ইন্টারনেট মিউজিক এবং ভিডিও শিল্পের ঘাতক হিসেবে দেখা দিয়েছে অনেকদিন আগেই। অনেকে বলেন প্রকাশনা শিল্পও হুমকির মুখে ই-বুক এর কল্যানে। বইকে মানুষের হাতের কাছে পৌছে দিতে অগ্রনী ভুমিকা নিয়েছে আমাজন তাদের কিন্ডলে রিডার বাজারে ছেড়ে। যে কোন যায়গায় থেকে যে কোন বই পড়ে নেয়া যায় এতে। এবার কিন্ডলে হাত বাড়িয়েছে পাঠ্যবইয়ের দিকে। ছাত্রদের পাঠ্যবইয়ের খরচ কমাতে তারা বড় আকারের কিন্ডলে বাজারে আনছে। ৬টি ইউনিভার্সিটির সাথে একত্রে কাজ করছে তারা। বলা হচ্ছে পাঠ্যবই, পত্রিকা, সংবাদপত্র সকলেই বড় ধরনের হোচট খাবেন এর ফলে।
গতবছর আমেরিকায় উইনিভার্সিটির বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি ডলারের। এই অর্থ কোথায় যা তা তারা ব্যাখ্যা করেছে। কিন্ডলে এই বইগুলিকে ই-বুকে পরিনত করতে পারে, এমনকি বিজ্ঞানের নতুন কোন তথ্য উদ্ভাবনের সাথেসাথে পরিবর্তন করে নিতে পারে।
এর বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি তবে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন এটা সংবাদপত্র পড়ার মত বড়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের নামও জড়ানো হয়েছে এতে। তবে বড় আকারের খবরের কাগজ না হোক, পাঠ্য বইয়ের গ্রাফ, চার্ট, ছবি এসব সহজে বোঝার মত যথেষ্ট বড় হতে হবে। আবার সহজে বহন করা যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সেজন্য হয়ত একে মোড়ানো বা ভাজ করার ব্যবস্থা থাকতে পারে। ই-বুক একজন নেয়ার পর সহজেই যেন অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য কপি প্রোটেশনের ব্যবস্থাও হয়ত থাকবে।
No comments:
Post a Comment