কমদামের ক্যামেরাগুলি ব্যবহারের সময় একটি থেকে আরেকটির পার্থক্য কতখানি বিষয় যতটা চোখে পড়ে তারথেকেও বেশি চোখে পড়ে একের সাথে অন্যের মিল কতখানি। এদিক থেকে ক্যাননের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। তাদের বহু ক্যামেরা মডেল রয়েছে যেগুলি মোটামুটি একই ধরনের। একেবারে কমদামের এ-৪৯০ তেমনই একটি। এব প্রধান বৈশিষ্ট, দাম একেবারেই কম, যথেষ্ট ভাল মানের ছবি, ৩.৩ এক্স জুম (৩৭-১২২মিমি), ৯ পয়েন্ট অটোফোকাস, এডভান্সড ফেস ডিটেকশন ইত্যাদি।
ক্যামেরার পুরুত্ব একটু বেশি মনে হলেও পকেটে রাখা সম্ভব। ছবি ওঠানোর সময় সাটার বাটন আঙুলের নিচে থাকবে এটাই স্বাভাবিক, এই ক্যামেরার ক্ষেত্রে কখনো কখনো সেটা দেখে নেয়া প্রয়োজন হতে পারে। একেবারে সঠিকস্থানে বাটন রয়েছে মনে হবে না।
এর মেনু খুবই সরল। মেনু বাটন চাপ দিলে ক্যামেরা এবং সেটআপ মেনু পাওয়া যাবে। ৪ ধরনের মোড রয়েছে, অটো, প্রোগ্রাম, সিন এবং মুভি। এদের মধ্যে সিন মো ব্যবহার করে বিশেষ অবস্থার ছবি উঠানোর সেটিং পাওয়া যাবে। মুভি মোডে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে ৬৪০-৪৮০ রেজ্যুলুশনে।
এধরনের ছোট ক্যামেরার বৈশিষ্ট অনুযায়ী এতে ভিউফাইন্ডার নেই। ২.৫ ইঞ্চি এলসিডি ব্যবহার করতে হবে ছবি বা ভিডিওর জন্য। ডিসপ্লের মান যথেষ্ট ভাল।
এতে ডিজিক ৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে (বর্তমানে ভাল ক্যামেরাতে ডিজিক ৪ ব্যবহার করা হয়)। অটো এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স, জেপেগ কম্প্রেশন, গেইন কন্ট্রোল ইত্যাদি এই প্রসেসর করে। এই পর্যায়ের অন্য ক্যামেরার মধ্যে সেরা না হলেও পারফরমেন্স যথেষ্ট ভাল।
এতে দুটি এএ (পেনসিল) ব্যাটারী ব্যবহার করতে হয়। ছবি কিংবা ভিডিওর জন্য এসডি/এসডিএইচসি এবং নতুন এসডিএক্সসি কার্ড ব্যবহার করা যায়।
কম দামের ক্যামেরা হিসেবে লেন্সের পারফরমেন্স ভাল। ডিসটর্সন একেবারেই কম। তবে ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন নেই।
কম দামের এই ক্যামেরায় উজ্জল রঙের পাওয়া যায়। আর সার্বিক বিচারে এবং অন্য ক্যামেরার তুলনায় সবদিকেই মাঝারি মানের।
বাংলাদেশে এই ক্যামেরার দাম ৬ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে এই ক্যামেরার দাম ৬ হাজার টাকা।
No comments:
Post a Comment