ওয়াইম্যাক্স বর্তমান প্রযুক্তি। ত্রুটিমুক্তভাবেই এটা ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক দেশে। অন্যদিতে ফোর-জি (লং টার্ম এভোলুশন, এলটিই) সেতুলনায় এখনো নতুন। অল্পকিছু যায়গায় চালু করা হয়েছে। কিন্তু এরই ওপর ভবিষ্যত দেখছেন অনেকে। তাদের মধ্যে এত বড়বড় নাম রয়েছে যারা প্রযুক্তির ভবিষ্যত নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখেন। এখনই বলা হচ্ছে ৪জি পুরোপুরি চালু হলে তারপর ৫জি, তারপর ৬জি, এই পরিবর্তন অবস্বম্ভাবী।
বর্তমানে বড় কোম্পানীর মধ্যে ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করছে স্প্রিন্ট। এবছরই তাদের রাউটার বাজারে পাওয়া যাবে যাদিয়ে ওয়াইফাই-ওয়াইম্যাক্স দুইই ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে ফোর-জি এর দিকে রয়েছে ভেজিজোন, ভোডাফোন, এটিএন্ডটি, টেলিফোনিকার মত কোম্পানী। ফোরজি পুরোপুরি চালু হতে হয়ত পুরো ২০১০ কিংবা ২০১১ লেগে যাবে। ভেরিজোনের আশা ১০ কোটির বেশি গ্রাহক তারা ২০১০ এর মধ্যেই পাবে।
আমেরিকাতে দুধরনের ক্যারিয়ার ব্যবহারের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকেরই। ভেরিজন এবং স্প্রিন্ট ব্যবহার করে সিডিএমএ, অন্যদিকে এটিএন্ডটি এবং টি-মোবাইল ব্যবহার করে জিএসএম। ফলে এক সার্ভিস থেকে অন্য সার্ভিসের আওতায় গেলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। এপলের আইফোন এটিএন্ডটির জিএসএম-এর সাথে প্রথম ব্যবহারের এটা একটা কারন।
সমস্যা শুধু এখানেই নেই। এরসাথে সম্পর্ক রেখে অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন ক্যামেরা, এমপিথ্যি প্লেয়ার, ই-বুক রিডার, হ্যান্ডহেল্ড গেম ডিভাইস এগুলি থাকা প্রয়োজন। এক ধরনের নেটওয়ার্কের যন্ত্র যদি অন্য যায়গায় ব্যবহার করা না যায় তাহলে ভোগান্তির শিকার হবেন সাধারন মানুষ।
ক্লিয়ারঅয়্যার বলছে তারা আপাতত ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করলেও ভবিষ্যতে ৪-জি এর সম্ভাবনা বাদ দিচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত ওয়াইম্যাক্স না ৪-জি কে জয়লাভ করবে তা জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
No comments:
Post a Comment