১৯ বছর বয়সি বেন আলেকজান্ডার যতক্ষন জেগে থাকেন ততক্ষনই ভিডিও গেম ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট খেলেন। তার এই আসক্তি এতটাই যে তাকে আইওয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তার এই আসক্তিকে তুলনা করা হয়েছে মদ এবং মাদকের আসক্তির সাথে এবং নিরাময়ের জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছে সিয়াটলের কাছে এক নিরাময় কেন্দ্রে। তাকে দিয়েই উদ্বোধন হয়েছে এই কেন্দ্রের। এর নাম ReSTART.
আপনি অবাক হতেই পারেন, কিন্তু যারা অনলাইনে ভিডিও গেম, টেক্সট ব্যবহার, টুইটার, ফেসবুক, ই-বে ইত্যাদিতে দিনরাত কাটান তাদের বিষয়টি এতটায় চিন্তায় ফেলেছে অন্যদের। কেউ ইচ্ছে করলে রিষ্টার্ট থেকে চিকিৎসা নিয়ে এই বদভ্যাস থেকে মুক্ত হতে পারেন। তবে খরচের বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না। ৪৫ দিনের চিকিৎসার খরচ ১৪ হাজার ডলার।
রিষ্টার্টের একজন চিকিৎসক বলছেন, তারা কয়েক বছর ধরেই বাইরে বিভিন্ন চিকিৎসার কাজ করছেন। এটা চালু হওয়ায় নির্দিষ্ট যায়গা তৈরী হল যেখানে মানুষ প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারে।
৫ একর যায়গায় এই সেন্টারে একসাথে ৬ জন চিকিৎসা নিতে পারে। এখন পর্যন্ত আলেকজান্ডার সেখানে একমাত্র রোগি। তাকে প্রথাগত নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে সাইকোথেরাপি সেশানে উপস্থিত থাকতে হয়, বাড়ির যাবতীয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হয়, বাগানে এবং ক্ষেতে কাজ করতে হয়, ব্যায়াম করতে হয় এবং রান্না করতে হয়। এছাড়া বাইরে যাওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়। নিজের উন্নতি সম্পর্কে তার বক্তব্য, আবারও সেই গেমে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইন্টারনেট আসক্তির ফলে কি ক্ষতি হতে পারে সেকথা জেনে রাখা ভাল। এতে মানসিকভাবে অসুন্থ হওয়া ছাড়াও বিষন্নতা, এমনকি শারীরিক বিকলাঙ্গতাও দেখা দিতে পারে। তারা চারিদিকের মানুষের সাথে সহজভাবে চলতে পারেন না। দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হন এবং ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। অনেকের ইন্টারনেট এবং টেক্সট মেসেজ ব্যবহারের আশক্তি এতটাই যে তারফলে রক্তের প্রবাহ অনিয়মিত হওয়া থেকে শুরু করে সামাজিক সমস্যা তৈরী করা, বিয়ে ভেঙে যাওয়া, গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটানো, চাকরী হারানো ইত্যাদি ঘটতে পারে। অনেকেই এই বিষয়ে একমত যে ইন্টারনেট আশক্তি বাস্তব এবং বড় ধরনের সমস্যার কারন।
No comments:
Post a Comment