ডিজিটাল ফটোগ্রাফিকে একেবারে সহজ করেছে প্যানাসনিকের ইন্টেলিজেন্ট অটো মোড। নতুন ব্যবহারকারী কোন অবস্থায় কোন মোড ব্যবহার করবেন জানার প্রয়োজন নেই, ক্যামেরা নিজেই মোড সিলেক্ট করে নেবে। আর অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী পছন্দমত মোড সিলেক্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের ম্যানুয়েল কন্ট্রোল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
এর ১২ এক্স (২৫-৩০০ মিমি) লেন্স সব ধরনের ছবি উঠানোর উপযোগি। সাধারনভাবে এধরনের লেন্সে ক্রোমাটিক এবারেশন, কালার স্যাচুরেশন, আইএসও এবং নয়েজ নিয়ে সমস্যায় পরতে হয়। প্যানাসনিক ভালভাবেই বিষয়গুলিকে সামাল দিয়েছে। সেইসাথে পাওয়ার ওআইএস দুরের ছবি উঠানোর সময় বা অল্প আলোতে ছবি উঠানোর সময় স্থির ছবি দিতে সক্ষম।
১৪.৫ মেগাপিক্সেল ১/২.৩৩ ইঞ্চি এই সেন্সরে ৪০০০-৩০০০ রেজ্যুলুশনের ছবি উঠানো যাবে। এতে ৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে রয়েছে এবং এইধরনের অন্যান্য ক্যামেরার মত স্বাভাবিক কারনেই ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার নেই। আইএসও ব্যভহার করা যাবে ৮০ থেকে ৬৪০০।
এধরনের ক্যামেরা পছন্দ করার সময় ব্যবহারকারী যে বিষয়গুলির দিকে দৃষ্টি দেন তা হচ্ছে সেটা পকেটে বয়ে বেড়ানোর মত আকার কি-না, যথেস্ট পরিমান অপটিক্যাল জুম ব্যবহার করা যাবে কিনা, ছবির মান সন্তোষজনক কিনা, ভাল মানের ভিডিও করা যাবে কিনা। এই ক্যামেরা সবগুলি প্রয়োজন মেটাবে অনায়াসে।
এতে ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও করা যাবে না নিশ্চয়ই, তবে ৭২০পি হাই ডেফিনিশন ভিডিও (১২৮০-৭২০) করা যাবে। ভিডিও রেকর্ড হবে এভিসি-এইচডি অথবা কুইকটাইম ফরম্যাটে। যায়গার জন্যও ভাবতে হবে না কারন আগের এসডি/এসডিএইচসি কার্ডের পাশাপাশি নতুন ধরনের এসডিএক্সসি কার্ড ব্যবহার করে অনায়াসে ৬৪ গিগাবাইট ( ২ টেরাবাইট পর্যন্ত) ব্যবহার করা যাবে।
এক চার্জে এর ব্যাটারী থেকে ৩০০ ছবি উঠানো যাবে।
No comments:
Post a Comment