যে হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, কিংবা অন্যভাবে বললে যে হারে ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য ডিভাইস বাড়ছে তাতে ইন্টারনেট এড্রেস ব্যবহারে সংকট তৈরী হতে যাচ্ছে। একে অনেকটা ফোন নাম্বারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। প্রতিটি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য পৃথক একটি সংখ্যা দিয়ে নির্দিষ্ট করা হয়। এরফলেই একজনের ইমেইল আরেকজনের কাছে যায় না।
ইন্টারনেট এসাইন্ড নাম্বারস অথরিটির একজন নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন। নিজের নাম প্রকাশ না করার কারন এখনও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
অবশ্য তার অর্থ এই না যে ব্যবহারকারীদের হঠাত করেই ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখিন হবেন। বরং সবকিছু যদি পরিকল্পনা মত চলে তাহলে যেভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে তাতে ব্যবহারকারী কিছুই টের পাবেন না।
বর্তমানের ইন্টারনেট এড্রেস সিষ্টেম, ইন্টারনেট প্রোটোকল ভার্শন ৪ ব্যবহার করা হচ্ছে ১৯৮০র দশক থেকে। এই ব্যবস্থা ৪৩০ কোটি এড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। যখন চালু করা হয় তখনকার হিসেবে এটা বিশাল সংখ্যা। তখন ইন্টারনেট ব্যবহার করা হত মুলত শিক্ষাপ্রতিস্ঠানে। অনেকেই জানতেন একসময় এই সমস্যা তৈরী হবে। ততটা গরজ দেখানো হয়নি কারনে তাতক্ষনিকভাবে লাভের বিষয় ছিল না।
নতুন ব্যবস্থার নাম ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্শন ৬ সংক্ষেপে আইপিভি৬। বর্তমানের শতকরা ২ ভাগ ওয়েবসাইট এই ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। এদের মধ্যে গুগল, ফেসবুক এরা রয়েছে।
আইপিভি৪ এর নতুন এড্রেস দেবার ক্ষমতা যখন শেষ হয়ে আসছে তখন তাদের আইপিভি৬ দিতে হবে। দুটি ভিন্ন ব্যবস্থা। যদিও এক থেকে অন্যে পরিবর্তন করার একাধিক প্রযুক্তি রয়েছে তাহলেও সেগুলি বড়ধরনের কাজে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা করার সময় ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment