বর্তমানের কম্পিউটারগুলিতে সংযোগের জন্য ব্যবহার করতে হয় তামার তার। এরমধ্যে যাতায়াতের সময় সিগন্যাল বাধাগ্রস্থ হয়। দুরত্ব বৃদ্ধির সাথেসাথে এর পরিমানও বাড়তে থাকে। বোর্ডের মধ্যে বিভিন্ন প্রসেসর, মেমোরী ইত্যাদি চীপকে বসাতে হয় গা ঘেসাঘেসি করে। ইন্টেল জানিয়েছে তারা এই সিমাবদ্ধতা ভেঙে নতুন পদ্ধতি বের করেছে। এই পদ্ধতিতে ইলেকট্রনের বদলের আলোর মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করা যাবে। ডাটা ট্রান্সফার রেট হবে ৫০ গিগাবিট/সেকেন্ড।
তারা এর প্রোটোটাইট তৈরী করেছে এবং বলছে এটা বিশ্বের প্রথম সিলিকনভিত্তিক অপটিক্যাল ডাটা কানেকশন। ধাতব পরিবাহীর বদলে সরু অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী আবিস্কার।
ইন্টেলের মতে আগামীতে সিলিকন ফটোনিকস কম্পিউটারের সব যায়গায় ব্যবহার হবে। বিনোদনের জন্য দেয়ালের মাপের স্ক্রীন থেকে শুরু করে একই পদ্ধতিতে টেলিকনফারেন্সিং সম্ভব হবে। দুরের কারোসাথে কথা বলার সময় মনে হবে সে একই ঘরে রয়েছে।
ডাটাসেন্টার কিংবা সুপারকম্পিউটারের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি বিপ্লব আনবে। বিশাল এলাকার মানুষ দ্রুতগতির যোগাযোগের সুবিধে পাবে।
বর্তমানে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিতে লেজার ব্যবহার হলেও পিসিতে ব্যবহারের জন্য তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। নতুন এই পদ্ধতিতে সিলিকন ট্রান্সমিটার এবং একটি রিসিভার চিপ রয়েছে। ট্রান্সমিটারে ৪টি আলোকরশ্মি ব্যবহার করা হয়েছে যা ১২ গিগাবিট/সে দ্রুততায় ডাটা এনকোড করে। এরপর সেগুলি একত্রে ৫০ গিগাবিট/সে গতিতে একটি অপটিক্যাল ফাইবার মধ্যে দিয়ে যায়। ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার দুটিই তৈরী করা হয়েছে বর্তমানের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাষ্ট্রির কমখরচের নির্মান পদ্ধতিতে।
এই পদ্ধতিতে আগামীতে পুরো একটি ল্যাপটপের সমস্ত তথ্য অন্যযায়গায় কপি করা যাবে ১ সেকেন্ডে।
No comments:
Post a Comment