খবর শুনে কতটা অবাক হবেন কিংবা কতটা দুঃখ পাবেন কিংবা কতটা গর্ব করবেন সেটা আপনার বিষয়, খবর হচ্ছে যখন বছরের পর বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা স্পিডের জন্য হাহাকার করছে, লাইন স্পিডের জন্য অভিযোগ করছে এবং একই সময়ে দেশকে ডিজিটালে রুপান্তর করার প্রচারনা চালানো হচ্ছে তখন বাংলাদেশ থেকে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ বিদেশে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সাবমেরিন কেবলের ক্যাপাসিটির ৩১ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে, ৭.৫ শতাংশ সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকায়। বাকিটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নেপাল এবং ভুটানে।
নেপাল এবং ভুটানে সাবমেরিন কেবল সংযোগ নেই। স্যাটেলাইট ব্যবহার করে বেশি খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। সেকারনেই তারা বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে ব্যান্ডউইডথ কেনার চেষ্টা করছে। সাবমেরিন কেবল কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন এর ফলে কোন সমস্যা হবে না বরং দেশের আয় বাড়বে। বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলের ক্যাপাসিটি ২৪.১২ জিবিপিএস।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী কাজ শুরু করে ২০০০ সালের শেষদিকে বিটিটিবি’র একটি প্রকল্প হিসেবে। ২০০৬ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে বিটিসিএল এর একজন জিএম এর মাধ্যমে সরকার এর পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বর্তমানে একে বিটিসিএল এর সাথে একিভুত করার কাজ চলছে।
কোম্পানী জানিয়েছে মাত্র ৩৮ জন কর্মী নিয়ে তারা ২০০৮ সাল থেকে এপর্যন্ত ১৩ কোটি টাকা লাভ করেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে লাভের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অন্যদেশে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করার গৌরব অর্জন করছে, গর্ব করতেই পারেন।
No comments:
Post a Comment