May 13, 2010

অবৈধ ডাউনলোডের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে হার্ট লকার নির্মাতা

সেরা পরিচালনা, সেরা ছবির মর্যাদাসহ এবছর ৬টি অস্কার জিতেছে বাগদাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরী চলচ্চিত্র হার্ট লকার। তারপরও ব্যবসা করেছে মাত্র দেড় কোটি ডলারের। কারন, পাইরেসি। ইন্টারনেটে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডাউনলোড করেছে এই মুভি। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মামলা করতে যাচ্ছে হার্ট লকারের নির্মাতা ভোল্টেজ পিকচার্স। এতে অভিযুক্ত করা হতে পারে লক্ষ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেই।

নির্মাতাদের জন্য এটা একেবারেই হতাসাজনক যখন কোন ছবিকে সেরা ছবির মর্যাদা দেয়া হয়, লোকমুখে প্রশংসা পায় অথচ তার খরচের টাকা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে তাদেরকে আইনের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। পাইরেসির বিরুদ্ধে এই  আন্দোলনে মোশন পিকচার এসোসিয়েশন অব আমেরিকা নেই। নির্মাতাদের ব্যক্তিগতভাবেই লড়াই করতে হচ্ছে।
সৃষ্টিশীলতার সমস্যা হয়ত এখানেই। অবতার স্পেশাল ইফেক্টের জন্য পুরস্কার জিনতলেও সেরা ছবির মর্যাদা পায়নি। অথচ অর্থ উপার্জনে রেকর্ড গড়েছে। ট্রান্সফর্মারের মত ছবিও শতকোটি ডলার আয় করেছে। আর সবরকমের প্রশংসার পরও হার্ট লকারকে ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে।
নির্মাতারা নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন তাদের সেরা ছবি তৈরী করা লাভজনক, নাকি ব্যবসাসফল ছবি।

আপডেট : ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাইরেসিতে সহায়তা করার জন্য ৫০ হাজারের বেশি ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment