড়ার জন্যই তৈরী আমাজনের কিন্ডলে রিডার এবং সনির রিডারের চেয়ে মানুষ আইফোন এবং আইপড টাচ বেশি ব্যবহার করে। ই-বুক রিডারের বাজারে আমাজনের কিন্ডলের স্থান সকলের ওপরে। আমেরিকার শতকরা ৬০ ভাগ বাজার এদের দখলে। কিন্ডলে ২ তৈরীর খরচ ১৮৬ ডলার, বিক্রি করা হয় ১৯৯ ডলারে। কাজেই লাভের পরিমান ভালই। সনি ১৯৯ ডলার দামে নতুন মডেল বাজারে ছেড়েছে।
বছরের শুরুতে বলা হয়েছিল এবছর ২০ লক্ষ ই-বুক রিডার বিক্রি হতে পারে। এখন বলা হচ্ছে এই পরিমান তারচেয়ে অনেক বেশি হবে। তারপরও পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ারের তুলনায় এই বাজার একেবারেই ছোট। এবছর পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার বাজারে ছাড়া হচ্ছে ২২ কোটি ৫০ লক্ষ।
ই-বুক রিডার ছাড়াও ট্যাবলেট পিসিও বই পড়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলি ব্যবহার করে বই পড়া ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার, গান শোনা, ভিডিও দেখা সবকিছুই করা যায়। তোসিবার ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ট্যাবলেট পিসিকে হাই ডেফিনিশন ভিডিও দেখা যায়। আরো অনেক কোম্পানীই এধরনের পিসি তৈরী করছে।
অনেকের মতে ই-বুক রিডারকে সত্যিকারের বইয়ের স্থান দখল করার পর্যায়ে যেতে এখনও অনেকদুর যেতে হবে। উল্লেখ করা হয়ত অপ্রাসংগিক হবে না, এখন পর্যন্ত কোন ই-বুক রিডারে বাংলা পড়ার ব্যবস্থা নেই। একমাত্র এমবেডেড ফন্ট সহ পিডিএফ ব্যবহারের সুযোগ ছাড়া।

No comments:

Post a Comment