৪ জুলাই আমেরিকায় শুরু হওয়া সাইবার এ্যাটাক আমেরিকা এবং দক্ষিন কোরিয়ার বেশকিছু সরকারী সংস্থার কম্পিউটার সিষ্টেম অকেজো করে দিয়েছিল। দক্ষিন কোরিয়ার ভবিষ্যতবানী অনুযায়ী বৃহষ্পতিবারে নতুন করে আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে। কোরিয়ার সরকার এবং ওয়েব নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সাবধান করে বলেছে শুক্রবারে সাধারন পিসিতে এই আক্রমন বিস্তারলাভ করতে পারে এবং হার্ডডিস্কের সমস্ত তথ্য মুছে দিতে পারে।
এই আক্রমনের জন্য দক্ষিন কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়াকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে প্রচার করা হয়। কোরিয়া কমুনিকেশনস কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী এই আক্রমন গ্রিনিচ সময় ১৫০০ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত দশটা) নতুন পর্যায়ে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে আক্রমন করতে পারে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের তথ্য হারিয়ে যেতে পারে।
কমিশন যে ৫টি দেশের তালিকা তৈরী করেছে তাতে নাম রয়েছে জার্মানী, অষ্ট্রিয়া, আমেরিকা, জর্জিয়া এবং দক্ষিন কোরিয়ার। এতে উত্তর কোরিয়ার নাম নেই। উত্তর কোরিয়াতে সাধারন জনগনের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে, তবে দেশের প্রধান কিম জং ইল কয়েকবছর আগে সাইবার ওয়ারফেয়ার ইউনিট চালু করেন। তারপরও, তাদের নাম রাখার বিষয়ে অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে এই আক্রমন ইন্ডাষ্ট্রিয়াল স্পাইং এর ফল।
এইসব সংস্থার ওয়েবসাইটে বহু যায়গা থেকে একসংগে লগ করা হয়, ফলে সিষ্টেম স্লো হয় এবং সাধারন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সাধারন কম্পিউটারে আক্রমন করলে ব্যবহারকারীর অজান্তে সেখান থেকে এইসব সাইটে যোগাযোগ করা হয়।
No comments:
Post a Comment