কথাটা শুনতে যেমনই লাগুক, বাংলাদেশে সফটওয়্যার কিনতে হয় না। সিডি বা ডিভিডি কিনলে তাতে সফটওয়্যার থাকে। পাইরেসিতে বিশ্বের প্রধান তিনটি দেশের একটি। সারা বিশ্বের মানুষ বলে এমন অবস্থায় প্রোগ্রামার তৈরী হয় না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরন আমরা নিজেরাই। তবে সেই বিতর্কে যেতে চাই না। সফটওয়্যারের সিডি/ডিভিডি কেনার পরও অনেকে সেটা ইনষ্টল করতে সমস্যায় পড়েন। এই লেখার বিষয় সেটা। বিপরীতক্রমে, মেধা এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে পরিস্কার ভাবে লেখা থাকার পরও সফটওয়্যার ইনষ্টল করা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সেটা যেন না হয় সেজন্য এই প্রয়াস।
সফটওয়্যার যেন অবৈধভাবে ব্যবহার না করা হয় সেজন্য নানারকম পদ্ধতিতে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা হয়। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সিরিয়াল নাম্বার ব্যবহার করা। মাইক্রোসফট সাধারনত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। অনেকে বিষয়টিকে আরো জটিল করে তোলেন। যেমন যে সিরিয়াল নাম্বার ব্যবহার করা হবে তা একটিমাত্র কম্পিউটারে কাজ করবে। এজন্য সফটওয়্যার ইনষ্টল করার সময় কম্পিউটার বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করে একটি কোড তৈরী করে। সেই কোডটি তাদের জানালে তারা তার বিপরীতে নতুন কোড দেয়। এরপর সেটি ব্যবহার করে কাজ করা যায়। এই পদ্ধতি ভাঙার জন্য ব্যবহার করা হয় কি-জেনারেটর নামের ছোট প্রোগ্রাম। এর সাহায্যে সেই বিশেষ কম্পিউটারে কোড কি হবে তা তৈরী করে নেয়া যায়। ফটোশপ, প্রিমিয়ার ইত্যাদি এই ধরনের সফটওয়্যার।
কেউ কেউ বিষয়কে আরো জটিল করে প্রোগ্রামে এমন ব্যবস্থা রাখেন যে নির্দিষ্ট সিডি/ডিভিডি ঢুকিয়ে কাজ করতে হয়। সাধারনত গেমে এই ধরনের প্রোটেকশন ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে অবৈধভাবে ব্যবহারের জন্য যে অংশ সিডি/ডিভিডি যাচাই করে প্রোগ্রামের সেই অংশ নষ্ট করে দেয়া হয়। একাজ অবশ্যই আপনি নিজে করবেন না, ক্রাকার করে দেয়। সেই ক্রাক করা ফাইলটি মুল সফটওয়্যারের যায়গায় কপি করে দিলে আর সমস্যা থাকে না। ক্রাক দুধরনের হয়, একটি মুল প্রোগ্রামের ক্রাক ভার্শন, যা মুল প্রোগ্রামের যায়গায় কপি করতে হয়, আরেকটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে রান করালে তখন প্রোগ্রামে পরিবর্তন করে।
আরো এক ধরনের প্রোটেকশনের ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার (ডংগল) লাগিয়ে রাখতে হয়। প্রোগ্রামের সেই অংশটি নষ্ট করে (ক্রাক) সেই প্রোগ্রামকেও ব্যবহার করা হয়। থ্রিডি ষ্টুডিও ম্যাক্স এই ধরনের সফটওয়্যার।
আপনি যদি কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করার সময় সমস্যায় পরেন (অবশ্যই পাইরেটেড সফটওয়্যার। কেনা সফটওয়্যার হলে আপনি সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।) তাহলে প্রথমেই জেনে নিন সেটার প্রোটেকশনের ধরন কি। যারা পাইরেটেড সফটওয়্যার সরবরাহ করেন তারা পরিস্কারভাবেই লিখে দেন। আপনার খুববেশি বুদ্ধি খাটানোর প্রয়োজন নেই।
ভালো লেগেছে
ReplyDeleteলেখকের view টা সুন্দর লেগেছে। একমত পোষণ করি।
ReplyDelete