May 2, 2009

সোয়াইন ফ্লু সনাক্ত করতে ক্যামেরা Camera to detect swain flu

সারা পৃথিবী যখন সোয়াইন ফ্লু-র কারনে আতঙ্কিত, সর্বত্র এয়ারপোর্ট কড়াকড়ি, তখন এর সনাক্তকরনে ক্যামেরা ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। কিভাবে কাজ করে এই ক্যামেরা।

এটা সাধারন ক্যামেরার মতই। পাথ্যর্ক্য সাধারন ক্যামেরা ছবি উঠায় কোন বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলো থেকে, এটা ছবি উঠায় তাপ থেকে। যে কারনে অন্ধকারেও এটা কাজ করে।

এই ক্যামেরা উঠানো ছবি ভিডিও মনিটরে দেখার সময় অধিক উত্তপ্ত যায়গাগুলি উজ্জ্বল এবং কম উত্তপ্ত যায়গাগুলি অনুজ্জ্বল দেখায়। ক্যামেরাগুলি অত্যন্ত সেনসিটিভ, ফলে এক ফারেনহাইটের সামান্য পার্থক্যও এতে ধরা পরে। এই তাপমাত্রার ছবি বা গ্রাফ থেকে জানা যায় কার জ্বর রয়েছে, কার নেই।

এধরনের থার্মাল ক্যামেরার প্রচলন শুরু হয় ২০০২ এবং ২০০৩ এ সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়। সিংগাপুর এবং চীনে তখন থেকেই এটা ক্রমাগত ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যদিও এই দুযায়গায় সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। মেক্সিকোতে এধরনের ১০টি ক্যামেরা রয়েছে। বিভিন্ন এয়ারপোর্টের জন্য আরো ৪০টি ক্যামেরা পাঠানো হচ্ছে।

একথা ঠিক যে ক্যামেরায় কারো বেশি তাপমাত্রা পাওয়া গেলে সে নিজে থেকে সেই ব্যক্তিকে ধরে আনছে না। এমনকি সোয়াইন ফ্লু এটাও নিশ্চিত করছে না। বিমান ধরার জন্য দৌড়ে আসা কারো ব্যক্তির তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি হতে পারে। কিংবা সদ্য মদপান করলেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সেকারনে এর পরও এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের আরোকিছু করার থেকে যায়।

Irisys ক্যামেরা, দাম ৩০০০ ডলার, একইসাথে থার্মাল ছবি এবং সাধারন ছবি উঠাতে পারে। দুটি ছবিকে এক করে শরীরের সবচেয়ে উত্তপ্ত যায়গা পাওয়া যায়। অন্যান্য কোম্পানীও এধরনের ক্যামেরা বিক্রি করছে। এদের দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার।

No comments:

Post a Comment