৩৫ ডলার দামে বিক্রি করা যাবে এমন কম্পিউটার তৈরী করছে ভারত। দেখতে অনেকটাই আইপ্যাডের মত, দাম ১৪ ভাগের একভাগ। টাচস্ক্রিনভিত্তিক এই ট্যাবলেট ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে আগামীবছর তৈরী শুরু হবে।
লিনাক্স অপারেটিং সিষ্টেমভিত্তিক এই কম্পিউটার ১৫০০ ভারতীয় রুপিতে বিক্রি করা হবে। এটা বাস্তব হলে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামী কম্পিউটার হবে নিশ্চয়ই। তবে কথা হচ্ছে, এধরনের কথা আগে একাধিকবার বলা হয়েছে। একবার ঘোষনা দেয়া ১০ ডলারের নোটবুকের খবরও হয়ত পড়েছেন এই ওয়েবসাইটে।
ছাত্রদের জন্য কমদামের কম্পিউটার তৈরীর কথা চালু হয় ২০০৫ সালে। ম্যাসাচুসেটস ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজীর মিডিয়া ল্যাব ১০০ ডলার দামের ল্যাপটপের প্রোটোটাইপ তৈরী করে। ভারত তাকে বেশিদামী বলে এড়িয়ে যায়।
নেগ্রোপন্টি এই উদ্দ্যোগে কম্পিউটার তৈরী করলে তার খরচ দাড়ায় ২০০ ডলার। এরপর অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড ৯৯ ডলারের কম্পিউটারের কথা জানায়। ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল শৈবাল নিজের দেশের কারিগরী প্রতিস্ঠানের শিক্ষক এবং ছাত্রদের এদিকে দৃষ্টি দিতে বলেন। তার বক্তব্য এটা. এমআইটি-র ১০০ ডলারের কম্পিউটারের বিকল্প। একসময় এটা ১০ ডলারে বিক্রি করা হবে।
তাইওয়ানের একটি প্রতিষ্ঠানসহ আরো অনেক প্রতিস্ঠান এটা তৈরীর আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও বলেন মন্ত্রীর মুখপাত্র মমতা ভারমা। তৈরী হলে ভর্তুকি দিয়ে ২০ ডলারে ছাত্রদের দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষার প্রসারে ভারতের ২৫ হাজার কলেজ ৫০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন এপর্যন্ত সাড়ে ৮ হাজার কলেজকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে এবং ৫০০ এর অধিক শিক্ষামুলক ভিডিও ইউটিউব এবং অন্যান্য পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment