বার্ধক্য পছন্দ করে এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। নানারকম রোগ এবং মৃত্যুর সম্পর্ক এর সাথে। মানুষ যুগ যুগ ধরে বার্ধক্য প্রতিরোধের নানারকম চেষ্টা করেছে। মানুষের শরীরের কোষ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে এই কোষের সমম্বয়ে তৈরী শরীরের অংশগুলিকে কেন রক্ষা করা যাবে না। এই চিন্তাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপায়িত করেছেন হার্ভার্ড এর কিছু বিজ্ঞানী। তারা ইদুরের ওপর প্রয়োগ করে শুধু যে বার্ধক্য প্রকিরোধ করেছেন তাই না, একে বিপরীতমুখী করেছেন।
তারা দৃষ্টি দিয়েছেন ডিএনএ এর বিশেষ এক ধরনের কোষ (Telomere) বিভাজনের ওপর। এই কোষ যখন বিভাজিত হয়ে একটি থেকে দুটিতে পরিনত হয় তখন কিছু জেনেটিক তথ্য হারিয়ে যায়। তারা একধরনের বাফার জোন তৈরী করেছেন যার ফলে এই হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঘটবে না। পরবর্তীতে একসময় নতুন কোষ তৈরীর প্রক্রিয়াই বন্ধ হয়ে যাবে।
পরীক্ষার করার সময় ইনজেকশনের মাধ্যমে এনজাইম প্রয়োগ করা হয়েছে। মানুষের অমরত্ব লাভের পথে এটা অনেক বড় পদক্ষেপ। তবে এখনই মানুষের ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করা যাবে এমনটা ধরে নেবারও কারন নেই। ইদুরের কোষ সারাজীবন একই হারে বিভাজিত হয়, মানুষের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। এছাড়া মানুষের ক্যান্সারের প্রবনতা রয়েছে।
আগামীতে কোন একসময় হয়ত ৮০ বয়সের কাউকে ইনজেকশনের মাধ্যমে ২৫ বছরের যুবকে পরিণত করা সম্ভব হতেও পারে।
No comments:
Post a Comment