ভিডিও ক্যামেরায় ষ্টিল ছবি উঠানো যায় বহুদিন থেকে। সেতুলনায় এসএলআর ক্যামেরায় ভিডিও করার ঘটনা তুলনামুলক নতুন। পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরায় ভিডিওর ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলি সত্যিকারের মান দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। নাইকন তাদের ফ্লাগশিপ ক্যামেরা ডি৯০ তে প্রথম ভিডিও যোগ করে। এরপর তাদের অন্যান্য মডেলগুলিকেও ভিডিওতে আপডেট করেছে। এমনকি একেবারে সম্প্রতি ১ লক্ষ ডলার পুরস্কারের প্রতিযোগিতার আহ্বান করেছে আড়াই মিনিটের ভিডিও তৈরীর। ক্যানন, প্যানাসনিক, অলিম্পাস পত্যেকেরই এমন ক্যামেরা রয়েছে যা অনায়াসে ভিডিও ক্যামেরার প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে। আগামীতে কি ভিডিও ক্যামেরার যায়গা দখল করতে যাচ্ছে এই ক্যামেরাগুলি ?
এসএলআর ক্যামেরাগুলি সম্পর্কে প্রধান যে বাধা তা হচ্ছে এর দাম। নাইকনের ডি-৯০ কিংবা ক্যাননের ৫ডি অত্যন্ত দামী ক্যামেরা। তুলনায় অনেক কমদামে ভিডিও ক্যামেরা কেনা যায়। সেকারনে প্রত্যেকেই দ্বিতীয় আরেকটি কমদামি ক্যামেরা তৈরী করেছে ভিডিওকে প্রাধান্য দিয়ে। নাইকনের ডি৫০০০ কিংবা ক্যাননের টি১আই এর উদাহরন। প্যানাসনিকের জিএইচ১, জিএফ১ এসএলআর না হলেও লেন্স পাল্টানো যায়। ভিডিওসহ এই ক্যামেরার দাম সাধারন পর্যায়ের। কাজেই দামের পার্থক্য ঘুচে যাচ্ছে দ্রুতই।
এরপর কাজের দিক থেকে যা পাওয়া যাবে তা হল এসএলআরের বড় আকারের সেন্সর, নিখুত ছবি, সব ধরনের কন্ট্রোল। মধ্যম মানের ভিডিও ক্যামেরায় এত কন্ট্রোল আশা করতে পারেন না যা এসএলআর দিতে পারে। আর লেন্স পাল্টালেই ওয়াইড কিংবা টেলি যা পছন্দ সেটাই ব্যবহার করার সুযোগ।
সত্যিকারের ভিডিও ক্যামেরার সহজতা আনতে হয়ত এএলআর নির্মাতাদের ব্যবহারের দিকটিতে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং সেটা হচ্ছেও। সেক্ষেত্রে আবারও ভিডিও ক্যামেরা হিসেবে আগের অবস্থান ফিরে পেতে ক্যামকোর্ডার নির্মাতাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে সন্দেহ নেই।
No comments:
Post a Comment