দুটি মডেলের প্রধান পার্থক্য যা চোখে পড়ে তা অবশ্যই আকারে। এইএক্স৫ আকারে এনইএক্স৩ থেকে ছোট, কাজেই খুব সহজেই পকেটে করে বয়ে বেড়ানো সম্ভব। অন্যদিকে এনইএক্স৩ কিছুটা বড়। আরেকটি বড় পার্থক্য অবশ্যই ভিডিও রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে। এনআএক্স৩-তে ৭২০পি এইচডি ভিডিও রেকর্ড করা যায়, এমপি৪ মোডে। অন্যদিকে এনইএক্স৫ এ রেকর্ড করা যায় ফুল হাই ডেফিনিশন ১০৮০আই ভিডিও এভিসি-এইচডি মোডে। এর বাইরে, সবকিছু মোটামুটি একই।
দুটি ক্যামেরায় রয়েছে একই ১৪.২০ মেগাপিক্সেল এক্সমোর এপিএস এইচডি সিমোস সেন্সর। ইমেজ প্রসেসিং এর জন্য বিয়ঞ্জ প্রসেসর।
দুটি ক্যামেরাতেই ৩ ইঞ্চি ৯২১,০০০ ডট রেজ্যুলুশন এলসিডি। অত্যন্ত পাতলা এই ডিসপ্লে ৮০/৪৫ ডিগ্রী ঘুরানো যায়।
এর নাম যদিও আলফা, তাহলেও এতে এফ-মাউন্ট নামে বিশেষ ধরনের লেন্স লাগানোর ব্যবস্থা আনা হয়েছে। কাজেই সরাসরি আলফা এসএলআর লেন্স ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহারের জন্য ক্যামেরার সাথেই এডাপটার দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে এনইএক্স৩ তে অটোফোকাস কাজ করবে না। অবশ্য কিটলেন্স হিসেবে যা দেয়া তাতে তাতে এসব নিয়ে মাথা ঘানানোর প্রয়োজন নেই। আপাতত ১৮-৫৫মিমি ষ্ট্যাবিলাইজড লেন্স ব্যবহার করা যাবে। এবছরই ১৮-২০০মিমি লেন্স বাজারে আনা হবে।
সেন্সর, প্রসেসর ইত্যাদি ছাড়াও সাধারনের বাইরে জনপ্রিয় কিছু ফিচার যোগ করা হয়েছে এতে। যেমন সুইপ প্যানোরমা, অটো হাই-ডায়নামিক-রেঞ্জ শুটিং, হ্যান্ডহেল্ড ট্যুইলাইট, এন্টি মোশন ব্লার মোড ইত্যাদি। এছাড়া ফার্মঅয়্যার আপডেট করে থ্রিডি স্যুইপ প্যানোরমা মোডে ছবি উঠানো যাবে। সনির ব্রাভিয়া থ্রিডি টিভিতে ব্যবহার করা যাবে এই ছবি।
এতে সনির নিজস্ব মেমোরী ষ্টিক প্রো ছাড়াও এসডি/এসডিএইচসি/এসডিএক্সসি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ব্যাটারীতে এক চার্জে ছবি উঠানো যাবে ৩৩০টি।
এনইএক্স৩ ক্যামেরার দাম ১৮-৫৫মিমি লেন্স সহ ৬৫০ ডলার, ১৬মিমি লেন্স সহ ৫৫০ ডলার। অন্যদিকে এনইএক্স৫ এর দাম ১৮-৫৫ লেন্স সহ ৭০০ ডলার এবং ১৬ মিমি লেন্সসহ ৬৫০ ডলার।
No comments:
Post a Comment