উইন্ডোজের অন্যান্য সব প্রোগ্রামের মত মেনুবার এবং অন্যান্য সাধারন বিষয়গুলি ফটোশপেও রয়েছে। এর বাইরে ফটোশপের নিজস্ব হচ্ছে,
টুলবক্স : স্ক্রীনের বামদিকে লম্বাভাবে সাজানো অনেকগুলি টুল নিয়ে টুলবক্স। যে কোন কাজ করার জন্য অন্তত একটি টুল এখান থেকে সিলেক্ট করতে হবে। উদাহরন হিসেবে, তুলি ব্যবহার করে রঙ করার জন্য ব্রাস টুল সিলেক্ট করতে হবে। লেখার জন্য টেক্সট টুল সিলেক্ট করতে হবে।
কোন টুলের নিচে ডানদিকে ছোট ত্রিকোনাকার চিহ্ন থাকার অর্থ একই বাটনে একাধিক টুল রয়েছে। বাটনে মাউস চেপে ধরে বাকিগুলি পাওয়া যাবে। যেমন ব্রাস টুল থেকে পাওয়া যাবে ব্রাশ টুল, পেনসিল টুল এবং কালার রিপ্লেসমেন্ট টুল।
প্যানেল : স্ক্রীনের ডানদিকে রয়েছে এক বা একাধিক কলামের প্যানল। ব্যবহারের জন্য ক্লিক করে এগুলি এক্সপান্ড করতে হবে (অন্য ভার্শনে ছবির থেকে ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে)। টুল সিলেক্ট করার সাথেসাথে এগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন ব্রাস টুল সিলেক্ট করার পর কালার এখান থেকে পছন্দের রঙ সিলেক্ট করা যাবে, কিংবা ব্রাশের মাপ পরিবর্তন করা যাবে।
মেনুবার : একেবারে ওপরে রয়েছে উইন্ডোজের ন্যান্য সব প্রোগ্রামের মত মেনুবার।
অপশন বার : মেনুবারের ঠিক নিচে এক (বা একাধিক) বার পাওয়া যাবে। এর নাম অপশন বার। নাম থেকেই ধরে নেয়া যায় টুলবক্সের কোন টুলের বিভিন্ন অপশন পরিবর্তন করা যাবে এখান থেকে।
ইমেজ উইন্ডো : করা ইমেজ দেখা যাবে স্ক্রীনের মাঝখানে মুল যায়গায় ইমেজ উইন্ডোতে। এর টাইটেলে ইমেজের নাম (যদি সেভ করা থাকে), জুমের মান এবং কালার মোড দেখা যাবে। যেমন ছবিতে ইমেজের নাম Baganbilash,jpg, জুম ৬৭.৪%, ইমেজ মোড আরজিবি এবং ৮ বিট / চ্যানেল। মেজ উইন্ডোজ নিচে বামদিকের শতকরা মাপ পরিবর্তন করে জুম কম/বেশি করা যাবে। এছাড়া এর পাশেই সেভ করা ছবির সাইজও জানা যাবে।
কিবোর্ড ব্যবহার : ফটোশপে অনেক কাজের জন্য মাইসের সাথে কিবোর্ড ব্যবহার করে সহজে কাজ করা যায়। যেমন ব্রাস সিলেক্ট অবস্থায় ALT কি চেপে ধরলে কালার পিক ব্যবহার করা যায়। কিংবা সিলেকশনের সময় Shilt বা ALT ব্যবহার করে একাধিক অংশ যোগ করা বা বাদ দেয়া যায়।
একেবারে নতুন ব্যবহারকারীর কাছে বিষয়টি কিছুটা গোলমেলে মনে হতে পারে। কাজে হাত দিয়ে দেখা যাক।
টিউটোরিয়াল – ১
ওপেন করা, অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া, আকার ঠিক করা, ব্রাইটনেস/কন্ট্রাষ্ট ঠিক করা, সেভ করা
ফটোশপ ওপেন করুন এবং মেনু থেকে File>Open কমান্ড সিলেক্ট করুন। আপনার কম্পিউটারের কোন ইমেজ ফাইল ব্রাউজ করে সেটি ওপের করুন।
নির্দিষ্ট অংশ রেখে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া
টুলবক্স থেকে Rectangular Marquee টুল সিলেক্ট করুন এবং ছবির যে অংশটুকু রাখতে চান সেটুকু মাউস ড্রাগ করে সিলেক্ট করুন।
মেনু থেকে Image>Crop সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করা অংশটুকু থাকবে এবং বাকি অংশ বাদ পড়বে।
ছবির মাপ ঠিক করা
ছবির জন্য ব্যবহৃত ইউনিট ঠিক করুন। প্রিন্টের জন্য ইঞ্চি/সেমি এবং অন্যান্য কাজের জন্য পিক্সেল ব্যবহার করা হয়।
দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ঠিক রাখার জন্য Constrain Proportions টিক চিহ্ন দিন।
নির্দিষ্ট মাপ টাইপ করে দিন।
ব্রাইটনেস-কন্ট্রাষ্ট ঠিক করুন
স্লাইডার ব্যবহার করে পরিবর্তন করে দেখুন।
সেভ করা
ওপেন করা ফাইল সরাসরি সেভ কমান্ড ব্যবহারে করলে আগের ফাইলটি মুছে যাবে, পরিবর্তে নতুন ফাইলটি থাকবে। আগেরটি ঠিক রেখে নতুন নামে কিংবা অন্য ফরম্যাটে সেভ করার জন্য File > Save as কমান্ড ব্যবহার করুন।
ফটোশপ নিজে থেকে ফটোশপ ডকুমেন্ট হিসেবে ফাইল সেভ করে। এতে ছবির মান সবচেয়ে ভাল থাকে। এই ফরম্যাটে ফাইল সাইজ অনেক বড় হয় এবং সব সফটঅয়্যার একে সরাসরি ব্যবহার করতে পারে না। সব যায়গায় ব্যবহারের জন্য File>Save as কমান্ড দিয়ে JPG ফরম্যাট সিলেক্ট করুন।
সেভ করার সময় ইমেজ কোয়ালিটি পরিবর্তন করতে পারেন। ছবির মান যত ভাল ফাইলের আকার তত বড় হবে। প্রিন্টের জন্য সবচেয়ে ভাল মান ব্যবহার করলেও ইন্টারনেটে ব্যবহারের জন্য ফাইলসাইজ ছোট রাখা জরুরী। বিষয়গুলি মাথায় রেখে সুবিধেজনক সেটিং ব্যবহার করুন।Next lesson
No comments:
Post a Comment