আমেরিকা এবং দক্ষিন কোরিয়ার সরকারী সংস্থাগুলিতে সাইবার আক্রমন করে অকেজো করে দেয়ার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী মনে করছে দক্ষিন কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এবং তারা জানাচ্ছে এধরনের আক্রমন আরো হতে পারে। সারাবিশ্বের মত উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং সকলের সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছে। অনেকে একে সময়ের হিসেবে আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের সাথে মিলিয়ে দেখছেন।
উত্তর কোরিয়ার কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতার কথা আগে কখনো শোনা যায়নি। দক্ষিন কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস সংসদিয় কমিটিতে জানিয়েছে এধরনের আক্রমন করা সম্ভব এবং খুব সহজ। এজন্য তারা বাইরে থেকে লোক ভাড়া করতে পারে।
সিউল ভিত্তিক একটি এন্টিভাইরাস কোম্পানী বলছে তারা এমন এক ভাইরাস পরীক্ষা করেছে যা বিপুল পরিমান ট্রাফিক পাঠিয়ে আমেরিকা এবং দক্ষিন কোরিয়ার ইন্টারনেটকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। সেধরনের আরেকটি আক্রমন হতে যাচ্ছে।
এর আগে কখনোই উত্তর কোরিয়ার এধরনের কোন কার্যক্রমের খবর প্রচার পায়নি, কোন প্রমানও নেই। গত মে মাসে দক্ষিন কোরিয়া খবর বেরিয়েছিল তারা এধরনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তবে এখন অনেকেই বলছেন সেটা সম্ভব। এমনকি ইরান এবং চীনের পক্ষেও সম্ভব।
উত্তর কোরিয়ার নেতা একবার কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে বলেছিলেন, যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে না তারা একুশ শতকের তিন নম্বর গাধা। এক এবং দুই নম্বরে রয়েছে যারা ধুমপান করে এবং যারা গান শোনে না।
তবে সবাই এই বিষয়ে একমত নন। দক্ষিন কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল গোয়েন্দা সংস্থাকে নিশ্চিত না হয়েই তথ্য প্রচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। পশ্চিমের অনেক বিশেষজ্ঞও বলছেন প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনেকসময় ভুল ধারনা তৈরী করে।
No comments:
Post a Comment