ট্রাভেলজুম নামে পরিচিত এই ধরনের এই ক্যামেরা আকারে একেবারেই ছোট। অনায়াসে পকেটে রাখা যাবে। অন্যান্য কোম্পানীর ১০-এক্স জুমের ক্যামেরার চেয়ে ছোট এবং দামও কম। ২৮-২৮০ মিমি লেন্স কাছের বা দুরের ছবি উঠানোর সহায়ক। এতে ডুয়াল ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবস্থা রয়েছে, ফলে হাত কাপলেও ভাল ছবি পাওয়া যাবে।
ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ফেস ডিটেকশন ব্যবস্থার সাথে আপনি হয়ত পরিচিত। এই ব্যবস্থায় ছবিতে কোন মানুষ থাকলে ক্যামেরা নিজে থেকেই তাকে প্রাধান্য দিয়ে ফোকাস করে। এই ক্যামেরায় ডগ/ক্যাট রিকগনিশন পর্যন্ত রয়েছে। কাজেই পোষা বা বণ্য প্রানীর ছবি উঠানোর সময়ও ফোকাস নিয়ে ভাবতে হয় না। নির্দিষ্ট করে কাউকে ফোকাস করার জন্য পিকচার সার্চ টুল ব্যবহার করে অন্য ছবিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি যখন ক্যামেরার দিকে তাকাবে কেবলমাত্র তখন ছবি উঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
সিন মোডে ১৫টি সাধারন সেটিং রয়েছে যারমধ্যে রয়েছে সুর্যাস্ত কিংবা আতসবাজির ছবি উঠানোর ব্যবস্থা। অল্প আলোতে ছবি উঠানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্লাশ ব্যবহার না করেই অল্প আলোতে স্বাভাবিক ছবি উঠানো যাবে। আরেক ব্যবস্থায় দুটি ছবি উঠিয়ে সেগুলিকে একসাথে করা হয়। একটি ফ্লাশ সহ আরেকটি ফ্লাশ ছাড়া। এরপর দুটিকে একসাথে করে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়।
ছবি বা ভিডিও দেখার সময় ফেস রিকগনিশন ব্যবহার করা যাবে। নাম, দিন বা অন্য কোন বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ছবিগুলি দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ক্যামেরাটিতে তাদের নিজস্ব এক্সডি কার্ডের বদলে বহুল ব্যবহৃত এসডি/এসডিএইচসি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ভিডিওর জন্য এভি পোর্ট এবং ইউএসবি পোর্ট রয়েছে। ক্যামেরাটি কালো এবং রূপালী দুটি রঙে পাওয়া যায়।
এরসাথে তুলনা করার মত অন্যান্য ক্যামেরাগুলি হচ্ছে ক্যানন পাওয়ারশট এসএক্স২১০, ক্যাসিও ইএক্স-এইচ১৫, নাইকন কুলপিক্স এস-৮০০০, প্যানাসনিক লুমিক্স ডিএমসি-জেডএক্স৩, টিজেড৮, স্যামসাং ডব্লিউবি৫০০, সনি সাইবারশট ডিএসসি-এইচএক্স৫ ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment