প্রফেসর মাসাতোসি ইসিকাওয়া এজন্য ব্যবহার করেছেন হাইস্পিড ক্যামেরা। সেকেন্ডে ৫০০ ছবি উঠাতে সক্ষম এই ক্যামেরার সামনে বইয়ের পাতা উল্টানোই যথেষ্ট।
ফ্লাটবেড স্ক্যানারে স্ক্যান করার, অন্তত দেখার অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই আছে। পৃষ্ঠার কোনাগুলি, ভেতরের দিক কিছুটা বাকা হয়ে থাকে। নতুন এই পদ্ধতিতে কোন খুত থাকবে না।
কাজটি কিভাবে হয় ব্যাখ্যা করছেন ইসিকাওয়া, প্রথমে বইয়ের আকার কি তার একটা ছবি নেয়া হয়। সেটা হিসেব করে তারসাথে মিল রেখে ভেতরের পৃষ্ঠাগুলি নতুনভাবে তৈরী করা হয়। কাজেই কাগজটি যদি ঠিকভাবে ধরা নাও হয়, ফল পাওয়া যাবে নিখুত। একেবারে মুল বইয়ের মত।
বর্তমানে এই পদ্ধতিতে ২০০-২৫০ পৃষ্ঠার বই স্ক্যান করতে মোটামুটি ৬০ সেকেন্ডের কিছু বেশি সময় লাগে। একেবারে সাধারন কম্পিউটার এই কাজের জন্য যথেষ্ট। বর্তমানে যেহেতু প্রসেসিংএ কিছু সময় নেয়, সেহেতু আগামীতে আরো দ্র্রুততার সাথে কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এজন্য ব্যবহৃত যন্ত্রও হবে আকারে অনেক ছোট।
তার বক্তব্য, ভবিষ্যতে কোন এক সময় পুরো বিষয়টি একটি চিপের মধ্যে আনা যাবে এবং মোবাইল ফোনের সাথে দিয়ে দেয়া যাবে।
মোবাইল ফোনে এই প্রযুক্তি হয়ত অনেক দুরের বিষয়। তবে ইসিকাওয়া জানাচ্ছে, সাধারনভাবে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারের জন্য এর বানিজ্যিক সংস্করন আগামী দুতিন বছরের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment