ইয়াহু তাদের সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহারকারীর সার্চ করার তথ্য ১৮ মাস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে এই বিষয়ে তারা গুগলের সমকক্ষ হচ্ছে। এর আগে ৯০ দিন পর সার্চের তথ্য মুছে দেয়া হত। ইয়াহু জানিয়েছে ব্যবহারকারীর অন্যান্য তথ্যও তারা আগের চেয়ে বেশি সময় সংরক্ষন করবে।
কেউ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তখন তার সার্চ করা কিওয়ার্ড, ব্যবহার করা সাইটের ধরন, বিজ্ঞাপনের ক্লিক করার তথ্য ইত্যাদি রেকর্ড রাখে সার্চ ইঞ্জিন। এগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর উপযোগি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। ইয়াহু অল্প সময় পর এসব তথ্য মুছে দেয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকেরই আপত্তি ছিল।
অন্যদিকে প্রাইভেসি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের বক্তব্য এভাবে তথ্য সংরক্ষন করলে অনায়াসে সরকার সমালোকদের খুজের বের করার সুযোগ পাবে, পরিচয় চুরি হতে এবং অনলাইন অপরাধ বৃদ্ধি পাবে।
এবিষয়ে সরকারও পদক্ষেপ নিচ্ছে। ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আইন প্রনয়নের কথা বলেছে আমেরিকার বানিজ্য মন্ত্রনালয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে যেন তার তথ্য গোপন রাখতে পারেন সেজন্য ডু-নট-ট্রাক জাতিয় টুল প্রস্তাব করেছে ফেডারেল ট্রেড কমিশন।
২০০৮ সালে ইয়াহু প্রথম ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখার কাজ শুরু করে। মাইক্রোসফটের সাথে একসাথে কাজের চুক্তি করার পর মাইক্রোসফটও সেটা শুরু করে গতবছর। ব্যবহারকারীর আইপি এড্রেসের একটি অংশ বাদ দিয়ে সেটা করে। নতুন ব্যবস্থায় ১৮ মাস রাখার তারা একাজ করবে।
ইয়াহুর বক্তব্য, বর্তমানে তাদেরকে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, মোবাইল ডিভাইস ইত্যাদি সকলের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। সকলেই ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চায়। সেকারনে তাকে বিশ্লেষন করে পছন্দমাফিক তথ্য তুলে ধরার জন্য একাজ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যক্তিস্বাধিনতার পক্ষের বক্তব্য সার্চ ইঞ্জিন কতটা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এজন্য সরকারী নির্দেশনা প্রয়োজন। তাদের নিজেদের ওপর ছেড়ে দেয়া যথেষ্ট না।
No comments:
Post a Comment